Just In
জাতীয় ক্রীড়া দিবস : জেনে নিন কিছু ঐতিহ্যবাহী খেলা যা বিলুপ্তির পথে
কিংবদন্তি হকি খেলোয়াড় মেজর ধ্যানচাঁদ সিংয়ের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে প্রতিবছর জাতীয় ক্রীড়া দিবস ২৯ অগাস্ট পালিত হয়। মানুষকে খেলাধূলার গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন করতে এবং ভারতের কৃতি খেলোয়াড়দের সন্মান জানাতে এই দিবসটি পালিত হয়। বিভিন্ন জায়গায় নানান অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই দিবস পালিত হয়।
খেলাধুলা বাচ্চাদের বৃদ্ধি ও বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। অতীত প্রজন্মের বাচ্চাদের মধ্যে ইনডোর গেমের থেকে আউটডোর গেমগুলি বেশি জনপ্রিয় ছিল। আগে অবশ্য এত ইনডোর গেম ছিলও না। বাচ্চারা তাদের স্কুল শেষে মাঠে যেত পিট্টু, গিলি ডান্ডা এবং আরও অনেক খেলা খেলতে। তাদের খেলার উত্সাহ আজকের প্রজন্মের বাচ্চাদের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি ছিল।
খেলাধুলার সময় ও সংস্কৃতি পরিবর্তনের সাথে সাথে ভারতের ঐতিহ্যবাহী এই খেলাগুলি বিলুপ্তির পথে। নীচে কয়েকটি খেলার উল্লেখ করা হল যা বিলুপ্তির দ্বারপ্রান্তে -
১) গিলি ডান্ডা - এই গেমটির কোনও প্রবর্তনের দরকার নেই। খেলাটি দুটি লাঠি দিয়ে খেলা হয়। গিলি যা সাধারণত তিন ইঞ্চি ছোট এবং ডান্ডাটি দু'ফুট লম্বা। ওই ডান্ডা দিয়ে গিলির সরু দিকে সজোরে মারা হত।
২) পিট্টু - এই খেলাটি লেগোরি নামেও পরিচিত। খেলাটি কতগুলি মাঝারি গুটি এবং একটি বল দিয়ে খেলা হত। এখানে, একটি দল গুটিগুলি সাজাত এবং অপর বিরোধী একজন বল দিয়ে সেগুলিকে মেরে আলাদা করার চেষ্টা করত এবং বল মেরে তার বিরোধী পক্ষকে আউট করার চেষ্টা করত।
৩) খো-খো - আগে স্কুল-কলেজগুলিতে খো-খো খেলা বাধ্যতামূলক ছিল । খেলাটি দুটি দলের মধ্যে হয় 9 ন'জন খেলোয়াড়দের নিয়ে।
৪) লাট্টু - লাট্টু খেলা কে না জানে! লাটিম বা লাট্টু খেলা। গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী একটি খেলা, যা একসময় শহরাঞ্চলেও ব্যাপকভাবে চালু ছিল। একটি কাঠের তৈরি গোল বস্তুর নীচের দিকটা সূঁচালো অংশ থাকে। সূঁচালো অংশ থেকে শুরু করে একটি ফিতা পেঁচিয়ে তারপর তা আঙুলের ফাঁকে অপরপ্রান্ত ধরে ছুঁড়ে দিতে হত।
৫) কিথ-কিথ- এটি মেয়েদের মধ্যে একটি জনপ্রিয় খেলা। এই খেলায় মাটিতে আয়তক্ষেত্রাকার একটি ছক তৈরি করা হয় এবং সেই অনুযায়ী সংখ্যাযুক্ত থাকে আর একটি গুটি থাকে। কোনও খেলোয়াড় ওই গুটি নিয়ে ছকে ফেলে তা এক পা দিয়ে ঠেলতে ঠেলতে নিয়ে যেত।
৬) লুকোচুরি - এটি অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি খেলা। বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে অনেক শিশুই এই খেলাটি খেলে।বেশ কয়েকজনকে নিয়ে এই খেলা হয়। এতে, একজন বিরোধী পক্ষ থাকে, অন্য সবাই লুকিয়ে থাকে কোনও কোনও জায়গায়। ওই বিরোধী পক্ষ সবাইকে খুঁজে বের করত।
৭) রাজা মন্ত্রি চোর সিপাহী - এই খেলা চারজনের মধ্যে হত। চারটি ছোটো ছোটো কাগজে 'রাজা', 'মন্ত্রি', 'চোর', এবং 'সিপাহী' লিখে সেগুলি ভাঁজ করা থাকত। এখানে, সিপাহীকে পয়েন্ট পাওয়ার জন্য অন্য তিনজনের মধ্যে চোরকে ধরতে হত।