Just In
টাটা-বিড়লা নন তো? তাহলে মাস মাইনের চাকরি করেও কীভাবে বড়লোক হয়ে ওঠা যায় জেনে নিন সে সম্পর্কে!
এই প্রবন্ধে ফেংশুই শাস্ত্রে উল্লেখিত এমন কতগুলি শোপিস সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে, যা ভাগ্য ফেরাতে নিমেষে কাজে দেয়।
কথায় বলে অনেক অনেক টাকার মালিক হয়ে ওঠার জন্য পরিশ্রমের কোনও বিকল্প নেই বললেই চলে। কথাটা যে ভুল, এমন নয়। কিন্তু একটা কথা মানতেই হবে যে শুধুমাত্র পরিশ্রম করে বড়লোক হয়ে ওঠা সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে ভাগ্যের সার্পোটও চাইই চাই! আর ঠিক এই কারণেই এই লেখাটি পড়তেই হবে। কারণ এই প্রবন্ধটি পড়া মাত্রই দেখবেন আপনার ভাগ্য ফিরে যাবে!
এত দূর পড়ার পর নিশ্চয় ভাবছেন কী এমন লেখা আছে এই প্রবন্ধে যে পড়া মাত্র ভাগ্য ফিরে যাবে! আসলে বন্ধু এই প্রবন্ধে ফেংশুই শাস্ত্রে উল্লেখিত এমন কতগুলি শোপিস সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে, যা ভাগ্য ফেরাতে নিমেষে কাজে দেয়। শুধু তাই নয়, এই উপাদানগুলি বাড়িতে শুভ শক্তির মাত্রা এতটা বাড়িয়ে দেয় যে কোনও খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কাও একেবারে কমে যায়। তাই তো বলি বন্ধু, অল্প সময়ে যদি ব্যাঙ্ক ব্যালেন্সকে অনেক অনেক বাড়িয়ে নিতে হয়, তাহলে এই লেখায় আলোচিত শোপিসগুলির কোনওটি বাড়িতে এনে রাখতে ভুলবেন না যেন!
প্রসঙ্গত, ধন দেবতা কুবরকে প্রসন্ন করতে সাধারণত যে যে জিনিসগুলি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে, সেগুলি হল...
১. ডলফিন:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে বাড়িতে, অফিসে বা কাজের জায়গায় মাছ বা ডলফিনের ছবি বা শোপিস রাখলে দারুন উপকার পাওয়া যায়। আসলে এমনটা করলে অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটতে যেমন সময় লাগে না, তেমনি পরিবারে সুখ এবং সমৃদ্ধির ছোঁয়া লাগে। সেই সঙ্গে আয়ুও বৃদ্ধি পায় চোখে পরার মতো।
২. ওম ঘন্টা:
ফেংশুই বিশেষজ্ঞদের মতে প্রতিদিন সকাল-বিকাল "ওম বেল" বাজালে গৃহস্থের অন্দরে উপস্থিত খারাপ শক্তির মাত্রা কমতে শুরু করে। ফলে অশুভ শক্তির প্রভাবে ভাগ্য বিগড়ে যাওয়ার আশঙ্কা যায় কমে। সেই সঙ্গে কোনও খারাপ ঘটনা ঘটার সম্ভাবনাও আর থাকে না। তাই তো বলি বন্ধু, তুমুল পরিশ্রম করার পাশাপাশি যদি ভাগ্যের সঙ্গও চান, তাহলে ওম ঘন্টা কিনে আনতে ভুলবেন না যেন!
৩. চাইনিজ কয়েন:
কয়েক মাসের মধ্যেই অনেক অনেক টাকায় পকেট ভরে উঠুক, এমনটা যদি চান, তাহলে মানি ব্যাগে তিনটি চাইনিজ কয়েন রাখতে ভুলবেন না যেন! কারণ এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে পয়সার ব্যাগে এমন কয়েন রাখলে টাকার পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। সেই সঙ্গে কোনও ধরনের অর্থনৈতিক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কাও হ্রাস পায়। প্রসঙ্গত, যে আলমারি বা লকারে টাকা রাখেন সেখানেও যদি এমন কয়েন রাখতে পারেন, তাহলেও কিন্তু দারুন উপকার পাওয়া যায়। ইচ্ছা হলে বাড়িতেও রাখতে পারেন চাইনিজ কয়েন। এক্ষেত্রে বাড়ির দক্ষিণ দেওয়ালে তিনটি কয়েন ঝোলাতে হবে। তাহলেই দেখবেন উপকার মিলতে শুরু করেছে।
৪. উইশিং বেল:
এই বেলটি বাড়ি অথবা অফিসের সদর দরজায় ঝোলান। তারপর দেখুন কী হয়! আসলে ফেংশুই শাস্ত্র মতে বিশেষ এই বেলটি বাড়ির মূল দরজায় লাগালে পরিবারে সমৃদ্ধির ছোঁয়া লাগতে সময় লাগে না। ফলে স্বাভাবিকভাবেই অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটে চোখে পরার মতো।
৫. চি লিন:
কী এই "চি লিন"? এটি হল এক ধরনের সিংহের মূর্তি, যাকে ফেংশুই বিদ্যায় বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়ে থাকে। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে এই মূর্তিটি বাড়িতে এনে রাখলে অর্থনৈতিক উন্নতি তো ঘটেই, সেই সঙ্গে ছোট-বড় সব রোগ দূরে পালায়। শুধু তাই নয়, খারাপ শক্তির প্রভাবও কমতে শুরু করে। ফলে কোনও বিপদ ঘটার আশঙ্কা যায় কমে। প্রসঙ্গত, এই মূর্তিটি অফিস ডেস্কে রাখলেও কিন্তু সমান উপকার মেলে।
৬. মেন্ডেরিন ডাক:
ফেংশুই শাস্ত্রে উল্লেখিত এই বিশেষ ধরনের হাঁসের মূর্তিটি বাড়ির ড্রয়িং রুমে অথবা বেড রুমে যদি জোড়ায় রাখা যায়, তাহলে গৃহস্থের অন্দরে পজেটিভ শক্তির মাত্রা এতটা বেড়ে যায় যে অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্কেরও উন্নতি ঘটে। প্রসঙ্গত, এই মূর্তি দুটি বাড়ির দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে রাখতে হবে, তবেই কিন্তু মিলবে নানাবিধ উপকার।
৭. তিন পায়া ব্যাঙ:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে বাড়ির সদর দরজায় বিপরীতে আড়াআড়ি ভাবে এই মূর্তিটি রাখলে ভাগ্য ফিরে যেতে সময় লাগে না। ফলে একের পর এক সাফল্যের দরজা খুলতে শুরু করে। আর এমনটা যখন হয়, তখন বড়লোক হয়ে ওঠার স্বপ্ন পূরণ হতে একেবারেই সময় লাগে না। তবে এক্ষেত্রে একটি জিনিস মাথায় রাখতে হবে, তা হল মূর্তিটি এমনভাবে দরজার সামনে রাখবেন, যাতে ব্যাঙের মুখটা বাড়ির ভিতরের দিকে থাকে।
৮. ড্রাগন:
ফেংশুই বিশেষজ্ঞদের মতে বাড়ির পূর্ব দিকে ক্রিস্টালের ড্রাগনের সোপিস রাখলে গুড লাক রোজের সঙ্গী হয়ে ওঠে। ফলে পরিশ্রমের সঙ্গে যখন ভাগ্য মিলে যায়, তখন জীবনের ছবিটা বদলে যেতে যে সময় লাগে না, তা কি আর বলার অপেক্ষা রাখে! তাই তো বলি বন্ধু, চটজলদি যদি ভাগ্য ফেরাতে হয়, তাহলে ক্রিস্টাল দিয়ে তৈরি চাইনিজ ড্রাগনের শোপিস বাড়িতে নিয়ে আসতে ভুলবেন না যেন!
৯. লাফিং বুদ্ধা:
শোপিস হিসেবে প্রায় প্রতিটি বাঙালি বাড়িতেই এর দেখা মেলে। কিন্তু লাফিং বুদ্ধার মূর্তি রাখলে কী কী উপকার মিলতে পারে জানা আছে কি? শাস্ত্র মতে এমন মূর্তি বাড়ির ড্রয়িং রুমে রাখলে সুখে-শান্তিতে ভরে ওঠে জীবন। সেই সঙ্গে টাকায় পকেট ভারি হয়ে উঠতেও সময় লাগে না। শুধু তাই নয়, এমনটাও বিশ্বাস করা হয় যে বাড়িতে লাফিং বুদ্ধের ছবি বা মূর্তি রাখলে কর্মক্ষেত্রে চরম সফলতার স্বাদ মেলে। তবে এক্ষেত্রে একটি জিনিস মাথায় রাখতে হবে, তা হল লাফিং বুদ্ধার মূর্তিটি এমন জায়গায় রাখতে হবে, যাতে তা বাড়ির সদর দারজার দিকে মুখে করে থাকে।