For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts

আপনি যদি বোকা না হন তাহলে ভুলেও এই কুসংস্কারগুলি মেনে চলবেন না যেন!

কুসংস্কার। এ এমন ফাঁদ যাতে শিক্ষিত-অশিক্ষিত সবাই কোনও না কোনও সময় ঠিক পরেই থাকে। আর একবার যদি এই চোরাবালিতে পা আটকে যায়, তাহলেই বিপদ! কারণ চোরাবালি কিছু ফিরিয়ে দেয় না।

|

কুসংস্কার। এ এমন ফাঁদ যাতে শিক্ষিত-অশিক্ষিত সবাই কোনও না কোনও সময় ঠিক পরেই থাকে। আর একবার যদি এই চোরাবালিতে পা আটকে যায়, তাহলেই বিপদ! কারণ চোরাবালি কিছু ফিরিয়ে দেয় না। বরং ধীরে ধীরে শেষে করে দেয় সব কিছু। তাই দয়া করে জীবনকে সুন্দর করে তুলতে কুসংস্থারে ভারসা রখবেন না।

আমাদের দেশে ভুল ধারণার চাষ এত মাত্রায় হয় যে সব কুসংস্কারকে একদিনে পুড়িয়ে ফেলা সম্ভব নয়। কিন্তু কোথাও না কোথা থেকে থেকে তো শুরু করতে হবে। তাই এই প্রবন্ধে এমন কিছু ভুল ধারণার উপর আলোকপাত করার চেষ্টা করা হল, যেগুলি সবথেকে বেশি সংখ্যক মানুষ বিশ্বাস করে থাকেন। তাই আপনি যদি অন্ধকারকে হারিয়ে আলোর সন্ধান পেতে চান, তাহলে এই প্রবন্ধে একবার চোখ রাখতে ভুলবেন না যেন!

প্রসঙ্গত, যে যে ভুল ধরণাকে আজই জ্ঞানের আগুনে পুড়িয়ে ফেলাটা জরুরি। সেগুলি হল...

১. ব্যাগ ভরে ভরে ঠাকুরকে প্রসাদ চরানো:

১. ব্যাগ ভরে ভরে ঠাকুরকে প্রসাদ চরানো:

যে কোনও মন্দিরে গিয়ে একটু খেয়াল করে দেখবেন সিংহভাগ মানুষই থালায় সাজিয়ে নানা খাবার, গয়না এনে ঠাকুরের পদতলে রেখে একটা কথাই বলে, "হে ভগবান, হে সর্বশক্তিমান আমার ইচ্ছাটা পূরণ করে দাও এবার। আমি তোমায় সোনার মুকুট পরাবো।" কেউ মুকুট, তো কেউ টাকা, এইভাবে ভগবানকে ঘুষ দিয়ে সবাই কাজ আদায় করে নিতে চান। কিন্তু এমনটা করে যে কোনও স্বপ্নই পূরণ হয় না, একথা কবে বুঝবো আমরা। ভাগবানের প্রতি আমাদের ভক্তি হল আমাদের শক্তি। তাই এবার থেকে মনে কুসংস্কারের অন্ধাকর নয়, বরং ধর্মের দীপ জ্বালিয়ে খোলা মনে দেবের আরাধনা করুন। দেখবেন জীবন সুখে-শান্তিতে কেটে যাবে। প্রসঙ্গত, অনেকেই ঘন্টার পর ঘন্টা উপোস করে ভগবানের পুজো করেন। আপনাদের কি মনে হয় নিজেকে অভুক্ত রাখলে ভগবান খুশি হন? মনে তো হয় না।

২. এই দিনে এই নয়, ওই দিনে ওই নয়:

২. এই দিনে এই নয়, ওই দিনে ওই নয়:

অনেকেই মঙ্গল এবং বৃহস্পতিবার নখ কাটেন না। এমনটা করলে নাকি পাপ হয়। সত্যি কি এমনটা হয়? একেবারেই নয়, কারণ নখ কাটার সঙ্গে ভাল-মন্দের কোনও যোগ নেই। তাই এমনটা বিশ্বাস করার কোনও কারণ নেই যে এই দুটি দিনে নখ কাটলে পাপ হবে, বাড়বে কোনও না কোনও ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা।

৩. মাছ এবং দুধ একসঙ্গে খেলে হবে শ্বেতী:

৩. মাছ এবং দুধ একসঙ্গে খেলে হবে শ্বেতী:

এই ধারণাটার সঙ্গেও বাস্তবের কোনও যোগ নেই। বেশ কিছু গবেষণায় একথা প্রমাণিত হয়ে গেছে যে মাছ এবং দুধ একসঙ্গে খেলে আমাদের শরীররে অন্দরে এমন কোনও পরিবর্তন হয় না, যার প্রভাবে শ্বেতীর মতো ত্বকের রোগ হতে পারে। প্রসঙ্গত, এই ধরনের ত্বকের রোগ হয় শরীরের অন্দরে বিশেষ কিছু পিগমেন্ট না থাকার কারণে। তাই সুন্দর সমাজ গড়ে তোলার স্বার্থে দয়া করে শ্বেতীর সঙ্গে কোনও খাবারের যোগ স্থাপন করার চেষ্টা করবেন না যেন!

৪. হাঁচি:

৪. হাঁচি:

বাড়ি থেকে বেরনোর সময় হঠাৎ করে যদি আপনি বা অন্য কেউ যদি হেঁচে ফেলেন তাহলেই বিপদ! দাঁড়ান দাঁড়ান, বেরবেন না। কারণ বাড়ি থেকে বেরনোর সময় হাঁচি হলে যে কাজে বেরচ্ছেন সেই কাজ ঠিক মতো হয় না। সেই সঙ্গে কোনও বিপদ হওয়ার আশঙ্কাও বাড়ে। কিন্তু হাঁচির সঙ্গে খারাপ হওয়ার সম্পর্কটা কোথায়? কোনও সম্পর্ক নেই। এটি বেজায় একটি ভুল ধরণা, যা বছরের পর বছর ধরে মানুষ মেনে চলেছে।

৫. বালিশের নিচে ছুরি:

৫. বালিশের নিচে ছুরি:

ভয়ের কোনও স্বপ্ন দেখার কারণে মাঝে মধ্যেই ঘুম ভেঙে যায়? তাহলে বন্ধু বালিশের নিজে একটা ছুরি নিয়ে শুতে যান, দেখবেন আর এমন স্বপ্ন আসবে না। এমনটাই বিশ্বাস করেন অনেক ভারতীয়। কিন্তু বিশ্বাস করুন সঙ্গে ছুরি রাখার সঙ্গে খারাপ স্বপ্ন দেখা বা না দেখার কোনও সম্পর্ক নেই। প্রসঙ্গত, ঘুমনোর সময় স্লিপ সার্কেলের একটি বিশেষ সময়ে আমাদের মস্তিষ্কের অন্দরে এমন কিছু পরিবর্তন হতে থাকে যে তার প্রভাবে আমার স্বপ্ন দেখি। তাই ছুরি নিয়ে শুলেই যে খারাপ স্বপ্ন দূরে পালাবে, এমনটা ভেবে নেওয়ার কোনও কারণ নেই।

৬. কাঁচ ভাঙা:

৬. কাঁচ ভাঙা:

অনেকেই এমনটা বিশ্বাস করেন যে কাঁচ ভেঙে যাওয়া একেবারেই শুভ ঘটনা নয়। এমনটা হলে পরিবারের অন্দরে খারাপ শক্তির দাপাদাপি এমন বেড়ে যায় যে একের পর এক খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। আদতে কিন্তু এমন কিছুই হয় না। আসলে ভাঙা কাঁচের কারণে যাতে কারও কোনও চোট না লেগে যায়, তা সুনিশ্চিত করতেই এমন ধরনের ধারণার জন্ম হয়েছিল। তাই ভুল করে কাঁচ ভেঙে গেলে ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। বরং এমনটা হলে যত শীঘ্র সম্ভব ভাঙা কাঁচ সরিয়ে ফেলুন, যাতে কারও চোট না লেগে যায়।

৭. বিড়ালের রাস্তা কাটা:

৭. বিড়ালের রাস্তা কাটা:

এই কুসংস্কারটি তো সবাই মেনে থাকেন। এমনকি ইউনিভার্সিটি প্রফেসরদেরও এই ভুল ধারণার শিকার হতে দেখা যায়। কিন্তু আপনাদের জানিয়ে রাখি বিড়ালের রাস্তা কাটার সঙ্গে আমাদের ভাল বা মন্দের কোনও সম্পর্ক নেই। তাই যেদিন বিড়াল আপনার রাস্তা কেটেছে, সেদিন যদি খারাপ কিছু হয়, তাহলে দয়াকরে দোষটা বিড়ালের ঘারে না চাপিয়ে কী কী কারণে খারাপ ঘটনা ঘটেছে, তা একবার ঠান্ডা মাথায় ভেবে দেখার চেষ্টা করুন। দেখবেন উত্তর পেয়ে যাবেন।

Read more about: বিশ্ব
English summary

কুসংস্কার। এ এমন ফাঁদ যাতে শিক্ষিত-অশিক্ষিত সবাই কোনও না কোনও সময় ঠিক পরেই থাকে। আর একবার যদি এই চোরাবালিতে পা আটকে যায়, তাহলেই বিপদ! কারণ চোরাবালি কিছু ফিরিয়ে দেয় না। বরং ধীরে ধীরে শেষে করে দেয় সব কিছু।

India is a land of religions. Just like India’s languages, the religion changes after a few kilometres. As we know that “With Great Power comes Great Responsibilities”, in the same manner, With large number of religions come large number and kind of superstitions. Although many superstitions are in no way, related to any religion, but they directly or indirectly are influenced by these factors.
Story first published: Tuesday, March 13, 2018, 12:40 [IST]
X
Desktop Bottom Promotion