Just In
কালী পুজোর দিন যারা বাড়িতে লক্ষ্মীর পুজো করবেন তাদের এই লেখাটা না পড়লে কিন্তু বিপদ...!
এই লেখায় এমন কতগুলি নিয়মের সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে, যা লক্ষ্মী পুজোর সময় মেনে চললে ভিষণ বিপদ।
কেন, এমন কেন! লেখাটা না পড়লে কী এমন মহাভারত অশুদ্ধ হবে বলতে পারেন? জানতাম, এমন প্রশ্ন যে করবেন তা জেনেই তো হেডিংটা লেখা। আপনার প্রশ্ন হল কেন পড়বে, তাই তো! এর উত্তর পাবেন। তবে তার আগে বলুন তো কালী পুজোর দিন বাড়িতে লক্ষ্মী পুজোর আয়োজন করার সময় কী কী নিয়ম না মানলে ক্ষতি হতে পারে...?
কী চুপ কেন? বলুন বলুন...! ওহহহ... জানেন না তো? এবার বুঝেছেন তো কেন পড়তে হবে লেখাটা। আসলে এই লেখায় এমন কতগুলি নিয়মের সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে, যা লক্ষ্মী পুজোর সময় মেনে চললে ভিষণ বিপদ। কারণ সেক্ষেত্রে বাড়িতে নেগেটিভ শক্তির প্রভাবে বেড়ে যাওয়ার কারণে একের পর এক বিপদের ফাঁদে পরার আশঙ্কা যেমন বাড়বে, তেমনি অর্থনৈতিক ক্ষতি তো হবেই, সেই সঙ্গে লেজুড় হতে পারে দুর্ভাগ্যও। তাই সাবধান বন্ধু সাবধান!
আরে আরে এত দূর পড়ার পর ভয় পেয়ে গেলেন নাকি। আরে না না ভয় পাবেন না। বরং পাঁচ মিনিট হাতে থাকলে এই লেখাটা পড়ে জেনে ফেলুন না সেই সব নিয়মগুলি সম্পর্কে...
১. ভুলেও তুলসি পুজো নয়:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে মা লক্ষ্মীর পুজো করার সময় ভুলেও তুলসি গাছের পুজো করা উচিত নয়। কারণ এমনটা করলে নাকি বিষ্ণু পত্নী এতটাই রেগে যান যে নানাবিধ ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা যায় বেড়ে। সেই সঙ্গে দেবীর রোষের কারণে অর্থনৈতিক ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে। তাই কালী পুজোর দিন যারা বাড়িতে লক্ষ্মী পুজোর আয়োজন করতে চলেছেন, তারা ভুলেও কিন্তু এদিন তুলসি গাছের পুজো করবেন না যেন!
২. প্রদীপের সলতে:
শুনতে আজব লাগলেও শাস্ত্রে এমনটা দাবী করা হয়েছে যে বছরের এমন বিশেষ দিনে লক্ষ্মী পুজো করার সময় এমন সলতেতে প্রদীপ জ্বালাতে হবে যার রং হবে লালচে, মোটেও সাদা নয় কিন্তু! আর সকাল সকাল উঠে প্রাদীপটা জ্বালিয়ে দিতে হবে, সেটি জ্বলবে সারা রাত ধরে। প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে আরও একটি বিষয়ের উপর নজর রাখতে হবে, তা হল প্রদীপটা যেন ঠাকুরের আসনের ডান দিকে থাকে। কারণ এমনটা করলে নাকি বিষ্ণু দেব বেজায় প্রসন্ন হন। ফলে মা লক্ষীর আশীর্বাদ লাভ করতে সময় লাগে না।
৩. ফুলের রং:
মা লক্ষ্মী বিবাহিত। তাই তো তাঁর আরাধনা করার সময় ভুলেও সাদা ফুল নিবেদন করা উচিত নয়। শুধু তাই নয়, মাকে প্রতিষ্টা করার সময় খেয়াল রাখতে হবে যাতে আসনের রং সাদা না হয়। প্রসঙ্গত, এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে মা লক্ষ্মীর পুজো করার সময় যদি লাল বা গোলাপী রঙের ফুল নিবেদন করা হয়, তাহলে দেবী এতটাই প্রসন্ন হন যে ভক্তের জীবন অনন্দে ভরে উঠতে সময় লাগে না।
৪. বিষ্ণুর অরাধনা করা মাস্ট:
যখনই মা লক্ষ্মীর অরাধনা করবেন, তখন ভগবান বিষ্ণুর নাম নিতে ভুলবেন না যেন! কারণ মা লক্ষ্মী হলেন বিষ্ণু দেবের স্ত্রী। তাই তো দেবীর আরধনা করার সময় দেবের নাম নিলে মা লক্ষ্মী এতটাই প্রসন্ন হন যে নানাবিধ সুফল মিলতে সময় লাগে না। প্রসঙ্গত, মায়ের পুজো করার পর এক মনে যদি নারায়ণ মন্ত্র জপ করা যায়, তাহলে সুফল মেলে আরও দ্রুত।
৫. মায়ের প্রসাদ এবং দক্ষিণ দিক:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে মায়ের পুজোর পর সব সময় প্রসাদ ঠাকুরের আসনের উত্তর দিকে কিছুক্ষণ রেখে তারপর তা খাওয়া উচিত। এবং এক্ষেত্রে আরেকটি বিষয় মাথায় রাখা জরুরি, তা হল মা লক্ষ্মীর আরাধনা করার পর প্ররিবারের প্রতিটি সদস্যেরই পুজোর প্রাসাদ খাওয়া উচিত। না হলে কিন্তু...!
৬. আলপোনা বা রাঙ্গলী দিতে ভুলবেন না যেন!
দিওয়ালির সময় সারা বাড়ি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে সদর দরজার সামনে এবং ঠাকুর ঘরে ভাল করে আলপোনা বা রাঙ্গলী দিলে মা লক্ষ্মী বেজায় প্রসন্ন হন। ফলে গৃহস্থে দেবীর আগমণ ঘটতে সময় লাগে না। আর যে বাড়িতে মা লক্ষ্মী নিজ আসন পাতেন, সেখানে সুখ-সমৃদ্ধির ছোঁয়া লাগতে যেমন সময় লাগে না, তেমনি অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটে চোখে পরার মতো। তাই তো বলি বন্ধু, কালী পুজোর সময় লক্ষ্মী পুজো করুন বা না করুন, সারা বাড়িতে আলপোনা দিতে ভুলবেন না যেন!
৭. গরীব মানুষদের দান করতে ভুলবেন না:
মন খুলে দান করার জন্য দুর্গা পুজো এবং কালী পুজোর থেকে ভাল সময় আর হতে পারে না। তাই তো বলি বন্ধু গৃহস্থে মা লক্ষ্মীর আসন পাতার পাশাপাশি যদি হাত খুলে দান করতে পারেন, তাহলে দেখবেন নানাবিধ সুফল পাবেই পাবেন। বিশেষথ দেবীর আশীর্বাদে অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে টাকা-পয়সা সংক্রান্ত নানা ঝামেলাও মিটে যায়।