Just In
ভারতে এই কাজগুলি এক্ষুনি বন্ধ হওয়া দরকার
ভারতে এই কাজগুলি এক্ষুনি বন্ধ হওয়া দরকার
ভারতবর্য হল এমন দেশ যেখানে নিয়ন ভাঙতে সবাই সদা প্রস্তুত। তাই যত দিন না আমাদের মধ্য়ে আইন বা নিয়ম-কানন নিয়ে শ্রদ্ধা জন্মাচ্ছে, ততদিন নিয়মে বেঁধে আমাদের শোধরানো কোনও ভাবেই সম্ভব নয়। তবু বলতে দ্বিধা নেই, এদেশে এমন কিছু বিষয় রয়েছে, যেগুলি শীঘ্র বন্ধ হয়ে যাওয়া খুব জরুরি।
আমাদের চারপাশে প্রতিদিন এমন অনেক কিছু ঘটে চলেছে, যা একেবারে হওয়া উচিত নয়। একথা শুনে ভাববেন না যে আমি খুব গুরুগম্ভীর বিষয় নিয়ে কথা বলছি। একেবারেই না। আমি সেই সব ছোটখাট অভ্য়াসের কথা বলছি, যা অল্প অল্প করে প্রতিদিন মনুষ্য় সমাজকে শেষ করে দিচ্ছে। কিন্তু সেদিকে আমাদের কারও খেয়াল নেই।
চলুন একটু নজর ফেরানো যাক সেই সব বিষয়গুলির দিকে যা এক্ষুনি নিষিদ্ধ হয়ে যাওয়া জরুরি।
সিগারেট:
গত কয়েক দশকে আমাদের দেশসহ সারা বিশ্বে যেভাবে কর্কট রোগের প্রকোপ বেড়েছে, তাতে এই মুহূর্তে আমাদের দেশে ধূমপান নিষিদ্ধ ঘোষণা করা উচিত। সর্বোপরি, জনবহুল এলাকায় প্রকাশ্য়ে সিগারেট খাওয়া বন্ধ করুন। কারণ এতে আপনার ক্ষতি তো হচ্ছেই, সেই সঙ্গে যারা সিগারেট খান না, তাদেরও কিন্তু ক্ষতি করছেন আপনি। এটা করার অধিকার কিন্তু অপনার নেই।
সাস-বাহু সিরয়াল:
এ আবার কেমন কথা! সাস-বাহু সিরিয়াল কী ক্ষতি করল সমাজের! এমনটাই ভাবছেন তো? একটু খেয়াল করলে দেখবেন এইসব অর্থহীন বোকাবোকা সিরিয়ালগুলি আমাদের পরিবারের উপরে কিন্তু মারাত্মক নেতিবাচক প্রবাব ফেলছে। বদলে দিচ্ছে একে-আপরের প্রতি ধারণা। আর তাছাড়া এই সিরিয়ালগুলিতে এমন কিছুই থাকেনা যে না দেখলে জীবন ব্য়র্থ হয়ে যাবে। তাই এইসব ভুলভাল জিনিস দেখে সময় নষ্ট না করে পরিবারের সদস্য়দের সময় দিন। তাতে দেখবেন আরও বেশি খুশি রয়েছেন।
ড্রাগ সেবন:
সরকারের উচিত এদিকটায় নজর দেওয়া। কারণ নানা আজানা কারণে যুবসামাজের মধ্য়ে নানা ক্ষতিকর নেশায় জড়িয়ে পড়ার ব্য়াপক প্রবণতা দেখা দিচ্ছে। যা কোনও দেশের সার্বিক উন্নতির জন্য় একেবারেই ভালো নয়। তাই এই বিষয়ে জন মানষে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। আর সেই দায়িত্ব শুধু সরকারের নয়, আমাদের সকলের।
সমাজের ভালো করার নামে দাদাগিরি বন্ধ হওয়া উচিত:
আজকাল সাবই নেতা আমাদের দেশে। আর সবার একটাই লক্ষ, সারা দেশের মানুষের মধ্য়ে নৈতিকতা গড়ে তোলা। আর এই কাজটি করতে গিয়ে তারা অযথা সাধারণ মানুষের উপর চাড়াও হয়ে তাদের জীবন দুর্বিসহ করে তোলে। পার্কে পেমিক-প্রেমিকা বসতে পারবে না। এই খাওয়া যাবে, এই খাওয়া যাবে না, এমন ধরনের দাদাগিরি মেনে নেওয়া কোনও মতেই উচিত নয়। তাই এর বিরোধিতা করতে হবে। সেই সঙ্গে এ বিষয়ে সরকারকেও সদর্থক ভূমিকা নিতে হবে। কারণ যে কোনও নাগরিকের সুরক্ষার দায়িত্ব কিন্তু সরকারের উপরই বর্তায়।
যত্র তত্র আবর্জনা ফেলা:
এই একটা কাজ কেন জানি না আমরা সকলেই করে থাকি। নিজের বাড়িটা তো পরিষ্কার রাখছি, কিন্তু তার চারিদিকে ময়লা করে বেরাচ্ছি। এ কেমন বুদ্ধি, তা মাথায় ঢোকে না। তাই সরকারের উচিত যত্রতত্র ময়লা ফেললে কড়া ব্য়বস্থা নেওয়া। প্রয়োজনে আর্থিক জরিমানা করা। এমনটা না করলে কিন্তু একদিন আমাদের ময়লা উপরেই বসবাস করতে হবে। আর তেমনটা হলে যে খুব সুখকর হবে না, তা নিশ্চয় বলে দিতে হবে না।
যেখানে-সেখানে প্রস্রাব করা:
দেওয়াল লিখনে এখন আর কারও নজর যায় না। তাই যেখানে লেখা থাকে, "এখানে প্রস্রাব করবেন না", সেখানেই বেশি করে প্রস্রাব করে লোকেরা। এক্ষেত্রে সরকারের উচিত আর্থিক জরিমানা শুরু করা। এমনটা করলেই দেখবেন কেমন সুন্দর হতে শুরু করে আমাদের চারপাশ।
এই বিষয়টি নিয়ে আপনারা কী ভাবছেন দয়া করে জানাবেন। কারণ আমরা সবাই যদি হাত না মেলাই, তাহলে আমাদের সমাজ, আমাদের চারপাশটা কিন্তু কোনও দিনই সুন্দর হয়ে উঠবে না।