Just In
- 4 hrs ago রাতে খারাপ এবং ভয়ের স্বপ্ন আসে? সহজ জ্যোতিষী সমাধান স্বস্তি দেবে
- 6 hrs ago আপনি কি সেলফি তুলতে পছন্দ করেন? বিশেষজ্ঞরা বলছেন সেলফি স্বাস্থ্যকর
- 6 hrs ago হিন্দু নববর্ষের ৩ দিন আগেই গ্রহ পরিবর্তন, শনির প্রভাবে অর্থ-বৃষ্টির সম্ভাবনা এই রাশিগুলিতে
- 23 hrs ago এপ্রিল মাসে ৪ গ্রহের স্থান পরিবর্তন, রাজযোগ ও সৌভাগ্যে ফুলে ফেঁপে উঠবে এই রাশির জাতকরা, দেখুন
হিন্দু মহিলাদের ভুলেও কিন্তু এই কাজগুলি করা উচিত নয়!
হিন্দু ধর্মের শুরু দিন থেকেই কিছু কিছু কাজ থেকে মেয়েদের দূরে রাখা হয়েছে। কারণ এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে এই কাজগুলি একজন মহিলা করলে নিজের এবং পরিবারের বাকি সদস্যদের নানাবিধ বিপদ ঘটার সম্ভাবনা যায় বেড়ে।
হিন্দু ধর্মের শুরু দিন থেকেই কিছু কিছু কাজ থেকে মেয়েদের দূরে রাখা হয়েছে। কারণ এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে এই কাজগুলি একজন মহিলা করলে নিজের এবং পরিবারের বাকি সদস্যদের নানাবিধ বিপদ ঘটার সম্ভাবনা যায় বেড়ে। সেই সঙ্গে খারাপ শক্তির প্রভাব বেড়ে যাওয়ার কারণে অর্থনৈতিক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কাও যেমন থাকে, তেমনি আরও নানাবিধ সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে পারে। তাই তো বলি বন্ধু, বাকি জীবনটা যদি সুখে-শান্তিতে এবং নিরাপদে থাকতে চান, তাহলে বাড়ির মহিলাদের এই কাজগুলি ভুলেও করতে দেবেন না যেন!
প্রসঙ্গত, শাস্ত্রে যে যে কাজগুলি করতে মহিলাদের মানা করা হয়েছে, সেগুলি হল...
১. ভুলেও নারকেল ফাটাবেন না:
পুজোর সময় অনেক বাড়িতেই নারকেল ফাটিয়ে দেব-দেবীদের নিবেদন করা হয়ে থাকে। কিন্তু ভুলেও নারকেল ফাটানোর কাজটা কোনও মহিলার করা উচিত নয়। কারণ নারকেল হল মা লক্ষ্মীর প্রতীক। তাই তো কোনও মেয়ে নারকেল ফাটালে দেবী বেজায় রুষ্ট হন। আর এমনটা হলে নানাবিধ সমস্যা যে মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে, তা আর বলার আপেক্ষা রাখে না! তাই তো পুজোয় নিবেদন করার জন্য নারকেল ফাটানোর কাজটা সব সময় ছেলেদের করা উচিত।
২.পইতে পরা চলবে না:
খেয়াল করে দেখবেন ব্রাহ্মণ ছেলেদের একটা বয়সের পর পইতে পরানোর রেওয়াজ রয়েছে। যদিও আজকের দিনে ব্রাহ্মণ যুবারা আর পইতে পরেতে চা না। তবে তারা পরুক বা না পরুক, এমন ধাগা মেয়েদের পরা কিন্তু একেবারেই উচিত নয়। কারণ শাস্ত্র মান্যতা দেয়নি। তবে এর পিছনে কী কারণ রয়েছে, সে বিষয়ে যদিও কোনও লেখার সন্ধান পাওয়া যায়নি!
৩. হনুমানজির মূর্তি ছোঁয়া যাবে না:
ভগবান সবার, তা আপনি ছেলে হোক কি মেয়ে। কিন্তু শাস্ত্রে হনুমানজির মূর্তি ছোঁয়ার অধিকার দেওয়া হয়নি মেয়েদের, যা একেবারেই ঠিক নয়। কিন্তু শাস্ত্রে এমন নিষেধ করা হয়েছে একটা কারণেই। আর সেটা হল হনুমানজি ছিলেন ব্রহ্মচারী। তাই তিনি সব মেয়েদেরই মা হিসেবে মানতেন। আর ঠিক এই কারণেই হনুমানজির মূর্তি ছুঁতে এবং তাঁকে সিঁদুর লাগাতে মানা করা হয়েছে মহিলাদের। তবে ইচ্ছা হলে মারুথিকে না ছুঁইয়েই তাঁর অরাধনা করতে পারেন! আর এমনটা করলে দেবের আশীর্বাদে নানাবিধ উপকার মেলার সম্ভাবনা যে বাড়বে সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই!
৪. ওম উচ্চারণ করা চলবে না:
যে মন্ত্রে "ওম" শব্দটি রয়েছে সেটি ভুলেও মেয়েদের পাঠ করা উচিত নয়। কারণ ওম শব্দটির সঙ্গে ভগবান শিবের যোগ রয়েছে, আর ঠিক এই কারণে নাকি মেয়েদের ওম উচ্চারণ করা উচিত নয়। তবে এই বিষয়ে আরেকটি মতামতেরও সন্ধান পাওয়া যায়। আর তা হল ওম উচ্চারণ করার সময় "নেভেল রিজিয়ান"-এ একটু বেশি মাত্রায় চাপ পরে, যা মেয়েদের জন্য একেবারে ঠিক নয়। যদিও আজকের দিনে এই নিয়ম কোনও মেয়েই মানেন না। কিন্তু শাস্ত্রের কথা যদি বলেন তাহলে ওম এবং মেয়েদের বিপরীত মেরুতেই থাকা উচিত।
৫. ভুলেও সিতাফল কাটা চলবে না:
মানে! মেয়েদের সিতাফল কাটলে আবার কী হবে? আসলে এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে মেয়েরা যদি এই ফলটি কাটেন, তাহলে বৈবাহিক জীবনে নানাবিধ সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার আশঙ্কা যায় বেড়ে। সেই সঙ্গে পরিবারের অন্দরে ছোট ছোট কারণ নানা ঝামেলা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার সম্ভাবনাও থাকে। তাই তো মহিলাদের এই ফলটি থেকে দূরে থাকাই ভাল। তবে এমন ধরণার আদৌ কতটা বাস্তব ভিত্তি রয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়।
৬. শ্মশানে যাওয়া উচিত নয়:
এই নিয়মটির পিছনে যে কারণটা রয়েছে সেটা কিন্তু বেজায় হাস্যকর। কী কারণ? শাস্ত্র মতে মহিলারা শ্মশানে গেলে ভূত বা খারাপ শক্তির খপ্পরে পরার আশঙ্কা থাকে। আর ঠিক এই কারণেই মেয়েদের এই নিয়মটি মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। তবে আরেকটি কারণেও এই নিয়মটি মেনা চলা উচিত। আসলে এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে মেয়েরা কান্নাকাটি করলে যিনি মারা গেছেন তাঁর পক্ষে এই দুনিয়ে ছেড়ে যাওয়াটা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। ফলে আত্মা মুক্তি লাভ করতে পারে না, যেটা হওয়া একেবারেই উচিত নয়। তাই খুব একটা প্রয়োজন না পরলে মেয়েরা দয়া করে শ্মশানে যাবেন না যেন!