Just In
- 17 min ago কাঠফাটা গরমে শরীরে জলের ঘাটতি পূরণ করবে এই ফলগুলি!
- 2 hrs ago নতুন কাজে সাফল্য বৃষ ও কর্কটের, ৫ রাশির জন্য শুভ আজকের দিন, জানতে দেখুন রাশিফল
- 18 hrs ago অতিরিক্ত দই, বিস্কুট খাচ্ছেন? আপনার ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়াতে পারে, সতর্ক থাকুন
- 19 hrs ago গরম থেকে বাঁচতে দেদার খাচ্ছেন ডাবের জল? ডেকে আনছেন না তো বড় বিপদ!
বাবার সঙ্গে কি সম্পর্ক খারাপ? তাহলে এই বাস্তু নিয়মগুলি মেনে চলুন দেখবেন সব রাগ-অভিমান মিটে যাবে!
বাস্তুশাস্ত্রের উপর লেখা একাধিক বই অনুসারে, অনেক সময় বাড়ির ভিতরে করা কোনও বদলের কারণেও কিন্তু সম্পর্কের এমন অবনতি ঘটতে পারে, যে বিষয়ে অনেকেই খোঁজ রাখেন না।
সম্পর্ক। মাত্র তিনটে অক্ষর মিলে একটা শব্দ। কিন্তু এর ভার অনেকেই বইতে পারেন না। অনেকে আবার সম্পর্কের মধ্যেকার আত্মাটাকে না বুঝতে পেরে মানুষটাকেই ভুল বুঝে ফেলেন। ফলে অল্প অল্প করে সঞ্চয় করে তৈরি করা মনের মনুষের সঙ্গে কখন যে সম্পর্কটা বিষাক্ত হয়ে যায়, তা বুঝে ওঠাই যায় না। যেমন অনেকেরই তাদের বাবার সঙ্গে সম্পর্ক ভাল হয় না। তবে কি জানেন বাবার মতো মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হয়ে যাওয়ার পিছনে ছেলে-মেয়ে এবং তার বাবার চরিত্রই যে সব সময় দায়ি থাকে, এমন নয়। এক্ষেত্রে বাস্তু দোষও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
একেবারেই ঠিক শুনেছেন বন্ধু! বাস্তুশাস্ত্রের উপর লেখা একাধিক বই অনুসারে, অনেক সময় বাড়ির ভিতরে করা কোনও বদলের কারণেও কিন্তু সম্পর্কের এমন অবনতি ঘটতে পারে, যে বিষয়ে অনেকেই খোঁজ রাখেন না। বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে বাড়ির ভিতরে যেমন খারাপ শক্তি থাকে, তেমনি শুভ শক্তিরও অবস্থান ঘটে। কিন্তু কোনও কারণে যদি অশুভ শক্তির মাত্রা বেড়ে যায়, তাহলে যে কোনও সম্পর্কের অবনতি ঘটতে সময় লাগে না। তাই তো কী কী কারণে বাস্তুদোষ হতে পারে, আর সে কারণে বাবার সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি ঘঠার আশঙ্কা বাড়ে, সে সম্পর্কে জেনে নেওয়াটা জরুরি।
প্রসঙ্গত, যে যে নিয়মগুলি মেনে চললে পরিবারের অন্দরে কোনও ধরনের কলহ মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার আশঙ্কা কমে, বিশেষত, বাবা-মার সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি ঘটার সম্ভাবনা কমে যায়, সেই নিয়মগুলি হল...
১. বাড়ির উত্তর-পূর্ব দিক:
বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে বাড়ির উত্তর-পূর্ব দিক কিন্তু বেজায় গুরুত্বপূর্ণ। তাই ভুলেও এই দিকে রান্নাঘর অথবা টয়লেট বানাবেন না যেন! কারণ বাড়ির উত্তর-পূর্ব দিকে স্টোর রুম, রান্নাঘর বা ওয়াশরুম বানালে গৃহস্থের অন্দরে খারাপ শক্তির প্রভাব এতটা বেড়ে যায় যে বাবা-মায়ের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি ঘটতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে পরিবারের মধ্যে আরও সব সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার সম্ভাবনাও থাকে। তাই সুখে-শান্তিতে থাকতে এই বাস্তু নিয়মগুলি মেনে চলতে ভুলবেন না যেন!
২. ইলেকট্রনিক গুডস:
বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে বাড়ির উত্তর-পূর্ব দিকে ইলেকট্রনিক গুডস রাখলে, বিশেষত ইস্ত্রির মতো কোনও জিনিস, যা থেকে গরম ভাব বেরোয়, এমন কিছু রাখলে বাবা-ছেলের মধ্যেকার সম্পর্কের অবনতি ঘটতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে ছোট-ছোট বিষয়ে ঝগরাও শুরু হয়ে যায়। ফলে পরিবারের অন্দরে অশান্তি এত মাত্রায় বাড়তে থাকে যে জীবন দুর্বিসহ হয়ে উঠতে সময় লাগে না।
৩. ডাস্টবিন রাখবেন কোথায়:
শুনতে অবাক লাগলেও এ ধারনার মধ্যে কোনও ভুল নেই যে বাড়ির কোথায় ডাস্টবিন রাখছেন, তার উপর অনেক কিছু নির্ভর করে থাকে, বিশেষত বাবা-মায়ের সঙ্গে আপনার সম্পর্ক কেমন হবে, তা বাস্তুবিকই নির্ভর করে বাড়ির উত্তর বা উত্তর-পূর্ব দিকে আপনি ডাস্টবিন রাখছেন কিনা তার উপর। কারণ এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে এই নির্দিষ্ট দিকে ডাস্টবিন রাখলে পরিবারের অন্দরে কলহ মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে সময় লাগে না।
৪. পূর্ব দিক থেকে আলো প্রবেশ করে তো:
খেয়াল করে দেখুন তো আপনার বাড়ির পূর্ব দিক থেকে সূর্যালোক ঘরের অন্দরে প্রবেশ করে কিনা! যদি দেখেন করছে না, তাহলে সাবধান হতে হবে। কারণ বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে যে বাড়িতে পূর্ব দিক থেকে আলো প্রবেশ করে না, সে বাড়িতে থাকলে বাবা-মায়ের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হতে সময় লাগে না। তাই তো এমন ধরনের বাড়ি কিনতে অথবা বাড়ি ভাড়া নিতে মানা করা হয়।
৫. বাড়ির জমির ধরন:
বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে যে জমির উপর বাড়ি তৈরি হয়েছে সেই জমিটি যদি দক্ষিণ এবং পশ্চিম দিকে চওড়া, আর উত্তর এবং পূর্ব দিকে ছোট হয়, তাহলে মনে কোনও সন্দেহ রাখবেন না যে, পরিবারে কলহ মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে চলেছে। কারণ এমন ধরনের জমির উপর বাড়ি তৈরি করলে পরিবারের অন্দরে অশুভ শক্তির মাত্রা বাড়তে শুরু করে, যার প্রভাবে পরিবারের অন্দরে একের পর এক সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে সময় সাগে না।
৬. সুখে-শান্তিতে থাকতে এবং অনেক টাকার মালিক হতে:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে বাড়ির উত্তর-পূর্ব দিক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখলে গৃহস্থে মা লক্ষ্মী এহং কুবের দেবের প্রবেশ ঘটে। ফলে অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে বাড়ির পরিবেশ এতটাই পবিত্র হয়ে ওঠে যে কোনও সম্পর্কের অবনতি ঘটার আশঙ্কা যায় কমে।
তাই তো বলি বন্ধু বাবা বা মায়ের সঙ্গে যদি সম্পর্কের উন্নতি ঘটাতে চান, তাহলে এই বাস্তু নিয়মগুলি মেনে চলতে ভুলবেন না যেন!