Just In
- 12 hrs ago ঠাকুরকে নিত্যভোগ দেওয়ার সময় ঘণ্টা বাজে কেন? জানেন কি এর পিছনের রহস্য
- 13 hrs ago প্রখর রোদ থেকে স্বস্তি পেতে বাড়িতেই বানিয়ে নিন এই শরবতগুলি, ঠান্ডা রাখবে শরীরও
- 15 hrs ago গরমে এই পানীয়গুলি খেলে আপনিও থাকবেন হাইড্রেটেড ও সতেজ
- 17 hrs ago কাঠফাটা রোদ থেকে বাঁচতে কী করবেন? এড়িয়ে চলুন চা-কফি
Don't Miss
অল্প সময়ে বড়লোক হতে চান? তাহলে এই বদঅভ্যাসগুলি ত্যাগ করুন!
জানেন কি, কে কত টাকার মালিক হবেন, তা ভাগ্যের উপর কিছুটা নির্ভর করে বৈকি। কিন্তু এক্ষেত্রে বেশ কিছু অভ্যাসও বিশেষ ভূমিকা নেয়। যেমন ধরুন...
যখনই পেকেট খালি হতে থাকে, জলের মতো বেড়িয়ে যেতে থাকে সঞ্চয়ের একেকটা পয়সা, তখন বেশিরভাগই নিজের ভাগ্যকে দোষ দিয়ে থাকেন। আর মনে মনে বলে থাকেন, হে ভগবান হয় টাকা দাও নয়তো...! কিন্তু জানেন কি, কে কত টাকার মালিক হবেন, তা ভাগ্যের উপর কিছুটা নির্ভর করে বৈকি। কিন্তু এক্ষেত্রে বেশ কিছু অভ্যাসও বিশেষ ভূমিকা নেয়।
শাস্ত্র মতে দৈনন্দিন জীবনে আমরা এমন কিছু কাজ করে থাকি, যার প্রভাবে পকেট খালি হয়ে যেতে সময় লাগে না। তাই তো আপনার সঙ্গেও যাতে এমনটা না ঘটে, তা সুনিশ্চিত করতে আজ এই প্রবন্ধে সেই সব কুঅভ্যাসগুলির উপর আলোকপাত করার চেষ্টা করা হল, যা আমাদের বড়লোক হয়ে ওঠার পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়। প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে যে যে বিষয়গুলি মাথায় রাখতে হবে, সেগুলি হল...
১. বাথরুম যেন থাকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে বাথরুম পরিষ্কার না রাখলে কুষ্টিতে চাঁদের অবস্থান বদলে যেতে শুরু করে, যার প্রভাবে একের পর এক খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কা যেমন বৃদ্ধি পায়, তেমনি অর্থনৈতিক ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনাও যায় বেড়ে। তাই অল্প সময়ে যদি বড়লোক হয়ে উঠতে চান, তাহলে ভুলেও বাথরুমকে নোংড়া করে রাখবেন না যেন! প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে আরেকটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে, তা হল সকালে স্নান সারার পর ভাল করে ফ্লোরটা মুছে নেবেন, যাতে জল জমে না থাকে।
২. খাবার নষ্ট করবেন না:
খেয়াল করে দেখবেন অনেকেই আমরা নানা সময় অনেক পরিমাণ খাবার নষ্ট করে থাকি। কেই ভাত নষ্ট করেন তো, কেউ কেউ এত মাত্রায় রান্না করেন যে বেশিরভাগই জায়গা নেয় ডাস্টবিনে। কিন্তু এমনটা করা একেবারেই উচিত নয়, যদি অল্প সময়ে বড়লোক হয়ে উঠতে চান তো! তাই আজ থেকে ভুলেও খাবারের একটা দানাও ফেলে দেবেন না যেন!
৩. খাবার পর পরই থালা ধুয়ে ফেলবেন:
শাস্ত্র মতে খাবার পর পরই থালা-বাসন ধুয়ে না নিলে শনি দেবের খারাপ দৃষ্টি পরে। সেই সঙ্গে চাঁদের অবস্থানও বদলে য়ায়। ফলে একের পর এক খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কা যায় বেড়ে। আর এমনটা হলে পকেট খালি হয়ে যেতে যে সময় লাগে না, তা বলাই বাহুল্য! তাই তো এই বিষয়টি মাথায় রাখতে ভুলবেন না যেন! প্রসঙ্গত, খাওয়ার পরে সুন্দরভাবে থালা-বাসন ধুয়ে ফেললে মা লক্ষী খুব প্রসন্ন হন, ফলে অনেক টাকার মালিক হয়ে ওটার স্বপ্ন পূরণ হয় চোখের পলকে।
৪. ঘুম থেকে উঠে বিছানা পরিষ্কার করতে ভুলবেন না যেন!
খেয়াল করে দেখবেন অনেকেই দেরি করে ঘুম থেকে ওঠার কারণে বিছানা পরিষ্কার করার সময়ই পান না। ফলে একদিকে যেমন অর্থনৈতিক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে, তেমনি গৃহস্থের অন্দরে নেগেটিভ এনার্জির প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে নানাবিধ খারাপ ঘটনা ঘঠার সম্ভাবনাও যায় বেড়ে। তাই বড়লোক যদি হতে চান, তাহলে ঘুম থেকে উঠে প্রতিদিন বিছানা পরিষ্কার করতে ভুলবেন না যেন!
৫. রাতে ঘর ঝাঁট দেবেন যেন!
শাস্ত্র মতে সন্ধ্যার পর ঘর ঝাঁট দেওয়া অশুভ লক্ষণ হিসেবে বিবেচিত করা হয়ে থাকে। আসলে এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে রাতের বেলা ঘর পরিষ্কার করলে সুখ এবং সমৃদ্ধি গৃহস্থের বাইরে বেরিয়ে যায়। ফলে অর্থনৈতিক উন্নতি লাভের সম্ভাবনা যেমন কমে, তেমনি ব্যাড লাক পিছু নেয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই জীবন দুর্বিসহ হয়ে উঠতে সময় লাগে না।
৬. বাড়ির উত্তর দিক:
বাস্তুশাস্ত্র মতে বাড়ির উত্তর দিক থেকেই প্রবেশ ঘটে ধন দেবতা কুবেরের। তাই সেদিকে বড় আলমাড়ি রাখতে মানা করা হয়। আসলে এমনটা করলে দেবের আগমণ বাঁধা প্রাপ্ত হয়। ফলে অর্থনৈতিক উন্নতি লাভের স্বপ্ন কোনও দিন পূরণ হয় না। প্রসঙ্গত, বাড়ির উত্তর দিকে বড় বড় গাছ পুঁতলেও কিন্তু একই ঘটনা ঘটে। তাই তো এই বিষয়টি মাথায় রাখতে ভুলবেন না যেন!
৭. শোয়ার ঘরের জানলা:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে শোয়ার ঘরের জানলা প্রতিদিন ২০ মিনিট করে খোলা রাখলে ঘরের অন্দরে হাওয়া-বাতাস খেলতে থাকে। ফলে পেজটিভ এনার্জির প্রভাব এতটা বেড়ে যায় যে কর্মক্ষেত্রে থেকে সামাজিক জীবন, সব ক্ষেত্রেই সমৃদ্ধিলাভের সম্ভাবনা যায় বেড়ে। তাই অল্প সময়ে যদি পকেট ভর্তি টাকার মালিক হয়ে উঠতে চান, তাহলে এই নিয়মটি মেনে চলতে ভুলবেন না যেন!
৮. গণেশ ঠাকুরের মূর্তি:
শাস্ত্র মতে গণেশ ঠাকুর হলেন সমৃদ্ধির দেবতা। তাই তো বাড়িতে দেবের ছবি বা মূর্তি রাখলে নানাবিধ বাঁধা সরে যেতে শুরু করে। সেই সঙ্গে কর্মক্ষেত্রে চরম সফলতা পাওয়া যায়। ফলে অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটতে সময় লাগে না। তবে এক্ষেত্রে একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে। তা হল গণেশ ঠাকুরের মূর্তি ভুলেও উত্তর-পূর্ব দিকে রাখবেন না! এমনটা করলে উন্নতির থেকে অবনতি হবে বেশি।