Just In
- 3 hrs ago রাতে খারাপ এবং ভয়ের স্বপ্ন আসে? সহজ জ্যোতিষী সমাধান স্বস্তি দেবে
- 5 hrs ago আপনি কি সেলফি তুলতে পছন্দ করেন? বিশেষজ্ঞরা বলছেন সেলফি স্বাস্থ্যকর
- 5 hrs ago হিন্দু নববর্ষের ৩ দিন আগেই গ্রহ পরিবর্তন, শনির প্রভাবে অর্থ-বৃষ্টির সম্ভাবনা এই রাশিগুলিতে
- 23 hrs ago এপ্রিল মাসে ৪ গ্রহের স্থান পরিবর্তন, রাজযোগ ও সৌভাগ্যে ফুলে ফেঁপে উঠবে এই রাশির জাতকরা, দেখুন
(ছবি) 'কাজ পাগল' হলে সমস্যা অনেক, জানেন কি আপনি?
'ওয়ার্কোহলিক'। শব্দটি ইংরাজি হলেও চলতি বাংলায় এই শব্দটি বহুলভাবে ব্যবহৃত হয়। এই শব্দের আক্ষরিক অর্থ হল কাজ পাগল। মানে যিনি সারাক্ষণ কাজ করার কথা ভাবেন, অধিকাংশ সময় কাজের জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে পিছপা হন না, ঘন্টার পর ঘন্টা কাজ করতেও ক্লান্তি আসে না যাঁর। [(ছবি) সবরকম পরিস্থিতিতে মাথা ঠাণ্ডা রাখার নানান উপায়]
কাজ করা ভাল। কাজ করা বা ক্রমশ উপরে ওঠার উচ্চাকাঙ্খা মানুষের অবশ্যই থাকা উচিত কিন্তু কোনও কিছুই অতিরিক্ত করা আসলে ঠিক নয়। কারণ তাতে কোনও না কোনওভাবে ক্ষতিও যে আপনার হচ্ছে তা আপনি বুঝতে পারেন না। [(ছবি) জেনে নিন কেন ভুলে যাওয়ার সমস্যায় ভুগছেন আপনি?]
কঠোর পরিশ্রম করে ব্যবসা বাড়ানো, বা অতিরিক্ত সময় দিনের পর দিন কাজ করে পদোন্নতি পাওয়ার বাইরেও যে অনেক কিছু রয়েছে। কাজটাও যেমন জরুরী, তেমনই জরুরী পরিবারকে সময় দেওয়া, নিজের জন্য সময় বের করা, বিনোদন, বিশ্রাম প্রভৃতি। আর তাই দুইয়ের মধ্যে সামঞ্জস্য বজায় রেখে চলাটা কিন্তু আপনারই দায়িত্ব। [(ছবি) অফিসের জন্য সেরা ১০ টি এথনিক লুক]
আপনি কি জানেন, 'ওয়ার্কোহলিক' হওয়া বা কাজপাগল হওয়া আদতে আপনারই ক্ষতি করছে। কি ক্ষতি করছে? জানতে হলে ক্লিক করুন নিচের স্লাইডে : [(ছবি) অফিসে যে জিনিসগুলি করা আমাদের একদম উচিত নয়]
অবসাদ
সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, যাঁরা অতিরিক্ত কাজ করেন, প্রতিযোগিতার বা বাজারে সে অনুপাতে সাফল্যের হার অত্যন্ত খারাপ। অনেক ক্ষেত্রেই তাঁরা একটা সময়ে গিয়ে অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েন কারণ তখন তারা উপলব্ধি করেন যদি তার কাজ বা কাজ সংক্রান্ত সাফল্য সরিয়ে দেখা যায় তাহলে তাদের জীবনে আপ কিছুই থাকে না।
দ্রুত বয়সের ছাপ
আরও একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে. যারা নিজেদের জীবনের বিভিন্ন মুহুর্ত উপভোগ করেন আনন্দে জীবন কাটান তাদের তুলনায় যারা অত্যধিক কাজ করেন তাঁদের ক্ষেত্রে বার্ধক্য তা়ড়াতাড়ি আসে।
হৃদরোগে আক্রান্ত
যাঁরা ওয়ার্কোহলিক হন তাদের ক্ষেত্রে কিছু রোগ থাকার সম্ভাবনা বেড়ে যায়, যার মধ্যে অন্যতম হল হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়া। কারণ একে জীবনযাপন পদ্ধতির ধরণ তার উপর প্রতিযোগিতা, সারাক্ষণ উত্তেজনা, উৎকন্ঠার মধ্যে কাজ করা, ফলে হৃদরোগের সমস্যা হবে তা তো স্বাভাবিক।
সম্পর্কের টানাপোড়েন
পরিসংখ্যান বলছেন ওয়ার্কোহলিক পুরুষদের একটা বিশাল অংশই নিজেদের সম্পর্কের টানাপোড়েনে পরিস্থিতি সামলাতে পারেন না। ফলস্বরূপ সম্পর্কের ইতি। সারাক্ষণ কাজ কাজ করতে থাকলে সঙ্গীকে সময় দেওয়া সম্ভব হয় না। যা আপনার সঙ্গীর পক্ষে মেনে নেওয়াটাও কষ্টকর হয়। আর এর ফলেই বিচ্ছেদ।
চোখের ক্ষতি
অতিরিক্ত কাজ করলে, ঘন্টার পর ঘন্টা কম্পিউটারের দিকে তাকিয়ে কাজ করলে একটা নির্দিষ্ট সময়ের পর থেকে চোখের নানা সমস্যা শুরু হয়। চোখ পাকাপাকিভাবে ক্ষতিগ্রস্তও হতে পারে।
যৌন জীবন
অত্যধিক কাজের অত্যধিক চিন্তা, চাপ, আর তার জেরে আপনার যৌনজীবনও ব্যহত হতে পারে। ধীরে ধীরে যৌনক্ষমতা কমতে শুরু করে। এর জন্য ভায়গ্রার মতো ওষুধ প্রয়োগের পরও সঙ্গীকে তৃপ্ত করতে পারবেন না।
হতাশা
কাজ পাগল ব্যক্তিদের মধ্যে আর একটি বৈশিষ্ঠ খুব সাধারণ। তা হল, যদি অত্যধিক পরিশ্রম করার পরও সাফল্য না আসে, বা কাজের ক্ষেত্রে সুনাম সেভাবে না হয়, তাহলে তারা অতি সহজে ভেঙে পড়েন। এবং সেখান থেকে নিজেকে সামলে ফের লড়াইয়ের মনোভাবটা হারিয়ে যায়।
মস্তিষ্কের ধার ক্রমশ কমতে থাকে
এটা সত্যি কথা যে আপনি যদি নিয়মিতভাবে আপনার মস্তিষ্ককে কাজে লাগান তাহলে আপনার বুদ্ধি ক্ষুরধার হয়। কিন্তু ঠিকমতো কাজ করার জন্য মস্তিষ্কেরও বিশ্রাম প্রয়োজন। কিন্তু আপনার অত্যধিক কাজের ফলে মস্তিষ্ক বিশ্রামের সময় পাচ্ছে না, তার উপর অত্যধিক চাপ পড়তে পড়তে মস্তিষ্কের কাজের ক্ষমতাও কমে যায়।