Just In
(ছবি) অফিস সংক্রান্ত এই ১০টি বদ অভ্যাস যা আপনার আমার সকলের আছে!
ধূমপান মৃত্যুর কারণ হতে পারে। অতিরিক্ত ওজন হৃদযন্ত্রকে আক্রান্ত করতে পারে, মদ্যপান আপনার কিডনিকে নষ্ট করতে পারে। এই তিনটি বদ অভ্যাসে যে কত ভয়ঙ্কর পরিণতি হতে পারে তা তো যুগ যুগ ধরে মানুষ শুনে আসছে, আট থেকে আশি সবাই জানে এবিষয়ে।
(ছবি) কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগছেন? জেনে নিন এর পিছনের আসল কারণ
কিন্তু যেটা অনেকেই জানেন না অফিসের কিছু বদঅভ্যাসে পরিণতিও খুবই ভয়ঙ্কর হয়। আপনার অফিসের ডেকস্টপ, ওয়ার্কস্টেশনের কারণে আপনার মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
(ছবি) আজকের যুগেও এই ৮ কারণে বিয়ের পর অত্যাচারিত হয় নারী!
শৌচাগার থেকে বেরিয়ে হাত না ধোওয়া, শৌচাগারের ভিতর ফোন নিয়ে গিয়ে কথা বলা, ঘন্টার পর ঘন্টা একভাবে বসে থাকা এগুলি সব ছোটখাটো বিষয় মনে হলেও আদতে এই ধরণের অভ্যাস শরীরের পক্ষে খুবই ক্ষতিকর।
আসুন দেখে নেওয়া যাক অফিসের ভিতরে আমার-আপনার কোন কোন বদ অভ্যাস আমাদের জীবনে ক্ষতি টেনে আনছে।
শৌচাগার
অনেকেই আছেন যারা অফিসের টয়লেট থেকে শৌচকর্ম করে বেরিয়ে হাত ধুয়ে নেন না। শুধু টিস্যু পেপারে হাত মুছেই শেষ। শৌচাগারে যেখানে একাধিক মানুষ ব্যবহারের জন্য যাচ্ছে। ফলে আপনার হাতে জীবাণুতে ভরে যায়। সাবান দিয়ে ভাল করে হাত না ধুলে সেই জীবাণু আপনার হাতেই থেকে যায়। যা আপনার শরীরকে ভিতর থকেে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
সারাদিন বসে কাজ
সারাদিন একটানা বসে কাজ করা শরীরের পক্ষে মোটেই ভাল না। প্রত্যেক ১ ঘন্টা অন্তর ৫ মিনিটের একটা ছোট ব্রেক নিন। চেয়ার থেকে উঠে হেঁটে আসুন। বেশিক্ষণ একভাবে বসে থাকতে থাকতে শরীরে চর্বি জমতে শুরু করে তা স্থূলত্ব রোগে পর্যবসিত হয়।
বসার ধরণ
সবসময়ে চেষ্টা করুন ডেকস্টপের সামনে চেয়ারে পিঠ সোজা করে বসুন। তাহলে পিঠ ও কোমড়ের ব্যথা এড়ানো সম্ভব। চেয়ারে সারাদিন এলিয়ে বসে থাকলে শিরদাঁড়া ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
ডেস্কে বসে খাওয়া
সবচেয়ে খারাপ যে অভ্যাসটি আমরা অফিসের মধ্যে আখছাড় পালন করে থাকি তা হল কাজের চাপে ডেস্ক ছেড়ে উঠতে চাই না আমরা, এমনকী লাঞ্চের খাবারও নিজের ডেস্কে বসেই খেয়ে নিই। আমাদের ডেস্কে প্রচুর পরিমাণে জীবাণু থাকে। দ্বিতীয়ত খাওয়ার সময়ের পরিবেশ বদল হওয়া একান্ত প্রয়োজন।
জল কম খাওয়া
কাজের চাপে আমরা এতটাই আটকে যাই যে দিনে প্রয়োজনমতো জলটুকু খাওয়ার কথাও মনে থাকে না। জল শরীরের স্বাভাবিক রক্তচলাচল স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। পর্যাপ্ত জল না খেলে শরীরে নানা ধরণের সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে।
মাল্টিটাস্কিং
বসকে তুষ্ট করতে একসঙ্গে অনেক কাজ করার চেষ্টা আমরা করি। কিন্তু এটা একটা বদ অভ্যাস। কারণ আমরা ভুলে যাই এই ধরণের মাল্টি টাস্কিংয়ের জন্য আমাদের মানসিক চাপ অত্যন্ত বেড়ে যায়। যার ফলে, স্নায়ু, হৃদযন্ত্র প্রভাবিত হতে পারে।
ব্রেকফাস্ট না খাওয়া
তাড়াহুড়োর জেরে আমরা অনেকদিনই ব্রেকফাস্ট করতে ভুলে যাই বা সময় বের করে উঠতে পারি না।
বিনা ছুটিতে কাজ
কাজের নেশায় আমরা ছুটি না নিয়েই দিনের পর দিন কাজ করে যাই। কিন্তু শরীরকে সুস্থ রাখতে অন্তত সপ্তাহের একদিন খালি রাখা প্রয়োজন।
বাইরে না বেরনো
আপনি যদি শীততাপনিয়ন্ত্রিত অফিসে কাজ করেন। তাহলে অন্ততপক্ষে দিনে দুবার অফিসের বাইকে বেরন। কারণ মানুষের শরীরের জন্য তাজা হাওয়া ও সূর্যের রশ্মি গায়ে মাথা খুব প্রয়োজন।
চোখ ঘষা
কম্পিউটারের সামনে ঘন্টার পর ঘন্টা তাকিয়ে বসে থাকার ফলে চোখ জ্বলতে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই আমরা চোখটা একটু ডলে নিই। এর ফলে হাতের লক্ষাধিক জীবাণু চোখে গিয়ে চোখকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।