Just In
দিনের পর দিন এই আজব ঘটনাগুলি ঘটলে জানবেন খারাপ সময় এল বলে!
খারাপ সময় যখন আসে তখন বলে আসে না ঠিকই। কিন্তু এমন সময়ে গৃহস্তের অন্দরে অশুভ শক্তির মাত্রা বাড়তে শুরু করে, যার প্রভাবে এমন সব ঘটনা ঘটতে শুরু করে যে তা দেখে বুঝে যাওয়া সম্ভব হয় যে খারাপ সময় এল বলে।
খারাপ সময় যখন আসে তখন বলে আসে না ঠিকই। কিন্তু এমন সময়ে গৃহস্তের অন্দরে অশুভ শক্তির মাত্রা বাড়তে শুরু করে, যার প্রভাবে এমন সব ঘটনা ঘটতে শুরু করে যে তা দেখে সহজেই বুঝে যাওয়া সম্ভব হয় যে খারাপ সময় এল বলে। শুধু এক্ষেত্রে চোখ-কান খোলা রাখতে হবে। তাহলে দেখবেন অনেকটাই সাবধান হতে পেরেছেন!
এখন প্রশ্ন হল খারাপ সময় আসের আগে কী কী ঘটনা ঘটে?
১. সারা বাড়ি স্যাঁতস্যাঁতে হয়ে যায়:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে বাড়ির কোনও বিশেষ অংশে বা সারা বাড়িতে যদি ড্যাম্প পরে, তাহলে বুঝতে হবে শনির বক্র নজর পরেছে আপনার পরিবারের উপর। এক্ষেত্রে পরিবারের সদস্যদের কঠিন কোনও রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা যেমন বেড়ে যায়, তেমনি ধারদেনা হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে। শুধু তাই নয়, একের পর এক নানাবিধ খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কাও যায় বেড়ে। তাই তো বলি বন্ধু এমন সব ঘটনা ঘটতে শুরু করলে সারা বাড়িতে যাতে সূর্যের আলো প্রবেশ করে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। সেই সঙ্গে সকাল-বিকাল ঠাকুর ঘরে প্রদীপ জ্বালাবেন। এমনটা করলে কোনও ধরনের বিপদ ঘটার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়।
২. পিঁপড়ের আক্রমণ:
রান্না ঘরে রাখা নানা খাবারের মঝে থাকা মিষ্টি খাবারে যদি শুধুমাত্র পিঁপড়ের আনাগোনা বেড়ে যায়, তাহলে জানবেন খারাপ সময় এল বলে। আর যদি সব খাবারেই পিঁপড়ে আসে, তাহলে এই বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই যে আপনার জন্মকুষ্টিতে মঙ্গল বেজায় দুর্বল স্থানে রয়েছে। সেক্ষেত্রে পরিবারের অন্দরে মনোমালিন্য এবং কলহ মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার আশঙ্কা যেমন বাড়ে, তেমনি সুখ-শান্তিও দূরে পালায়। শুধু তাই নয়, ভায়ে ভায়ে বিবাদ বাঁধার সম্ভাবনা থাকে। তাই সাবধান বন্ধু, সাবধান! এখন প্রশ্ন হল, কী করলে এমন ধরনের বিপদ থেকে দূরে থাকা সম্ভব হবে? এক্ষেত্রে প্রতি মঙ্গলবার হনুমান জির আরাধানা করা শুরু করতে হবে, সেই সঙ্গে মিষ্টি জাতীয় কিছু নিবেদন করতে হবে দেবের সামনে। তবেই কিন্তু মিলবে সুফল।
৩. বাসনপত্র ভাঙতে থাকলে:
নানা কারণে দিনের পর দিন যদি বাসনপত্র ভাঙতে শুরু করে, তাহলে জানবেন সাবধান হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। কারণ বিশেষজ্ঞদের মতে এমন ঘটনা ঘটতে থাকলে কোনও সন্দেহ থাকে না যে কুষ্টিতে চাঁদের অবস্থান দুর্বল হয়ে পরেছে। আর এমনটা হলে অর্থনৈতিক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা যেমন বৃদ্ধি পায়, তেমনি নানাবিধ রোগের আক্রমণে শরীর ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনাও থাকে। তাই তো এমন পরিস্থিতিতে বাড়ির প্রতিটি ঘরে সাদা আলো লাগাতে হবে, খেয়াল রাখতে হবে বাড়ির কোনও কোনা যেন অন্ধকার না থাকে। সেই সঙ্গে শুক্ল পক্ষের দিন, চাঁদকে জল নিবেদন করতে হবে। প্রসঙ্গত, এই নিয়মগুলি মেনে চললে কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে না।
৪. জল নষ্ট হতে থাকলে:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে বাড়ির কোনও কল থেকে যদি অনবরত জল পরতে থাকে, তাহলে বুঝতে হবে অর্থনৈতিক ক্ষতি হতে চলেছে। এক্ষেত্রে ঠাকুর ঘরে মা লক্ষ্মী এবং ধন দেবতা কুবরকে প্রতিষ্টিত করে শুরু করতে হবে আরাধনা। আসলে এই নিয়মটি মেনে চললে গৃহস্থের অন্দরে শুভ শক্তির প্রভাব বাড়তে শুরু করবে। ফলে একদিকে যেমন কোনও ধরনের অর্থনৈতিক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা কমবে, তেমনি যে কোনও ধরনের বিপদ ঘটার সম্ভাবনাও হ্রাস পাবে।
৫. ইলেকট্রনিক দ্রব্য:
যদি দেখেন একের পর এক ইলেকট্রনিক দ্রব্য খারাপ হতে শুরু করেছে, তাহলে মনে কোনও সন্দেহ রাখবেন না যে আপনার উপরে রাহুর প্রভাব পরেছে। এক্ষেত্রে অর্থনৈতিক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা যেমন বেড়ে যায়, তেমনি পরিবারে অন্দরে এত মাত্রায় ঝগড়া-ঝাটি হতে থাকে যে জীবন দুর্বিসহ হয়ে উঠতে সময় লাগে না। এখন প্রশ্ন হল রাহুর দোষ কাটানো যায় কীভাবে? এক্ষেত্রে প্রতি শনিবার গরীব মানুষদের খাবার দান করতে হবে। সেই সঙ্গে বাড়িতে যেন কোনও ভাঙা জিনিস না থাকে, সেদিকেও নজর রাখতে হবে। এর পাশাপাশি প্রতিদিন সন্ধ্যাবেলা তুলসি গাছের সামনে প্রদীপ জ্বালানো মাস্ট! প্রসঙ্গত, এই নিয়মগুলি মেনে চললে দেখবেন রাহুর দোষ কেটে যেতে সময় লাগবে না।