Just In
- 2 hrs ago রাতে খারাপ এবং ভয়ের স্বপ্ন আসে? সহজ জ্যোতিষী সমাধান স্বস্তি দেবে
- 4 hrs ago আপনি কি সেলফি তুলতে পছন্দ করেন? বিশেষজ্ঞরা বলছেন সেলফি স্বাস্থ্যকর
- 4 hrs ago হিন্দু নববর্ষের ৩ দিন আগেই গ্রহ পরিবর্তন, শনির প্রভাবে অর্থ-বৃষ্টির সম্ভাবনা এই রাশিগুলিতে
- 21 hrs ago এপ্রিল মাসে ৪ গ্রহের স্থান পরিবর্তন, রাজযোগ ও সৌভাগ্যে ফুলে ফেঁপে উঠবে এই রাশির জাতকরা, দেখুন
Shaheed Diwas: এই দিনেই ভগৎ সিং, সুখদেব এবং রাজগুরু দেশের জন্য নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন
নিজের দেশকে ভালবেসে, দেশের জন্য যেসমস্ত মুক্তিযোদ্ধারা নিজের প্রাণ বিসর্জন দিয়েছেন, তাদের মধ্যে অন্যতম হল - ভগৎ সিং, রাজগুরু এবং সুখদেব। এই তিন স্বাধীনতা সংগ্রামীর নাম ভারতের ইতিহাসে চিরকালের জন্য জ্বলজ্বল করবে। ১৯৩১ সালের ২৩ মার্চ অর্থাৎ আজকের দিনেই এই তিন সাহসী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের মাতৃভূমি ভারতের জন্য প্রাণ দিয়েছিলেন। তাঁদের এই ত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই তাঁদের মৃত্যুবার্ষিকীতে ভারতজুড়ে শহীদ দিবস পালন করা হয়। আমাদের দেশে ৩০ জানুয়ারিও শহীদ দিবস পালন করা হয়, কারণ ওইদিন মহাত্মা গান্ধীকে হত্যা করা হয়েছিল।
ব্রিটিশ পুলিশ অফিসার জন সন্ডার্সকে হত্যার দায়ে ব্রিটিশ সরকার ভগত সিং, শিবরাম রাজগুরু ও সুখদেবের ফাঁসি দিয়েছিল ১৯৩১ সালের ২৩ মার্চ। সাইমন কমিশনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারীদের উপর ক্ষুব্ধ হয়ে পুলিশ সুপার জেমস স্কট বিক্ষোভকারীদের উপর লাঠি চার্জ করার নির্দেশ দেন। এই লাঠিচার্জে বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা লালা লাজপত রায় গুরুতর আহত হয়েছিলেন। চিকিৎসায় থাকা সত্বেও তিনি সুস্থ হয়ে উঠতে পারেননি এবং ১৯২৮ সালের ১৭ নভেম্বর মাসে তিনি মারা যান। এরপর ভগৎ সিং প্রতিজ্ঞা করেন তিনি লালা লাজপত রাইয়ের মৃত্যুর প্রতিশোধ নেবেন।
জন সন্ডার্সকে গুলি করার পরে, ভগৎ সিং এবং তাঁর সহযোগীরা কেন্দ্রীয় বিধানসভায় বোমা বিস্ফোরণ করে পালিয়ে যান। ব্রিটিশ কর্মকর্তারা তাঁদের গ্রেপ্তারের জন্য তল্লাশি অভিযান চালান। ভগৎ সিং এবং তাঁর সহযোগীদের গ্রেপ্তার সম্পর্কিত আরও অনেক তথ্য রয়েছে। আসুন আমরা সেগুলি জেনে নিই।
আরও পড়ুন : চন্দ্রশেখর আজাদ : তাঁর মৃত্যুবার্ষিকীতে রইল কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
১) ১৯২৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর জন সন্ডার্স যখন লাহোরের জেলা পুলিশ সদর দপ্তর ছেড়ে নিজের বাড়ি যাচ্ছিলেন তখন তাকে গুলিবিদ্ধ করা হয়েছিল।
২) সন্ডার্সকে প্রথম গুলি করেছিলেন রাজগুরু, তাঁর মুখে মুখোশ পরা ছিল। তারপরে ভগৎ সিং বেশ কয়েকবার গুলি চালিয়েছিলেন।
৩) ভগৎ সিং ও তাঁর সহযোগীরা পালানোর সময় এক ভারতীয় পুলিশ কনস্টেবল তাঁদের ধাওয়া করেছিলেন। কিন্তু, সেই সময় মুক্তিযোদ্ধা চন্দ্রশেখর আজাদ এই কনস্টেবলকে গুলি করেন।
৪) ১৯২৯ সালের এপ্রিল মাসে, ভগৎ সিং এবং তাঁর সহযোগী বটুকেশ্বর দত্ত কেন্দ্রীয় বিধানসভায় দুটি বোমা নিক্ষেপ করেছিলেন।
৫) বিস্ফোরণের ফলে সভার কয়েকজন সদস্য আহত হন। ভগৎ সিং এবং বটুকেশ্বর দত্ত পালাতে পারতেন কিন্তু, তাঁরা সেখানে থেকে তাঁদের বিখ্যাত স্লোগান 'ইনকিলাব জিন্দাবাদ' উত্থাপিত করেছিলেন।
৬) গ্রেপ্তারের পর ভগৎ সিং প্রচুর জনসমর্থন ও সহানুভূতি অর্জন করেছিলেন। বেশ কয়েক মাস ধরে তাঁকে বন্দী করে রাখা হয়েছিল।
৭) তাঁর সহযোগীদেরও খুব অল্প সময়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল এবং তাঁদের সকলকে সন্ডার্স হত্যার জন্য বিচারে প্রেরণ করা হয়েছিল।
৮) ১৯৩১ সালে ভগৎ সিং, সুখদেব এবং রাজগুরু-কে ২৪ মার্চ ভোরে ফাঁসি দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিশাল জনতার জমায়েতের ভয়ে ১৯৩১ সালের ২৩ মার্চ রাতে তাঁদের ফাঁসি দেওয়া হয়।
ভগৎ সিং-এর যখন ফাঁসি হয়েছিল তখন তাঁর বয়স ছিল মাত্র ২৩ বছর। তিনি একটুও দ্বিধা না করে দেশের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। তাই, তিনি মারা গেলেও বহু প্রজন্মের কাছে তিনি অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবেন।