Just In
(ছবি) দুঃস্বপ্ন সম্পর্কে হাড় হিম করা তথ্য
ব্যক্তি বিশেষে এক একজনের ভাবনা, চিন্তা ও ব্যক্তিত্ব আলাদা হয়। আর এসবই আমাদের প্রচলিত ধারণায় মারাত্মক প্রভাব ফেলে। [প্রতিদিন যে মিথ্যা কথাগুলি বলে থাকি আমরা]
আর এর ফলে দুঃস্বপ্নের শিকার হন বহু মানুষ। কেউ কেউ তাকে স্বপ্ন ভেবে ভুলে গেলেও কিছু মানুষ তা নিয়ে চিন্তিত হয়ে নিজেকে অসুস্থ করে তোলেন। [কিছু জিনিস যা নিয়ে আফশোস করে সব ভারতীয়]
বিশেষজ্ঞরা বলেন, ঘুমের মধ্যে দেখা খারাপ স্বপ্ন বা দুঃস্বপ্ন আর কিছুই নয়, মানুষের মনের মধ্যে গেড়ে বসা ভয়ের বহিঃপ্রকাশ। ঘুমের মধ্যে আমরা বেশ কয়েকটি স্তরের মধ্য দিয়ে যাই। একটা সময় আসে যখন চোখের মণিগুলি খুব তাড়াতাড়ি ঘুরতে থাকে। এই সময়েই আমরা নানারকম দুঃস্বপ্ন দেখে থাকি। নিচের স্লাইডে দেখে নিন, দুঃস্বপ্ন নিয়ে কয়েকটি অজানা তথ্য। [মানুষের শরীরের নানা চাঞ্চল্যকর অজানা তথ্য]
দুঃস্বপ্নের আক্ষরিক অর্থ
'দুঃস্বপ্ন' বা 'নাইটমেয়ার' শব্দটি এসেছে জার্মান শব্দ 'মেয়ার' থেকে। এর অর্থ ঘুমানোর সময়ে অপদেবতা এসে বসে বুকের উপরে।
ঘটনার আকস্মিক পরিবর্তন
যদি আপনি নিয়মিত দুঃস্বপ্ন দেখতে শুরু করেন তাহলে ঘাবড়াবেন না। ইচ্ছাশক্তির জোরে দুঃস্বপ্নকে নিজেই বন্ধ করতে পারার ক্ষমতা আপনার রয়েছে। একে বিজ্ঞানের ভাষায় বলে 'লুসিড ড্রিমিং', যেখানে একজন ব্যক্তি স্বপ্নের প্লট পাল্টে দিতে পারেন।
ভুল সময়ে খাওয়া
বহু মানুষই রাতে শুয়ে দুঃস্বপ্ন দেখেন। তার অন্যতম কারণ বেশি রাতে খাওয়া। দেরি করে খেলে আমাদের মেটাবলিজম অন্যরকম হয় যা মস্তিষ্ককে বেশিমাত্রায় সচল করে তোলে। আর ফল হিসাবে নানারকম স্বপ্ন দেখে থাকি আমরা। তাই ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত ঘণ্টা ২ আগে রাতের খাবার খাওয়া উচিত।
অনিদ্রার শিকার হওয়া
পরীক্ষায় প্রমাণিত হয়েছে যে, অনিদ্রা বা ইনসমনিয়ার শিকার ব্যক্তিরা বেশি করে দুঃস্বপ্ন দেখেন। এতে আক্রান্ত ৫-৬ শতাংশ মানুষ দুঃস্বপ্নের ভয়ে ঘুমাতে যেতেই ভয় পান। ফলে তাদের আরও নানারকম শারীরিক সমস্যা তৈরি হয়।
তাড়াতাড়ি ঘুমানো
গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যারা তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যান অথবা, সুস্থ জীবনযাপনে অভ্যস্ত, তারা দুঃস্বপ্নের শিকার হন না।
রোমান সভ্যতার সময়ে এটি নিয়ে আলোচনা
মানবসভ্যতার একেবারে প্রথম থেকেই দুঃস্বপ্নের ঘটনা চলে আসছে। রোমান সভ্যতার সময়ে কেউ দুঃস্বপ্ন দেখলে সেখানকার সেনেটে তা নিয়ে রীতিমতো আলোচনা হত।
দ্যঁ ভুঁ
এর মানে যা আগে চাক্ষুষ করা হয়ে গিয়েছে। বহু মানুষ একবার চাক্ষুষ করা ঘটনা দুঃস্বপ্নের আকারে দেখেন। ছেলেদের চেয়ে মেয়েদের মধ্যে এই প্রবণতা বেশি করে দেখা যায়। এমন ঘটনা খুব তাড়াতাড়ি ক্লান্ত ও মনকে দুর্বল করে দেয়।
চিকিৎসকের পরামর্শ
যদি আপনি দেখেন নিয়মিত আপনি দুঃস্বপ্নের শিকার হচ্ছেন, তাহলে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
কড়া ডোজের ওষুধের প্রভাব
হাঁপানি, অ্যালার্জি ইত্যাদির কড়া ডোজের ওষুধ খেলে দুঃস্বপ্নের ভূত তাড়া করে। আবার হঠাৎ করে তা ছেড়ে দিলেও দুঃস্বপ্ন দেখা কম হয় না।
ঘুমের ঘাটতি
নিয়মিত হারে ঘুমের ঘাটতি হলে দুঃস্বপ্ন তাড়া করে বেড়ায়। তাই ঘুমানোর আগে মাথাকে যতটা চিন্তামুক্ত রাখা যায় ততই মঙ্গল।