Just In
স্বাধীনতা দিবসের দিন শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ইনি, জানুন এই বীর মুক্তিযোদ্ধার সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য
১৫ অগস্ট, এই দিনটি সমগ্র ভারতবাসীর কাছেই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ১৯৪৭ সালের এই দিনেই ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্তিলাভ করেছিল ভারত। স্বাধীনতার মুখ দেখেছিল দেশবাসী। তাই প্রতিবছর এই দিনটি মহা সমারোহে উদযাপিত হয়ে থাকে। তবে, কোভিডের কারণে অন্যান্য বছরের তুলনায় এই বছরের স্বাধীনতা দিবস উদযাপন একটু অন্যরকম হলেও এটি কোনওভাবেই মানুষের মন থেকে স্বাধীনতা দিবস নিয়ে উৎসাহ বা দেশপ্রেমকে কমিয়ে দেবে না।
স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের সময় সর্বপ্রথম আমাদের সেই মানুষগুলোর কথা মনে পড়ে, যাদের প্রাণের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনভাবে বাঁচতে পেরেছি। সেইসব বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে অন্যতম হলেন সর্দার অজিত সিং। তিনি ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। আজ আমরা তাঁর সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য আপনাদের জানাব।
১) সর্দার অজিত সিং ১৮৮১ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি পাঞ্জাবের জলন্ধর জেলায় এক স্বদেশপ্রেমী এবং চরম জাতীয়তাবাদী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামের শহীদ ভগৎ সিং-এর কাকা ছিলেন।
২) তাঁর গোটা পরিবার গভীরভাবে আর্য সমাজ দর্শনের নীতি দ্বারা প্রভাবিত ছিল।
৩) তিনিই পাঞ্জাবের প্রথম প্রতিবাদকারীদের মধ্যে একজন ছিলেন, যিনি ব্রিটিশ রাজের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছিলেন।
৪) তিনি তাঁর কয়েকজন বিশ্বস্ত বন্ধুদের সাথে 'পাগড়ি সাম্ভাল জাত্তা' নামে একটি আন্দোলন করেছিলেন। এই আন্দোলনটি বেশিরভাগ পাঞ্জাবের কৃষকদের নিয়ে হয়েছিল। তাঁকে এই আন্দোলনের নায়ক বলা হয়।
৫) ১৯০৭ সালে তাঁকে লালা লাজপত রায়-এর সাথে বার্মার এক কারাগারে নির্বাসন দেওয়া হয়। এখান থেকে মুক্তির পরে, অজিত সিং ইরানে পালিয়ে যান এবং একটি বিপ্লবী গোষ্ঠী গড়ে তোলেন।
৬) ইরানে ৩৮ বছর নির্বাসিত থাকাকালীন, তিনি বহু বিপ্লবী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেছিলেন। তিনি পুরুষদের ব্রিটিশ রাজের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন : কে এই 'গুঞ্জন সাক্সেনা', জানুন কেন তাঁকে কার্গিল গার্ল বলা হয়
৭) ১৯১৮ সালে তিনি সান ফ্রান্সিসকো-তে গদর পার্টির সংস্পর্শে আসেন এবং তাদের সঙ্গে কাজ করা শুরু করেন। তারপরে ১৯৩৯ সালে তিনি ইউরোপে গিয়ে সুভাষ চন্দ্র বসু-এর সঙ্গে দেখা করেন। এরপরে দু'জন একসঙ্গে অনেক কাজ করেছিলেন।
৮) ৩৮ বছর নির্বাসনে থাকার পরে, পণ্ডিত জওহরলাল নেহেরুর আমন্ত্রণে ১৯৪৬ সালে সর্দার অজিত সিং ভারতে ফিরে আসেন। তিনি কিছু সময় দিল্লিতে ছিলেন, তারপরে তিনি ডালহৌসিতে যান।
৯) ১৯৪৭ সালের ১৫ অগাষ্ট সকালে সর্দার অজিত সিং তাঁর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।