Just In
- 5 hrs ago রাতে খারাপ এবং ভয়ের স্বপ্ন আসে? সহজ জ্যোতিষী সমাধান স্বস্তি দেবে
- 7 hrs ago আপনি কি সেলফি তুলতে পছন্দ করেন? বিশেষজ্ঞরা বলছেন সেলফি স্বাস্থ্যকর
- 7 hrs ago হিন্দু নববর্ষের ৩ দিন আগেই গ্রহ পরিবর্তন, শনির প্রভাবে অর্থ-বৃষ্টির সম্ভাবনা এই রাশিগুলিতে
- 24 hrs ago এপ্রিল মাসে ৪ গ্রহের স্থান পরিবর্তন, রাজযোগ ও সৌভাগ্যে ফুলে ফেঁপে উঠবে এই রাশির জাতকরা, দেখুন
মেজর ধ্যানচাঁদ সিং : আজ জাতীয় ক্রীড়া দিবসে জেনে নিন তাঁর সম্পর্কে কিছু তথ্য
আজ জাতীয় ক্রীড়া দিবস ( National Sports Day)। প্রতিবছর ২৯ অগাষ্ট কিংবদন্তি হকি খেলোয়াড় মেজর ধ্যানচাঁদ সিং -এর জন্মদিন উপলক্ষ্যে জাতীয় ক্রীড়া দিবস পালন করা হয়। শুধু ভারতেই নয়, সারা বিশ্বের হকি খেলোয়াড়দের মধ্যে সেরা হকি খেলোয়াড় হিসেবে ধরা হয় ধ্যানচাঁদকে। তাঁকে হকির জাদুকরও বলা হত।বিশ্ব হকিতেও তাঁর অবদান অতুলনীয়। এই দিনেই রাষ্ট্রপতি অর্জুন ও রাজীব খেলরত্ন পুরস্কার, দ্রোণাচার্য পুরস্কার তুলে দেন ক্রীড়াজগতে দেশের কৃতিদের হাতে।
স্বাধীনতার আগে ভারতের ক্রীড়াজগতে তাঁর অবদান আজও স্মরণীয় । তাঁর অসাধারণ প্রতিভার বলে ১৯২৮, ১৯৩২ ও ১৯৩৬ সালে অলিম্পিকে ভারত হকিতে সোনা জেতে। ১৯২৬ সাল থেকে ১৯৪৯ পর্যন্ত তিনি তাঁর পুরো কেরিয়ারে ৪০০-র উপরে গোল করেছেন। ১৯৫৬ সালে তিনি ভারত সরকারের পক্ষ থেকে পদ্মভূষণ পুরষ্কার পান। ভারতের ক্রীড়াক্ষেত্রে সর্বোচ্চ পুরস্কারই তাঁরই নামে নামাঙ্কিত। 'লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট ' পুরস্কার তাঁর নাম করেই দেওয়া হয় মেজর ধ্যানচাঁদ পুরস্কার।
তিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন ১৯০৫ সালের ২৯ অগাস্ট প্রয়াগরাজে, পূর্বের এলাহাবাদে। বাবা সোমেশ্বর সিং সেনাবাহিনীতে চাকরি করতেন। তাই তাঁরা মধ্যপ্রদেশের ঝাঁসিতে চলে আসেন। তাঁর বাবাও সেনাদলে নিয়মিত হকি খেলতেন। মায়ের নাম সারদা সিং। দুই ভাই ছিল ধ্যানচাঁদের, রূপ সিং ও মূল সিং। রূপ সিং-ও ছিলেন বিখ্যাত হকি খেলোয়াড়। দাদার মতো সেও খুব ভালো হকি খেলত। শৈশবে খেলাধুলোর মধ্যে ধ্যানচাঁদ পছন্দ করতেন কুস্তি খেলতে। স্বপ্ন ছিল কুস্তিগীর হওয়া।
মাত্র ১৬ বছর বয়সে ধ্যানচাঁদ ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। আর তাঁর হকি খেলা মোটামুটিভাবে সেখান থেকেই শুরু। ধীরে ধীরে হকির প্রতি ভালবাসা জন্মায় তাঁর। কাজের পরে রাতে তিনি হকি প্র্যাকটিস করতেন। তখন এত লাইটের ব্যবস্থা ছিল না। তাই তিনি অপেক্ষা করতেন কবে পূর্ণিমা আসবে। চাঁদের আলোয় বেশিক্ষণ অনুশীলন করতে পারবেন। জ্যোত্স্নায় অনুশীলন করতেন বলে, সেই থেকে তাঁর নাম হয় ধ্যানচাঁদ। মেজর পদে থাকাকালীন তিনি সেনাবাহিনী থেকে অবসর নেন।
১৯২৮ সালে আমস্টারডাম অলিম্পিকে সর্বাধিক গোল করেছিলেন ধ্যানচাঁদ। পুরো টুর্নামেন্টে মোট ১৪টি গোল করেন তিনি। ১৯৩২ অলিম্পিকে আমেরিকাকে ২৪-১ এবং জাপানকে ১১-১ ব্যবধানে হারায় ভারত। এই দু'টি ম্যাচে ১২টি গোল করেছিলেন ধ্যানচাঁদ। বাকি ১৩টি গোল করেন তাঁর ভাই রূপ সিংহের। শোনা যায়, তাঁর খেলা দেখে হিটলারও মুগ্ধ হয়েছিলেন এবং তাঁকে জার্মান নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলেছিলেন তিনি। কিন্তু, ধ্যানচাঁদ এই প্রস্তাবে রাজি হননি।
তাঁকে সম্মান জানিয়ে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় তৈরি হয়েছে তাঁর মূর্তি।