Just In
(ছবি) ভারতের এই ৭ যৌনপল্লির বিষয়ে আপনি কি জানেন?
যে কোনও জিনিসের ক্ষেত্রে যোগান তখনই সম্ভব যখন চাহিদা থাকে। যোগান না থাকলে চাহিদাও শেষ হতে শুরু করে। যৌনব্যবসার নিয়মটাও একই গতে চলে। যৌনকর্মীদের চাহিদা আছে বলেই যৌনপল্লি রমরমিয়ে চলে।[(ছবি) দেহ ব্যবসার অভিযোগে গ্রেফতার 'কাহানি ঘর ঘর কি'-র ছোট্ট 'শ্রুতি']
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে, শহরের বিভিন্ন প্রান্তে দেখা যায় যৌনপল্লি। রাতের অন্ধকারেই জেগে ওঠে এই ঠিকানা। লেনদেন, কেনাবেচা, দরকষাকষিতে রমরমিয়ে চলে এই পল্লির দুনিয়াটা। [ বেশ্যাবৃত্তিকে আইনত করা হোক, প্রস্তাব মহিলা কমিশন সদস্যার]
দেশে বিদেশে অগণতির শিশু কন্যা, তরুণী, যুবতীদের পাচার করা হয়। কারও খোঁজ মেলে, কারও মেলেও না, কারোর তো পুলিশের কাছে অভিযোগও দায়ের হয় না। এদের একটা বড় অংশেরই ভাগ্যে জোটে শরীর বেচার ব্যবসা।
তবে এই সমস্ত এলাকার সমস্ত কর্মীরাই যে দুর্ভাগ্যবশত এখানে এসে পৌঁছেছে তা নয়, অনেকে স্বেচ্ছায় এই পেশায় রয়েছেন। ভারতেই এমন বেশ কিছু যৌনপল্লি রয়েছে যা অত্যন্ত জনপ্রিয়। সেই জায়গাগুলো সম্পর্কে কী আপনি জানেন।
সোনারগাছি (কলকাতা)
উত্তর কলকাতার সোনারগাছি এশিয়ার সবচেয়ে বড় যৌনপল্লি। শুধু তাই নয়, এশিয়ার সর্বপ্রাচীন যৌনপল্লিও বটে।
জিবি রোড (নয়াদিল্লি)
সরু সরু রাস্তার দুধারে ছোট ছোট বহুতল। নিচের তলায় নানা দোকানপাঠ রয়েছে। আর উপরের তলগুলিতে চুটিয়ে চলে দেহব্যবসা। এখান থেকে নাকি সারা ভারতে মেয়েদের বিক্রিও করা হয়।
কামাথিপুরা (মুম্বই)
এই রাস্তা বম্বের রেড স্ট্রিট নামেই পরিচিত। এটি এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম যৌনপল্লি। মুম্বইয়ের অন্য অংশের চেয়ে এই এলাকতেই অপরাধের হার সবচেয়ে বেশি।
গঙ্গা যমুনা (নাগপুর)
মহারাষ্ট্রের কুখ্যাত যৌনপল্লি এই এলাকায় অবস্থিত। শুধু দেহব্যবসা নয়, পাচার, চোরাকারবারের মতো নানাবিধ অপরাধমূলক কাজের জন্য নাম রয়েছে এই এলাকার।
শিবদাসপুর (বারাণসী)
বারাণসীর ঐতিহাসিক সত্ত্বা তো রয়েছে বটেই। এখানকার 'বেশ্যা সংস্কৃতি'-ই সেই প্রাচীন কাল থেকেই চলে আসছে। উত্তরপ্রদেশের সবচেয়ে বড় যৌনপল্লি হল শিবদাসপুরে।
চতুর্ভূজস্থান (মুজাফ্ফরনগর)
বহু ভক্ত যারা এখানে আসেন তাদের অধিকাংশই জানেন না, এখানে বিভিন্ন মন্দিরের সংলগ্ন এলাকাতেও ছোট ছোট যৌনপল্লি রয়েছে। এখানে দেহব্যবসার পাশাপাশি মুজরার আসর এখনও বসে, এবং তা দেখতে বাইরে থেকেও লোক আসে।
মীরগঞ্জ (এলাহবাদ)
এই জায়গা নারী পাচারের জন্য কুখ্যাত। বিশেষ করে গ্রামের থেকে ছোট ছোট মেয়েদের নিয়ে এসে এখানে বেশ্যাবৃত্তিতে নামানো হতো কিংবা চড়া দামে তাদের বিক্রি করা হত। এই এলাকায় অপরাধের হার অনেক বেশি।
বুধওয়ার পেঠ, পুণে
ইলেকট্রনিক্স এবং বইয়ের ক্ষেত্রে এই এলাকার শহরের অন্যতম ব্যস্ত বাজার। এই এলাকায় গণেশ মন্দিরও রয়েছে। ঈশ্বরের নাম করে এখানে দেহব্যবসা হয়।