Just In
- 14 hrs ago এপ্রিল মাসে ৪ গ্রহের স্থান পরিবর্তন, রাজযোগ ও সৌভাগ্যে ফুলে ফেঁপে উঠবে এই রাশির জাতকরা, দেখুন
- 15 hrs ago আপনার কি ক্রমাগত কান চুলকাচ্ছেন? অজান্তেই ডেকে আনচ্ছেন বড় বিপদ
- 19 hrs ago মসুর ডাল খেতে ভালোবাসেন? কিন্তু অতিরিক্ত খেলে হতে পারে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া!
- 20 hrs ago অনলাইন গেমে বাচ্চারা ঘরকুঁনো! জানেন কি স্বাস্থ্যের জন্য় কতটা উপকারি আউটডোর গেম?
বাড়িতে রাধা-কৃষ্ণের ছবি রাখলে কী হতে পারে জানেন?
বাড়ির অন্দরে রাধা-কৃষ্ণের ছবি রাখা কি শুভ? বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে এই ধরনের ছবি রাখলে পরিবারের অন্দরে সুখ-সমৃদ্ধির বিকাশ যেমন ঘটে, তেমনি স্বামী-স্ত্রীর মধ্য়ে ভালবাসাও বাড়তে থাকে।
বাস্তুশাস্ত্র মতে ছবি বা মূর্তি যে কেবল ঘরের সৌন্দর্য বাড়ায়, এমন নয়, সেই সঙ্গে গৃহস্থের অন্দরে পজেটিভ শক্তির বিকাশও ঘটায়। তাই তো ঠিক ঠিক নিয়ম মেনে যদি পেন্টিং রাখা না যায়, তাহলে খারাপ শক্তি মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার আশঙ্কা বাড়ে। আর এমনটা হলে একের পর এক খারাপ ঘটনা ঘটতে শুরু করে। সেই সঙ্গে অর্থনৈতিক সমস্যাও লেজুড় হয়। এই কারণেই যে কোনও পেন্টিং কেনার আগে একবার জেনে নেওয়া উচিত সেই ছবিটি বাড়াতে রাখা উচিত কিনা, আর যদি রাখা যায়ও তাহলে বাড়ির কোন অংশে তা রাখতে হবে, সে সম্পর্কেও জেনে নেওয়া উচিত।
এখন প্রশ্ন হল, বাড়িতে রাধা-কৃষ্ণের ছবি রাখা উচিত কি? এই প্রশ্নের উত্তর মিলবে। তবে তার আগে পেন্টিং কীভাবে আমাদের জীবনে ঘটতে চলা ভাল-মন্দ ঘটনাকে প্রভাবিত করে, সে সম্পর্কে একটু জেনে নেওয়া উচিত।
বাস্তুশাস্ত্রের উপর লেখা একাধিক বই অনুসারে বাড়ির অন্দরে ছোট থেকে বড়, যা কিছুই থাকে না কেন, তা হয় পজেটিভ শক্তির প্রভাব বাড়ায়, নয়তো খারাপ শক্তিকে আমন্ত্রণ জানায়। একই রকমভাবে পেন্টিংও নানাভাবে আমাদের জীবনকে প্রভাবিত করে থাকে। যেমন ধরুন- ঝর্ণা বা জলপ্রপাত সম্পর্কিত পেন্টিং সব সময় উত্তর দিকের দেওয়ালে ঝোলানো উচিত। এমনটা করলে নাকি পরিবারে সুখ-শান্তি বজায় থাকে। একই রকমভাবে বাড়ির দক্ষিণ দিকের দেওয়ালে রাখা উচিত পরিবারের সদস্যদের ছবি। এখানেই শেষ নয়, এমন আরও অনেক নিয়ম আছে, যা মেনে চললে কোনও দিন কষ্টের সম্মুখিন হতে হয় না। উল্টে নানা ধরনের বিপদ আসার সম্ভাবনাও হ্রাস পায়।
এবার ফিরে যাওয়া যাক সেই প্রথম প্রশ্নে যে বাড়ির অন্দরে রাধা-কৃষ্ণের ছবি রাখা কি শুভ? বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে এই ধরনের ছবি রাখলে পরিবারের অন্দরে সুখ-সমৃদ্ধির বিকাশ যেমন ঘটে, তেমনি স্বামী-স্ত্রীর মধ্য়ে ভালবাসাও বাড়তে থাকে। কিন্তু এক্ষেত্রে কতগুলি নিয়ম মেনে চলা জরুরি। না হলে ভাল হওয়ার পরিবর্তে কিন্তু খারাপ হওয়ার আশঙ্কা যায় বেড়ে।
এক্ষেত্রে কী কী নিয়ম মেনে চলতে হবে?
১. শোয়ার ঘরে রাখতে হবে এই ছবি:
বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে শেয়ার ঘরে কোনও ধরনের ঠাকুরের ছবি বা মূর্তি রাখা উচিত নয়। কারণ এমনটা করলে নাকি ভগবানের শক্তি কমতে শুরু করে। ফলে শুভ শক্তির পরিবর্তে বাড়ির চারদেওয়ালের অন্দরে জায়গা করে নেয় খারাপ শক্তি। তাই ভুলেও ভগবানের ছবি বা মূর্তি শোয়ার ঘরে রাখবেন না যেন! কিন্তু এই নিয়ম রাধা-কৃষ্ণের ছবির ক্ষেত্রে খাটে না। কারণ বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে কৃষ্ণ হলেন ভগবান বিষ্ণুর অবতার, আর মা রাধা হলেন মা লক্ষ্মীর রুপ, যারা হলেন ভালবাসার প্রতীক। তাই রাধা-কৃষ্ণের ছবি রাখলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যেকার সম্পর্কের উন্নতি ঘটে। সেই সঙ্গে ঝগড়া-ঝাটির আশঙ্কাও কমতে থাকে। ফলে পরিবারে সুখ-শান্তি বজায় থাকে।
২. মনের মতো জীবনসঙ্গী মিলবে:
একলা থাকতে কি আর মন চাইছে না? মনে হচ্ছে মনের মতো যদি একজন সঙ্গী পাওয়া যেত, তাহলে জীবনের মানেটাই বদলে যেত! কোনও চিন্তা নেই শোয়ার ঘরে রাধা-কৃষ্ণের ছবি রাখুন। দেখবেন বেশি দিন আর একা থাকতে হবে না। কারণ এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে অবিবাহিত পুরুষ বা মহিলার ঘরে যদি রাধা-কৃষ্ণের ছবি রাখা যায়, তাহলে মনের মতো জীবনসঙ্গী পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।
৩. স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের উন্নতি ঘটে:
কথায় বলে পরিবারের ভিতকে যদি শক্তপোক্ত করতে হয়, তাহলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যেকার সম্পর্ককে সুন্দর করে তুলতে হবে। না হলেই কিন্তু বিপদ। তাই স্বামী অথবা স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক যাতে খারাপ না হয় সেদিকে খেয়াল রাখবেন। আর এই কাজটি করবেন কীভাবে? এক্ষেত্রে একটি নিয়ম মেনে চলতে হবে। কী নিয়ম? বাড়ির সদর দরজার ঠিক উল্টো দিকে রাধা-কৃষ্ণের একটি ছবি ঝোলাতে হবে। এমনটা করলে দেখবেন হাজারো জটিলতার মাঝেও স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে অবনতি ঘটবে না। উল্টে ভালবাসা বাড়তে থাকবে।
উপহার হিসেবে দেওয়া চলবে কি?
বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে উপহার হিসেবে যদি রাধা-কৃষ্ণের মূর্তি বা ছবি কাউকে দেওয়া যায়, তাহলে যিনি উপহার দিচ্ছেন, তিনি তো সুফল পানই, সেই সঙ্গে যাকে উপহার দাওয়া হচ্ছে, তার বাড়িতেও ভগবানের আশীর্বাদ বজায় থাকে। ফলে কোনও ধরনের খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কা কমে। সেই সঙ্গে সুখ-সমৃদ্ধির পথও প্রশস্থ হয়।
৫. যে যে পেন্টিং একেবারেই বাড়িতে রাখা চলবে না:
বাস্তুশাস্ত্র মতে কান্নার ছবি, কোনও যুদ্ধ বা তার কোনও চরিত্রের যবি, বিশেষত কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের কোনও ছবি এবং কোনও পশু বা পাখির ছবি ভুলেও বাড়িতে রাখা চলবে না। কারণ এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে এই ধরনের ছবি রাখলে নানা ধরনের বিপদ হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে নেগেটিভ শক্তির প্রভাব বাড়ার কারণে নানাবিধ অর্থনৈতিক সমস্যার সম্মুখিন হওয়ার আশঙ্কাও যায় বেড়ে।