Just In
(ছবি) এই ১০টি কুসংষ্কার মেনে চলে অধিকাংশ ভারতীয়
এই একবিংশ শতাব্দিতে পৌঁছেও অধিকাংশ ভারতবাসী কুসংস্কারাচ্ছন্ন। সমাজের উঁচুতলা থেকে শুরু করে নিচুতলা পর্যন্ত সবজায়গার মানুষকে এটি গ্রাস করে রেখেছে। [এই ১০টি জিনিসে আক্কেল গুড়ুম হয় প্রত্যেক ভারতীয়র]
নিত্য জীবনযাপনে আমরা একাধিক কুসংষ্কারকে মেনে চলি। কিছুর বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা থাকলেও অধিকাংশেরই কোনও ব্যাখ্যা বিজ্ঞানে পাওয়া যায় না। তবুও মনেপ্রাণে বিশ্বাস রেখে তা মেনে চলি আমরা। [কিছু জিনিস যা নিয়ে আফশোস করে সব ভারতীয়]
সবচেয়ে মজার কথা, যতদিন এগিয়েছে, মানুষ শিক্ষিত হয়েছে। সেইসঙ্গে এসব কুসংষ্কার ও ভ্রান্ত ধারণাও কমে আসার কথা। তবে না, উচ্চশিক্ষিতদের মধ্যেও গেঁড়ে বসে রয়েছে নানা অযৌক্তিক ভাবনা। [পুরুষদের সম্পর্কে কয়েকটি তথ্য, যা শুনলে চোখ কপালে উঠবে]
নিচের স্লাইডে ক্লিক করে দেখে নিন এমন কয়েকটি কুসংষ্কারের কথা যা অধিকাংশ ভারতীয় মেনে চলেন। [এই ১০ টা ভুল পুরুষেরা আকছার করেই থাকে]
কালো বিড়াল
এমনিতে যেকোনও বিড়াল পথ কাটলেই আমাদের মনে অস্বস্তি হতে থাকে। তবে যদি কোনওভাবে কালো বিড়াল পথ কাটে তাহলে আর রক্ষা নেই। কারণ শুভ কাজে বেরিয়ে কালো বিড়ালের পথ কাটা ভয়ঙ্কর অশুভ বলে মনে করা হয়।
সূর্যগ্রহণ
সূর্যগ্রহণ ও চন্দ্রগ্রহণ নিয়ে নানা কুসংষ্কার রয়েছে। হিন্দু পুরাণ অনুযায়ী এই সময়ে রাহু এসে সূর্য ও চন্দ্রকে গ্রাস করে। ফলে সকলকে ঘরের মধ্যে থাকার কথা বলা হয়। বিশেষ করে গর্ভবতী মহিলাদের সন্তান যাতে কোনওরকম সমস্যা না নিয়ে জন্মায় তাই তাদের বাইরে বেরনো আরও বেশি করে বারণ।
লেবু-লঙ্কা
অপদেবতা বা বাজে কিছুকে ধ্বংস করতে বাড়ির গেটে, দোকানের দরজায় অথবা গাড়ির মধ্যে অনেকে লেবু-লঙ্কা একসঙ্গে সুতোয় গেঁথে ঝুলিয়ে রাখে। এতে লেবুর সঙ্গে মোট ৭টি লঙ্কা থাকে। এটিকে শুভ মনে করা হয়। দুর্ভাগ্য কাটিয়ে সৌভাগ্য ফেরাতে এমন করা হয়।
মেয়েদের শারীরিক সমস্যা
মেয়েদের মাসিককে ভয়ঙ্কর অশুভ বলে ধরা হয়। এই সময়ে কোনও শুভ কাজে মেয়েরা যোগ দেয় না। এমনকী ঠাকুরঘরেও মেয়েদের ঢোকা বারণ। আগেকারদিনে এমন হওয়া মেয়েদের মুখ দেখাও পাপ বলে মনে করা হত।
নখ কাটা
সপ্তাহের বিশেষ দিনে অথবা সূর্য ডোবার পরে নখ কাটেন না বহু ভারতীয়। বিশেষ করে মঙ্গলবার, বৃহস্পতিবার ও শনিবারে নখ কাটলে ভাগ্য প্রসন্ন হয় না, এমনটাই প্রচলিত রয়েছে।
এক টাকা
আমরা ভারতীয়রা এক টাকাকে শুভ মনে করি। কোথাও চাঁদা দিতে হল বা অনুদান করতে হলে অথবা কোনও অনুষ্ঠানে গিফট হিসাবে নগদ টাকা দেওয়ার সময়ে আমরা মোট টাকার সঙ্গে একটি এক টাকার কয়েন যোগ করে দিই। এর কোনও বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা না থাকলেও এটা আমরা করে থাকি।
অশ্বত্থ গাছ
ভারতে মনে করা হয়, অশ্বত্থ গাছে অপদেবতা বাস করে। যার কোনও ব্যাখ্যা পাওয়া যায় না। আসলে রাতের দিকে এই গাছ থেকে বেশি পরিমাণে কার্বন-ডাই-অক্সাইড নির্গত হয় যা মানুষের শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।
শনিবার
শনিবার দিনটি শনি ঠাকুরের দিন বলে মনে করা হয়। শনি দেবতা ভয়ঙ্কর বদরাগী ফলে এইদিনে কোনও শুভ কাজ করা হয় না।
বিধবা মহিলা
বৈধব্য লাভ করা মহিলারা কোনও শুভ কাজে অংশ নিতে পারেন না। তাদের একঘরে করে রাখ হয়। সাদা বস্ত্র পরে বাকী জীবন নিরামিষ খেয়ে কাটাতে হয়। কোনও বিধবার মুখ দেখে শুভ কাজ শুরু করতে নেই বলেও ধারণা ভারতীয়দের।
এক চোখ দেখা
কোথাও বেরিয়ে এক চোখ দেখলে বা চোখ কটকট করলে তাকে ভালো বলে মনে করা হয় না। ভাবা হয়, কিছু বোধহয় খারাপ হতে চলেছে।