Just In
- 13 hrs ago ঠাকুরকে নিত্যভোগ দেওয়ার সময় ঘণ্টা বাজে কেন? জানেন কি এর পিছনের রহস্য
- 14 hrs ago প্রখর রোদ থেকে স্বস্তি পেতে বাড়িতেই বানিয়ে নিন এই শরবতগুলি, ঠান্ডা রাখবে শরীরও
- 17 hrs ago গরমে এই পানীয়গুলি খেলে আপনিও থাকবেন হাইড্রেটেড ও সতেজ
- 19 hrs ago কাঠফাটা রোদ থেকে বাঁচতে কী করবেন? এড়িয়ে চলুন চা-কফি
জোয়ারের সময় জলের নিচে থাকে এই জায়গাগুলি
সারা বিশ্ব ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এমন কিছু দ্বীপ যা জোয়ার এলেই লুকিয়ে পরে জলের অন্দরে। আরও জানতে পাড়ে ফেলুন এই প্রবন্ধটি।
জোয়ারের সময় জলের নিচে থাকে এই জায়গাগুলি
এমন কোনও জায়গায় থাকতে কি আপনি ভলোবাসবেন যে জায়গা জল দিয়ে ঘরে? শুনতে দারুন লাগছে তাই না! পৃথিবীতে এমন অনেক জায়গা আছে যেখানে আপনার এই স্বপ্ন পূরণ হতে পারে। সমস্য়া একটাই। এই জায়গাগুলির অস্তিত্ব জোয়ারের সময় প্রায় থাকে না বললেই চলে। বিশ্বাস হচ্ছে না তো? আসলে গত কয়েক দশক ধরে আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে অনেক কিছুই বদলে যাচ্ছে আমাদের আশেপাশে। আর এই দ্বীপগুলির সাময়িকভাবে হারিয়ে যাওয়ার ঘটনাও হয়তো সেই কারণে হচ্ছে। আবহাওয়াবিদরা তো সতর্ক করেই রেখেছেন যে এমনটা যদি আর কেয়েক দশক ধরে হতে থাকে তাহলে হয়তো জোয়ারের জলে ভেসেই যাবে এই দ্বীপগুলি।
চলুন তাহলে দেখে নেওয়া যাক সেই সব দ্বীপগুলি সম্পর্কে যেগুলি বছরের পর বছর ধরে জলের সঙ্গে লড়াই করে বেঁচে আছে।
ফান্সের এক রাস্তা:
ফান্সে একটি রাস্তা আছে যা দিনে দুবার গায়েব হয়ে যায়। ঠাট্টা হচ্ছে নাকি মশাই! রাস্তা আবার গায়েব হবে কীভাবে? আসলে প্য়াসেজ ডু গোইস নামে খ্য়াত এই রাস্তাটি গল্ফ অব বুর্নেফের সঙ্গে নৈরমৌটিওর দ্বীপের সংযোগ রক্ষা করে। আর যখনই জোয়ার আসে তখনই ২.৫৮ মাইল লম্বা এই রাস্তাটি ১৩ ফুট জলের তলায় চলে যায়। সেই কারণেই তো জনসাধারণ দিনে মাত্র দুবার এই রাস্তাটি ব্য়বহার করার সুযোগ পায়।
দি শিবলিঙ্গ:
গুজরাটের কভি কম্বোই এ অবস্থিত স্তম্ভেশ্বর মহাদেব মন্দিরের শিবলিঙ্গটি কেবল মাত্র ভাটার সময়ই দেখা যায়। সমুদ্রর খুব কাছাকাছি হওয়ার কারণে যখনই জোয়ার আসে, তখনই মন্দিরটি জলের তলায় চলে যায়। তাই একমাত্র ভাটার সময়ই ভক্তরা এই মন্দিরে পুজা দেওয়ার সুযোগ পান।
এক দ্বীপ দুর্গ:
ফান্সের উত্তর-পশ্চিম উপকূল থেকে মাত্র ০.৬ কিমি দূরে অবস্থিত মাউন্ট সেন্ট মাইকেল নামে একটি দুর্গ। প্রচীন এই স্তাপত্য়ের বৈশিষ্ট কী জানেন! একমাত্র ভাটার সময়ই এই দুর্গে যাওয়া সম্ভব হয়। কারণ বাকি সময় এটি জল দ্বারা বেষ্টিত থাকে।
দি সি পার্টিং উৎসব:
প্রতিবছর হাজারে হাজারে মানুষ কোরিয়ান পেনিনসুলার দক্ষিণ প্রান্তে উপস্থিত হয় জিন্ডো সি -পার্টিং উৎসবে অংশ নিতে। এই উৎসবটি বিখ্য়াত এই কারণে যে একটি বিশেষ সময়ে জিন্দো সি এবং পূর্ব চায়না সি একে অপরের থেকে সরে যায়। আর তখনই তাদের শরীর থেকে বেরিয়ে আসে একটা রাস্তা। এই রাস্তা দিয়েই কোরিয়ার জিন্দো দ্বীপ থেকে মোডো দ্বীপে গিয়ে কিছুটা সময় কাটিয়ে আসেন পর্যটকরা।
ব্রার দ্বীপের আশ্চর্য এয়ারপোর্ট:
স্কটল্য়ান্ডের পশ্চিম উপকূলে ২৩ স্কোয়্য়ার মাইল ব্য়াপী একটি দ্বীপ রয়েছে। যেটি সারা বিশ্বের নজর কেরেছে এক আজব কারণে। ব্রার দ্বীপে যে এয়ারপোর্ট আছে, সেখানে তিনটি রানওয়ে আছে। সেগুলি কেবলমাত্র ভাটার সময়ই ব্য়বহার করা যায়। মানে? আসলে সমুদ্রে যখন জোয়ার আসে তখন এই রানওয়ে তিনটি জলের তলায় চলে যায়। তাই তো ভাটা না এলে ব্রার দ্বীপের রানওয়েকে চোখেই দেখা যায় না।
স্বপ্নের মতো সুন্দর সাদা বালির তট:
নেগরোস অরিয়েন্টালের সবথেকে জনপ্রিয় এই টুরিস্ট ডেস্টনেশনটা জেয়ার এলেই জলের তলায় চলে যায়। তখন চারিদিকে শুধু নীলাভ রঙের খেলা চলে। আর যেই না ভাটা আসে অমনি জলের তলা থেকে বেরিয়ে আসে অপূর্ব সুন্দর সাদা বালির তট।
জাপানের এক রোম্য়ান্টিক রাস্তা:
এই রাস্তায় দম্পতিরা যদি হাত ধরে হাঁটেন তাহলে তাদের দাম্পত্য় জীবন সুখের হয়। সমস্য়া একটা জায়গাতেই। ভাটার সময় বাদ দিলে এই রাস্তাটি বাকি সময় লোকচক্ষুর আড়ালেই থাকে। বুঝতে পারেছন না তো? অ্যাঞ্জেল রোড নামে বিখ্য়াত, ৫০০ মিটার লম্বা এই রাস্তাটি শোডোসিমায় অবস্থিত। আর এটি কেবল মাত্র ভাটার সময়ই দেখতে পাওয়া যায়। বাকি সময় এটি ঘুমিয়ে থাকে জলের তলায়।