Just In
এই ছবিগুলি দেখে আপনি যেমন হাসবেন তেমনি ভয়ও পাবেন!
ছবি তুলতে কে না ভালবাসে। আর সেলফি আবিষ্কারের পর তো যে কোনও মুহূর্তকে ধরে রাখা আরও অনেক সহজ হয়ে গিয়েছে। এখন সঙ্গে একটা মোবাইল থাকলেই কেল্লাফতে! ইচ্ছা হল তো অমনি ক্লিক ক্লিক ক্লিক। কিন্তু যেখান সেখানে ছবি তুলতে গেলে যে কী মারাত্মক বিপদ হতে পারে, তা এই প্রবন্ধে প্রকাশিত ছবিগুলি দেখলেই বুঝতে পারবেন। বিশেষত যারা স্থান-কাল না বুঝেই সেলফি নিতে শুরু করেন দেন, তাদের তো অবশ্যই চোখ রাখতে এই প্রবন্ধে।
এখানে পরিবেশিত বেশিরভাগ ছবিই এতটাই রোমহর্ষক যে দেখতে দেখতে অবাক হতে বাধ্য। কিছু ছবি তো ভয়নক অক্সিডেন্টের একেবারে আগের মুহূর্তে তোলা। যেখানে ছবি তুলতে থাকা মানুষটি বুঝতেও পারনেনি তার পিছনে অপেক্ষা করে আছে নিশ্চিত মৃত্যু। তবে বেশ কিছু ছবি বেজায় মজারও। তাহলে আর অপেক্ষা কেন! চলুন শুরু করা ছবির এই সফর!
১. হাঁসের কামড়:
এই সময় মেয়েটির আঙুলটিকে মনে হয় কোনও খাবার ভেবেছিল হাঁসটা। তাই না অমন জোরে কামড় বসিয়েছিল।
২. ছাগলের গুঁতো:
পোষ্য হিসেবে কুকুর বা ছাগলকে বাড়ি আনতেই পারেন। কিন্তু ভুলেও ছাগল পুষতে যাবেন না যেন। তাহলে হয়তো এই মেয়েটির মতো একদিন আপনাকেও গুঁতো খেতে হতে পারে।
৩. এ বাবা!
এমন অবস্থার শিকার যেন কেউ না হন! ভাবুন তো আপনি শুয়ে রয়েছেন আর আপনার অজান্তেই একটা কুকুর আপনার মুখে... ভাবলেই গা গুলিয়ে উঠছে, তাই না!
৪. শিকারি হল শিকার:
তার বন্ধুকে বন্দি বানিয়ে শিকারিরা যখন ছবি তুলতে ব্যস্ত, ঠিক তখনই আক্রামণের অপেক্ষায় আরেক ভাল্লুক। এর পরে যে কী ঘটেছিল? তা যদিও জানা যায়নি।
৫. চরম মুহূর্ত:
শিকারি সবে হরিনটাকে মেরে ছবি তুলছিল। বুঝতেই পারেনি আরেক শিকারি পিছনে এসে দাঁড়িয়েছে।
৬. দে ছুট!
নিশ্চিন্তে হাঁটছিলেন মনে হয়। সামনে আবার্ভাব এক বুনো শুয়োরের। যেই না দেখা, অমনি ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি বলে ছুট লাগান এই রেঞ্জার। ভাগ্যিস আগে থেকে দেখতে পয়েছিলেন, না হলে কি হত কে জানে!
৭. হ্যান্ডস আপ!
মনে হয় না পুলিস অফিসারটা এমন কিছু বলছে বলে! কিন্তু কুমিরের চামড়া এতটাই মোটা যে গুলি লাগলেও ওর কিছু হবে না। এই বিষয়টা কি জানা আছে ওই মার্কিন পুলিশ অফিসারের।
৮. লং জাম্প:
এমন পরিস্থিতিতে আপনি কী করতেন? হয়তো আতঙ্কে হার্ট ফেলই হয়ে যেত, তাই না! একবার ভাবুন, নিশ্চিন্তে বসে মাছ ধরছেন। হঠাৎই একটা বিশালাকায় তিমি ঝাঁপিয়ে পরছে আপনার সামনে। সিনেমায় দেখতে ভাল লাগলেও বাস্তবে এমন অভিজ্ঞতা হওয়া কিন্তু বেজায় মারাত্মক!
৯. হাতি মেরে সাথী:
গাড়ি চালক এবং হাতিটি নিজ নিজ পথে যাচ্ছিল। হঠাৎ হাতির কী হল কে জানে! সে শুঁড় দিয়ে আটকে দিল গাড়িটাকে। তারপর সে কী আদর! কখনও শুঁড় দিয়ে গাড়ির সামনে, তো কখনও পিছনে। আর সে সময় গাড়ির ভিতরে বসে থাকা দম্পতির মনের অবস্থা যে কী হয়েছিল তা আন্দাজ করা যেতে পারে।
১০. দয়াকরে ছেড়ে দে বাঘ মামা:
লোকটি হঠাৎই এই সাদা বাঘটির খাঁচায় ঢুকে গিয়েছিল। বাঘটিকে সামনে থেকে দেখে লোকটির যে কতটা ভয় পয়ে গিয়েছিল তা ছবিটিদেখলেই স্পষ্ট হয়ে যায়।
১১. এলিও ক্যানেস্ট্রির গল্প:
১৩ বছরের বাচ্চা ছেলেটি সার্ফিং চ্য়াম্পিয়ান ছিল। রোজের মতো সেদিনও সে সার্ফিং বোর্ডে চড়ে দাপিয়ে বেরাচ্ছিল সমুদ্র। হটাৎই ঘটল অঘটন। কোথা থেকে একটা হাঙর আক্রমণ করে বসল এলিও কে। চোখের সামনে এমন নৃশংস ভাবে একটা বাচ্চাকে মরতে দেখে সেদিন সমুদ্র তটে উপস্থিত প্রায় সবাই অসুস্থ হয়ে পরেছিল। ভয়ে কারও কারও এমন অবস্থা হয়েছিল যে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করার প্রয়োজন পরেছিল।
Image Source
১২. মরতে মরতে বেঁচে গিয়েছিল সে:
এলিও ক্যানেস্ট্রির মতো এই লোকটিও মনের আনন্দে সার্ফিং করছিল যখন হাঙরটা তাকে আক্রমণ করে বসে। যদিও সে যাত্রায় প্রাণে বেঁচে গিয়েছিল লোকটি।
১৩. বাঘের হাতে অকাল মৃত্যু:
এই ছবিতে যে মানব মূর্তিটা দেখা যাচ্ছে সেটি একটি মহিলা। তিনি একটি ওপেন চিড়িয়াখানার মধ্যে দিয়ে গাড়ি চালিয়ে যাওয়ার সময় হঠাৎই গাড়ি থেকে নেমে পরেন, আর ঠিক সেই সময়ই একটা বাঘ তাকে আক্রমণ করে বসে। যদিও সে যাত্রায় প্রাণে বেঁচে গিয়েছিল ওই মহিলা।
১৪. মানুষ খেকো তিমি:
ছবিতে যে লোকটিকে দেখতে পাচ্ছেন তিনি হলেন একজন হোয়েল ট্রেনার। যিনি রোজকার মতো সেদিনও হাজারো দর্শকের সামনে তিমির খেলা দেখাতে বিশালাকায় ওই সুমিং পুলে নেমেছিলেন। কিন্তু কোনও এক অজানা কারণবশত তিমিটি ট্রেনারকের আক্রমণ করে বসে। দর্শকের সামনে প্রায় তড়পাতে তড়পাতে মারা যান সেই ব্যক্তি।