Just In
Don't Miss
নতুন বছরে নিজের সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করে তুলুন, নিন এই রেজোলিউশনগুলি
প্রেমের কোনও জাতি নেই, কোনও ধর্ম নেই। আছে শুধু দুটি মনের ভালোলাগা, ভালবাসার আবেগের মিলন। আর মানুষের আবেগ, সবচেয়ে নিখুঁত রূপগুলির মধ্যে একটি। ভালোবাসা হল, একে অপরের সঙ্গে আবদ্ধ করে রাখা। প্রেম ও ভালবাসাই পরিবারগুলিকে ঐক্যবদ্ধ করে রাখতে সাহায্য করে।
যখন দুই ব্যক্তি প্রেমে পড়েন, তখন তারা প্রত্যেকে কেবল নিজের জন্য চিন্তা করতে পারেন না। ভাবতে থাকেন একে অপরকে নিয়ে। তারা স্থির করেন কিছু সাধারণ লক্ষ্য যা, তাদের সম্পর্ককে সঠিকভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে সহায়তা করবে।
আরও পড়ুন : নিউ ইয়ার : নতুন বছরে নতুন ভাবে বাঁচুন, করুন নতুন প্রতিজ্ঞা
অনেক দম্পতি দৈনিক জীবনের ব্যস্ততার মধ্যে তাদের সম্পর্কের সমন্বয় সাধন ও অগ্রাধিকারের জন্য লড়াই করে থাকেন। কিন্তু, কখনও কখনও হেরে যেতে হয় তাঁদের। এই নতুন বছরে আপনিও যদি নিজের সম্পর্ককে শক্ত হাতে বেঁধে রাখতে চান এবং সুখী ও স্বাস্থ্যকর সম্পর্ক স্থাপন করতে চান, তবে নিতে হবে বিশেষ কয়েকটি রেজোলিউশন। কেবল কিছু সহজ ও সু-সংজ্ঞায়িত লক্ষ্য নির্ধারণ করলেই সম্পর্কে আসতে পারে বড় ধরনের পার্থক্য। তবে, আসুন দেখে নেওয়া যাক নতুন বছরে সুখী ও স্বাস্থ্যকর সম্পর্ক স্থাপনের কিছু বিশেষ রেজোলিউশন।
একে অপরকে দিন ডিজিটাল স্পেস
বর্তমান দিনে আমাদের মোবাইল ফোন এবং ই-মেল হল আমাদের কাছে থাকা সবচেয়ে ব্যক্তিগত জিনিসগুলির মধ্যে একটি। এক্ষেত্রে আমাদের উচিত নিজেদের এই ব্যক্তিগত স্থানটি লঙ্ঘন না করার, অর্থাৎ দুজন দুজনের টেক্সট এবং মেসেজ পরীক্ষা না করা। এটি একটি ভাল অনুশীলন হিসেবে প্রত্যেক দম্পতিরা অভ্যাস করতে পারেন। যা সম্পর্ককে বিশ্বাসের সাথে সাথে আরও দৃঢ় করে তুলবে।
ফোন ব্যবহারের সীমাবদ্ধতা নির্ধারণ করুন
মনোবিদদের মতে, বাচ্চাদের পাশাপাশি প্রাপ্তবয়স্কদেরও ফোন ব্যবহারের নির্ধারিত সময় তৈরি করা উচিত। কারণ, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা গেছে দম্পতিরা একসাথে থাকার সময় অত্যাধিক সোশ্যাল মিডিয়া ও ফোন ব্যবহারের ফলে সম্পর্কে ভাঙন দেখা দিয়েছে। সেক্ষেত্রে, উভয়ই এটি ব্যবহারের সময় কিছু বিকল্প বিষয়গুলি ঠিক করুন, যা আপনারা একসাথে উপভোগ করতে পারেন।
আর্থিক বিনিয়োগ
যেকোনও সম্পর্কের ক্ষেত্রে অর্থ কেবল পুরুষরাই খরচ করবে, এই ভুল ধারণাটি বহুকাল থেকেই চলে আসছে। যখন কোনও দম্পতি একসঙ্গে থাকার সিদ্ধান্তে উপনীত হন তখন তাদের অর্থিক খরচের ভারও একসঙ্গেই নিতে হবে। একসাথে বিনিয়োগ করার ফলে দুজনের অর্থের একটি অংশ সঞ্চয়ের ক্ষেত্রে সরল হয়ে উঠবে। এর থেকে তৈরি হতে পারে দুজনের ভাল সম্পর্ক।
একসঙ্গে রান্না করা
আপনি কতটা ভাল বা খারাপ রান্না করেন তাতে কিছুই আসে যায় না। একসঙ্গে রান্নার মাধ্যমে দম্পতিরা একে অপরের বোঝা ভাগ করে নিতে পারে। যার ফলস্বরূপ, সম্পর্কের দৃঢ়তা বৃদ্ধি পায় এবং দুজন দুজনকে বোঝার উৎসাহ বাড়ে। অতএব, নতুন বছরের সেরা রেজোলিউশনগুলির মধ্যে একসঙ্গে রান্না করার রেজোলিউশনটিও নিয়ে নিন । যদি প্রতিদিন এটি সম্ভব না হয়, তবে কমপক্ষে সপ্তাহে দু'থেকে তিন বার এটি অবশ্যই করুন।
সাধারণ শখগুলি জেনে নিন
এটি একটি সুপ্রতিষ্ঠিত সত্য যে, একজন মানুষ তার নিজের শখের দ্বারাই সংজ্ঞায়িত হয়। সুতরাং, কোনও ব্যক্তিকে জানার সর্বোত্তম উপায়গুলির মধ্যে একটি হল তার শখগুলিকে নির্ণয় করা। এই নতুন বছরে জানতে চেষ্টা করুন, আপনার স্বামী বা স্ত্রী বা সঙ্গিনীর সাধারণ শখগুলি এবং তা পূরণ করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হন। এই ছোট পদক্ষেপ আপনার সম্পর্কের উপর ভাল প্রভাব এনে দিতে পারে।
একসঙ্গে জিমে যান
অনেকের মতে, ফিটনেস সম্পর্ককে আরও দৃঢ় ও আকৃষ্ট করে তোলে। তাই, দম্পতিরা যদি একসঙ্গে জিমে যান তবে, তারা একে অপরের কাছ থেকে অনুপ্রেরণা লাভ করেন। যার ফলস্বরূপ, দুজনেই আরও ভাল শারীরিক গঠনে উৎসাহিত বোধ করেন। এটি নিজেদের স্বতঃস্ফূর্ততা ও আবেগগত বন্ধনগুলিকে শক্তিশালী করতেও সহায়তা করে। তাই নতুন বছরে নিয়ে নিন এই রেজোলিউশনটি।
উভয়ের পরিবারের সঙ্গে সময় ব্যয় করুন
সামাজিকভাবে আমরা বলি, যখন কেউ একসঙ্গে দম্পতি হিসেবে একত্রিত হন তখন মেয়েটির কাছে তার পরিবারের থেকেও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে ছেলেটির পরিবার। দাম্পত্য জীবনে যদি এই ধারণাটি থেকে দূরে থাকেন তবে, দম্পতি হিসেবে অনেক কাছাকাছি চলে আসবেন। তাই, স্ত্রী যেমন তার স্বামীর পরিবারের সকলের সঙ্গে সময় ব্যয় করে, তেমনই স্বামীরও কর্তব্য স্ত্রীর পরিবারের সঙ্গে সময় ব্যয় করা। সর্বোত্তম উপায় হল, সপ্তাহের একটি দিন দুই পরিবার একত্রিত হয়ে সময়কে উপভোগ করা।
দিনে অন্তত একবার একসঙ্গে খাবার খান
কর্মব্যস্ততার কারণে আমরা একে অপরকে খুব অল্প সময় দিয়ে থাকি। এই কর্মব্যস্ততা একটি সম্পর্কের চাওয়া-পাওয়াকে দূরে ঠেলে দেয়। যার ফলস্বরূপ, সম্পর্কে ভাঙন দেখা দেয়। যদি দুজনেই চাকরি জীবনে ব্যস্ত থাকেন, তবে চেষ্টা করুন দিনে অন্তত একটি সময় একসঙ্গে খাবার খেতে এবং সারাদিনের জমানো কথা একে অপরকে জানিয়ে সময় কাটাতে। খাবারের সময় অবশ্যই টেবিল থেকে ফোনটি দূরে সরিয়ে রাখবেন। এটি, দম্পতির মধ্যে যোগাযোগ বাড়িয়ে তুলবে, যা একটি সুস্থ সম্পর্কের জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান।
সাপ্তাহিক মিলনের তারিখ তৈরি করুন
শারীরিক মিলন সুখী দাম্পত্যের মূল স্তম্ভ। কিন্তু, জীবন যখন ব্যস্ত হয়ে যায়, তখন মিলন ধীরে ধীরে কমতে থাকে, যা একে অপরের থেকে দূরে সরিয়ে দেয়। সুখী দাম্পত্যের জন্য ব্যস্ত জীবনের মাঝেও মিলন অত্যন্ত জরুরি। তাই, দুজনে মিলেই তৈরি করতে পারেন একটি সাপ্তাহিক মিলনের তারিখ।
সোশ্যাল ওয়ার্ক একসঙ্গে করুন
সমাজের জন্য কিছু কাজ করা সর্বদা একটি ভাল বোধ তৈরি করে। কারণ, অন্যকে খুশি করার মাধ্যমেই নিজেদের খুশি। এই অনুভূতিটি তখন আরও বেশি প্রাপ্ত হয় যখন দু'জন মানুষ একসঙ্গে কাজটি অনুভব করে। দম্পতি হিসেবে সমস্ত সামাজিক ক্রিয়াকলাপে একত্রিতভাবে জড়িত হন। এতে, আপনাদের মানসিক শান্তির পাশাপাশি সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে।