Just In
জাতীয় চিকিৎসক দিবস ২০২০ : জেনে নিন এই দিবসের থিম, ইতিহাস এবং তাৎপর্য
আমাদের সমাজে, চিকিৎসকরা ঈশ্বরের একটি রূপ হিসেবে বিবেচিত হয় কারণ তারা রোগ নিরাময় করে মানুষকে নবজীবন দান করে। যখন আমরা জীবন-মৃত্যুর লড়াইয়ে হেরে যেতে শুরু করি, তখন আমাদের জয়ী করার জন্য চিকিৎসকরাই পাশে এসে দাঁড়ায়। বর্তমানে অতিমারি করোনা ভাইরাসের কারণে সবাই যখন আতঙ্কে জর্জরিত, তখন সমস্ত রোগীর সেবা করতে এগিয়ে এসেছেন এই ডাক্তার, নার্সরাই। নিজেদের জীবনের প্রতি মায়া ত্যাগ করে তাঁরা লড়াইয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। পৃথিবীতে ডাক্তারদের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে আমরা সবাই অবগত ঠিকই, তবে এই করোনা ভাইরাস মহামারীর সময় তাদের ভূমিকা আবারও প্রমাণ করে দিল যে, তাঁরা ছাড়া সমগ্র মানবজাতি অচল এবং তাঁরা আছেন বলেই আমরা সুস্থভাবে বেঁচে আছি।
সমাজে তাঁদের ভূমিকা ও অবদানকে স্বীকৃতি জানাতে, ভারতে প্রতি বছর পয়লা জুলাই 'জাতীয় চিকিৎসক দিবস' পালন করা হয়। এছাড়াও, এই দিনটিতে কিংবদন্তী চিকিৎসক ও পশ্চিমবঙ্গের দ্বিতীয় মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ বিধানচন্দ্র রায়ের জন্ম এবং মৃত্যুদিন উপলক্ষ্যে দেশজুড়ে পালিত হয় জাতীয় চিকিৎসক দিবস। আজ আমরা আপনাকে এই দিনটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানাব।
জাতীয় চিকিৎসক দিবসের ইতিহাস
১৯৯১ সালে কেন্দ্রীয় সরকার ডাঃ বিধানচন্দ্র রায়ের স্মরণে ১ জুলাই জাতীয় চিকিৎসক দিবস হিসেবে পালন করার সিদ্ধান্ত নেয়। তিনি ছিলেন একজন মহান চিকিৎসক, শিক্ষাবিদ এবং বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা, পাশাপাশি তিনি পশ্চিমবঙ্গের দ্বিতীয় মুখ্যমন্ত্রীও ছিলেন। আইন অমান্য আন্দোলনের সময় তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
National Doctors' Day 2020 : এই মেসেজগুলির মাধ্যমে চিকিৎসকদের শ্রদ্ধা জানান
পরে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার তাঁর স্মরণে ১ জুলাই জাতীয় চিকিৎসক দিবস পালনের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে জানান। সেই থেকেই প্রতি বছর ১ জুলাই এই দিনটি পালিত হয়ে আসছে।
২০২০ সালের জাতীয় চিকিৎসক দিবসের থিম
আন্তর্জাতিক মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (IMA) জাতীয় চিকিৎসক দিবস আয়োজন ও উদযাপন করে। প্রতি বছর এই দিনটির জন্য নির্দিষ্ট থিম থাকে। এই বছরের থিমটি হল 'Lessen The Mortality Of COVID-19'। কোভিড-১৯ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার পর এই থিমটি ঠিক হয়েছে।
জাতীয় চিকিৎসক দিবসের তাৎপর্য
ক) এই দিনটির মূল উদ্দেশ্য হল, সমাজে চিকিৎসকদের অবদানকে স্বীকৃতি এবং তাদের কৃতিত্ব প্রদান করা।
খ) এছাড়াও, এই দিনটি চিকিৎসক এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের কঠিন পরিস্থিতিতে একত্র হয়ে লড়াই করার উৎসাহ দেয়।
গ) এই দিনে, জনগণের মধ্যে আরও বেশি করে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন অভিযানের আয়োজন করা হয়।
ঘ) এই দিবসটি উদযাপনের জন্য ফ্রি চেক-আপ ক্যাম্পেরও আয়োজন করা হয়।
ঙ) এই বছর কোভিড-১৯ এর কারণে, দিনটি স্বাভাবিক উপায়ে সংগঠিত হবে না। দিবসটি পালনের জন্য সারা দেশে ওয়েবিনার এবং ভার্চুয়াল সভার আয়োজন করা হবে।