Just In
জানেন কি হাতের রেখা দেখে সহজেই জেনে যাওয়া সম্ভব কী কী রোগ বাসা বাঁধতে চলেছে আপনার শরীরে!
বাস্তবিকই হাতের রেখা বিশ্লেষণ করে বলে দেওয়া সম্ভব ছোট-বড় কোন কোন রোগ বাসা বাঁধতে চলেছে আপনার শরীরে।
না না বন্ধু কিছু ভুল শোনেন নি। বাস্তবিকই হাতের রেখা বিশ্লেষণ করে বলে দেওয়া সম্ভব ছোট-বড় কোন কোন রোগ বাসা বাঁধতে চলেছে আপনার শরীরে। শুধু তাই নয়, নখের মাপ দেখেও শরীরের হাল-হকিকত সম্পর্কে অনেক কিছু জেনে যাওয়া সম্ভব, শুধু থাকতে হবে এই সম্পর্কিত "বেসিক" কিছু জ্ঞান, তাহলেই কেল্লা ফতে! তাই প্রশ্ন হল, আপনি নিজের শরীর সম্পর্কে জানতে ইচ্ছুক, নাকি হাসাপাতালের বেডকেই নিজের "পার্মানেন্ট" অ্যাড্রেস বানাতে চান?
না না জানতে চাই তো! কে হাসাপাতলে গিয়ে কিলো কিলো টাকা খরচ করতে চায় বলুন! তাহলে আর অপেক্ষা কেন, নিজের ডান হাতটা সামনে রেখে দেখে ফেলুন কী কী রেখা রয়েছে সেখানে, আর জেনে ফেলুন সেই সব রেখাগুলির সঙ্গে কোন কোন রোগের যোগ রয়েছে!
আরে দাঁড়ান দাঁড়ান, কোথায় চললেন। হাতের রেখা বিশেষণ তো করবেন, তবে তার আগে একবার নখের দিকে তাকান তো! নখ...কেন? আসলে বন্ধু বৈদিক অ্যাস্ট্রোলজির উপর লেখা একাধিক বই অনুসারে নখের ধরণ দেখেও কিন্তু অনেক সময় শরীরের আনাচে-কানাচে কী কী রোগ ঘর বানাচ্ছে, সে সম্পর্কে জেনে যাওয়া সম্ভব হয়। যেমন ধরুন...
১. লম্বা নখ:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে যাদের হাতের আঙুলের নখের ধরণটা অনেকটা লম্বাটে গোছের হয়, তাদের ফুসফুস সংক্রান্ত নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এমনকি লেজুড় হতে পারে অ্যাস্থেমার মতো রোগও। তাই সময় থাকতে থাকতে সাবধান না হলে কিন্তু...
২. ছোট নখ, সমান্তরাল এবং দু কোণা একটু উঁচু:
যাদের নখের গঠন এমন আজব গোছের তাদের গলা নিয়ে সারা জীবন ভুগতে হতে পারে। শুধু তাই নয়, এদের "ব্রঙ্কিয়াল" সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে।
৩. পাতলা নখ:
কিহে বন্ধু আপনার নখ এমন গোছের নাকি? তাহলে বাড়িতে টাইগার বাম এবং ব্যথা কমানোর ওষুধ মজুত রাখতে ভুলবেন না যেন! কেন এমন কথা বলছি তাই ভাবছেন নিশ্চয়? আসলে বন্ধু যাদের নখ এমন ধরনের হয়, তাদের বারে বারে মাথা যন্ত্রণা এবং গা-হাত-পায়ে ব্যথা হওয়ার মতো সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
৪. ত্রিকোণ নখ:
এ কেমন নখ মশাই! খেয়াল করে দেখবেন বন্ধু, অনেকেরই নখের নিচের অংশটা চৌকো হয় না, বরং ত্রিভুজের মাথার মতো ত্রিকোণ গোছের হয়ে থাকে। এদের নার্ভাস ডিজঅর্ডার এবং প্যারালাইসিসের মতো ভয়ঙ্কর সমস্যা হতে পারে। তাই তো বলি বন্ধু দয়া করে সময় থাকতে থাকতে সাবধান হন। প্রয়োজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। সেই সঙ্গে খাওয়া শুরু করুন এমন সব শাক-সবজি যা মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়াতে পারে।
৫. গোলাকার ধরনের:
এমন ধরনের নখের ধরণ যাদের তাদের নানাবিধ হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই সাবধান হতে হবে বৈকি...!
৬. চামচের মতো নখ:
আচ্ছা আপনার নখ অনেকটা এই ধরনের নয় তো? কেন এমন প্রশ্ন করছি জানেন! কারণ বিশেষজ্ঞদের মতে যাদের নখ এমন চামচের মতো হয়, তাদের শরীরে পুষ্টিকর উপাদানের ঘাটতি দেখা দেয়। ফলে ছোট-বড় নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা যায় বেড়ে। তাই তো এমন মানুষদের রোজের ডায়েটে এমন সব খাবার থাকা উচিত, যাতে অপুষ্টির মতো সমস্যা ধারে কাছে ঘেঁষতে না পারে।
এবার হাতের রেখার সঙ্গে রোগের কী সম্পর্ক, চলুন জেনে নেওয়া যাক সে সম্পর্কে...
১.হার্ট লাইন এবং চোখের রোগ:
বিশেষজ্ঞদের মতে হার্ট লাইনের উপরে, রিং ফিঙ্গারের কাছাকাছি যদি একটি গোলাকার বা দ্বীপের মতো রেখা থাকে, তাহলে জানবেন নানাবিধ চোখের সমস্যায় আক্রান্ত হতে চলেছেন আপনি। তাই আগে থেকে যদি সাবধান না হন, তাহলে কিন্তু বেজায় বিপদ!
২. হার্ট এবং হাতের রেখা:
আচ্ছা আপনার ডান হাতের তালুতে থাকা হার্ট লাইনটি সোজা যেতে যেতে কি ভেঙে ভেঙে গেছে? উত্তর যদি হ্যাঁ হয়, তাহলে সাবধান বন্ধু সাবধান! কারণ অ্যাস্ট্রোলজারদের মতে হার্ট লাইন এমন ভেঙে ভেঙে গেলে জানবেন আপনার হার্ট বেজায় দুর্বল। ফলে নানাবিধ হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে এদের!
৩. লম্বা দাগ এবং দাঁতের রোগ:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে "মিডিল" ফিঙ্গারের নিচে, হার্ট লাইনের উপরে যদি লম্বালম্বি বেশ কয়েকটি কাটা দাগ থাকে, তাহলে নাকি মাড়ি এবং দাঁতের রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
৪. মাথার যন্ত্রণা এবং মাইগ্রেন:
আমাদের ডান হাতের তালুতে থাকা একাধিক রেখার মধ্যে "হেড লাইন" বলে একটি রেখা থাকে। সেই রেখার উপর যদি অসংখ্য ডটের মতো রেখা থাকে, তাহলে দুশ্চিন্তা, অ্যাংজাইটি এবং ক্রণিক মাথা যন্ত্রণার মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই তো বলি বন্ধু যাদের হাতের রেখার ধরণ এমন, তারা নিয়মিত প্রাণয়ম করতে ভুলবেন না যেন! আসলে এমনটা করলে টেনশন এবং অ্যাংজাইটি যেমন দূরে থাকে, তেমনি বারে বারে মাথা যন্ত্রণার মতো সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও আর থাকে না।
৫. কিডনি ডিজিজ এবং হাতের রেখা:
বিশেষজ্ঞদের মতে ডান হাতের তালুর বাঁদিকে, একেবারে নিচের অংশে, যাকে অ্যাস্ট্রোলজির ভাষায় "মাউন্ট অব মুন" বলা হয়, সেখানে যদি কাটাকুটি দাগ থাকে, তাহলে নানাবিধ কিডনির রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
৬. ফিমেল প্রবলেম:
আচ্ছা আপনার ডান হাতের "মাউন্ট অব মুন" এর উপরে কি একাধিক হরিজন্টাল লাইন রয়েছে? যদি থাকে, তাহলে জানবেন নানা সময়ে আপনি বারে বারে নানা ফিমেল রোগে আক্রান্ত হবেন। তাই তো বলি অকারণ কষ্টের হাত থেকে বাঁচতে চাইলে সময় থাকতে থাকতে সাবধান হন, না হলে কিন্তু...
৭. মেন্টাল হেল্থ:
শুনতে হয়তো আজব লাগতে পারে। কিন্তু এই ধরণার মধ্যে কোনও ভুল নেই যে হাতের রেখা বিশ্লেষণ করে বাস্তবিকই অনেক রোগ সম্পর্কে জেনে যাওয়া সম্ভব। যেমন ধরুন, বিশেষজ্ঞদের মতে যাদের "হেড" লাইন ভাঙাচোড়া হয় অথবা এই বিশেষ লাইনটির উপরে চেইনের মতো রেখা থাকে, তাহলে নাকি তাদের নানাবিধ মেন্টাল ডিজঅর্ডারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।