Just In
- 1 hr ago নতুন কাজে সাফল্য বৃষ ও কর্কটের, ৫ রাশির জন্য শুভ আজকের দিন, জানতে দেখুন রাশিফল
- 17 hrs ago অতিরিক্ত দই, বিস্কুট খাচ্ছেন? আপনার ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়াতে পারে, সতর্ক থাকুন
- 18 hrs ago গরম থেকে বাঁচতে দেদার খাচ্ছেন ডাবের জল? ডেকে আনছেন না তো বড় বিপদ!
- 18 hrs ago ওজন কমাতে চান? ট্রাই করুন গ্রীষ্মকালীন এই শাকসবজি
সুখী দাম্পত্য জীবন পেতে চান? শিব-পার্বতীর এই প্রেমের ধারাগুলি অনুসরণ করুন
বিবাহ মানে দুটি আত্মার পবিত্র মিলন। বিবাহ কেবলমাত্র দু'জন মানুষকেই একত্রিত করে না, পাশাপাশি দুই তরফের পরিবারের সদস্যদেরও একত্রিত করে। বিয়ের পরে নতুন জীবন শুরুর ক্ষেত্রে সমস্ত নবদম্পতিকেই অনেক ধরনের নির্দেশ দেওয়া হয়। সাধারণত যখনই আদর্শ বিবাহিত জীবনের কথা আসে, তখন সর্বপ্রথমে রাম-সীতা এবং শিব-পার্বতীর কথা উল্লেখ করা হয়। আপনিও যদি আপনার বিবাহিত জীবনকে সুখী করে তুলতে চান তবে আপনার উচিত শিব-পার্বতীকে অনুসরণ করা।
অনন্ত ভালবাসা
ভগবান শিব এবং মাতা পার্বতীর মধ্যে ভালবাসার গভীরতা মাপা যায় না। পার্বতী একজন রাজার কন্যা হওয়া সত্ত্বেও, তিনি শিবের মতো একজন বৈরাগী বা তপস্বীর প্রেমে পড়েন এবং তাঁকে বিবাহ করেন। পার্বতীর পিতা তাঁর স্বামীকে অপমান করায় তা সহ্য করতে না পেরে, তিনি যজ্ঞের জ্বলন্ত আগুনে ঝাঁপিয়ে পড়েন। এই ঘটনায় ভগবান শিব গভীরভাবে দুঃখিত হন এবং রাজা দক্ষ-কে তাঁর ক্রোধ সহ্য করতে হয়।
সঠিক রীতি মেনে বিবাহ
ভগবান শিব এই ব্রহ্মাণ্ডের কর্তা হওয়ার পরেও তিনি মাতা পার্বতীর সঙ্গে গান্ধর্ব মতে বিবাহ করেননি। বিবাহের জন্য সমাজে যে রীতি প্রচলিত, তাঁরা উভয়ই সেই রীতি অনুসরণ করেন। মাতা সতীর রুপ হোক বা দেবী পার্বতীর রুপ, উভয় ক্ষেত্রেই সবার সম্মতি পাওয়ার পর সম্পূর্ণ রীতি মেনে বিয়ে সম্পন্ন হয়েছিল। পুরো পরিবারকে সাথে নিয়ে চলা এক আদর্শ দম্পতির কর্তব্য।
দাম্পত্য জীবনে আস্থা
মাতা পার্বতী তাঁর প্রতিটি জন্মে শুধুমাত্র ভগবান শিব-কেই নিজের স্বামী হিসেবে পাওয়ার জন্য ধ্যান করেছিলেন, পাশাপাশি মহেশ্বরও কেবলমাত্র দেবী পার্বতী-কেই নিজের জীবনসঙ্গী হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন। বিবাহিত জীবনে একে অপরের প্রতি আস্থা থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
একে অপরের জন্য বাঁচা
শিব-পার্বতীর বিবাহিত জীবনে একে অপরের প্রতি আস্থা ও প্রেম অত্যন্ত গভীর ছিল। এই কারণেই তাদের অর্ধনারীশ্বর-ও বলা হয়। উভয়েরই অলৌকিক শক্তি ছিল, কিন্তু তবুও তারা একে অপরের কাছে সমস্ত কিছু বর্ণনা করত। তারা একে অপরের প্রশ্নের উত্তর দিতেন।
প্রতিটি জন্মের সঙ্গী
সতী হিসেবে ভগবান শিবের সঙ্গে বিবাহিত জীবন শুরু না করতে পেরে, পরের জন্মে তিনি পার্বতী হিসেবে জন্মগ্রহণ করেন এবং ভোলেনাথকে তাঁর জীবনসঙ্গী হিসেবে পাওয়ার জন্য ঘোর তপস্যা করেন। ভগবান শিব তাঁর জীবনে শুধুমাত্র দেবী পার্বতীর জন্য অপেক্ষা করেছিলেন এবং অন্যদিকে দেবী পার্বতী তাঁকে পাওয়ার জন্য সব ধরনের কঠিন পরীক্ষা দিয়েছিলেন।
ভালবাসার পাশাপাশি সম্মানও ছিল
বৈবাহিক জীবনে একে অপরের প্রতি ভালবাসা থাকা জরুরী, তবে এর পাশাপাশি সম্পর্কের মধ্যে অবশ্যই সম্মান থাকতে হবে। যেসব সম্পর্কের মধ্যে সম্মান থাকে না সেইসব দম্পতিদের মধ্যে মতভেদ লেগেই থাকে। ভগবান শিব সর্বদা পার্বতীকে সম্মান করতেন, তাই পার্বতী শিবের মান-সম্মানের জন্য নিজের জীবন ত্যাগ করতেও পিছপা হননি।
জানেন কি বিয়ের প্রথম রাতে নবদম্পতিরা কী করেন?
সন্তানের আদর্শ পিতা-মাতা
ভগবান শিব এবং মাতা পার্বতী-ই দেখিয়েছেন যে, একটি আদর্শ পরিবার কেমন হওয়া উচিত। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ভালবাসা এবং ঘনিষ্ঠতা থাকা সত্ত্বেও, তাঁরা তাঁদের সন্তানদের পুরো দায়বদ্ধতার সহিত লালন-পালন করেছেন।
গৃহস্থ জীবনের সাথে সংযুক্ত
ভগবান শিব ছিলেন একজন তপস্বী, যিনি সর্বদা ধ্যানমগ্ন থাকতেন। কিন্তু, মাতা পার্বতীর প্রেম তাঁকে গৃহস্থ জীবনের সাথে সংযুক্ত করেছিল। শিব-পার্বতী সফল বিবাহিত জীবনের একটি উদাহরণ স্থাপন করেছেন।