Just In
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ : ইনিই প্রথম আবিষ্কার করেন হ্যান্ড স্যানিটাইজার! জানুন আসল কাহিনী
চীনে শুরু হওয়া করোনা ভাইরাস বর্তমানে বিশ্বজুড়ে বিপর্যয়ের সৃষ্টি করেছে। ল লাখ লাখ মানুষের আক্রান্ত হওয়ার পাশাপাশি বেড়ে চলেছে মৃত্যুর সংখ্যা। এখনও পর্যন্ত এর কারণে ১৫ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আজকের সময়ে দাঁড়িয়ে করোনা ভাইরাস যেন এক মারাত্মক আতঙ্কে পরিণত হয়েছে।
এই মহামারি মোকাবিলায় ভারত সহ অনেক দেশেই লকডাউন করা হয়েছে, যাতে এই রোগ সংক্রমণকে রোধ করা যায়। একইসঙ্গে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জারি করা নির্দেশ অনুযায়ী, বাড়িতে থাকাকালীনও খাওয়ার আগে ভালো করে সাবান দিয়ে হাত ধোয়া এবং হাতে স্যানিটাইজার ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
আজ করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে হয়তো প্রতিটি মানুষের হাতে স্যানিটাইজার রয়েছে। কিন্তু, আপনি কি জানেন এই স্যানিটাইজার ৫৪ বছর ধরে ব্যবহার করা হচ্ছে? হ্যাঁ, হ্যান্ড স্যানিটাইজার প্রায় ৫৪ বছর আগে আবিষ্কার করা হয়েছিল। আবিষ্কার করেছিলেন ক্যালিফোর্নিয়ার বেকারসফিল্ড শহরের এক বাসিন্দা, যার নাম লুপে হার্নান্দেজ।
আরও পড়ুন : লকডাউনের মধ্যে বাড়িতে কীভাবে সময় কাটাবেন ভাবছেন? দেখে নিন টিপসগুলি
১৯৬৬ সাল। লুপে হার্নান্দেজ ছিলেন নার্সিং এর ছাত্রী। রোগীর কাছে যাওয়ার আগে চিকিৎসক এবং নার্সদের বার বার সাবান দিয়ে হাত ধুতে হত। তাই, তিনি ভেবেছিলেন যে, সব পরিস্থিতিতে জল ও সাবান না পাওয়া গেলে কী হবে। রোগীর সংস্পর্শে আসার আগে ও পরে চিকিৎসক এবং নার্সদের জন্য জল ও সাবান ব্যবহারের পরিবর্তে অন্য কিছু ব্যবহার করার কথা চিন্তা করেছিলেন তিনি। সেই চিন্তা থেকেই মাথায় আসে এমন কিছু তৈরি করতে হবে যাতে সাবান ও জল ব্যবহার না করেই জীবাণুকে নষ্ট করা যায়।
বহু পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর অবশেষে তিনি অ্যালকোহল যুক্ত একটি জেল তৈরি করেছিলেন এবং তার গুণাগুণ পরীক্ষার জন্য সেটি প্রথম তাঁর হাতেই প্রয়োগ করেন। তাঁর এই আবিষ্কার আজকের দিনে একটি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হিসেবে সকলের কাছেই প্রয়োজনীয় হয়ে উঠেছে।
তাঁর এই আবিষ্কৃত হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করে জীবাণুকে মেরে ফেলা যায় এবং জলের মতো এটিকে শুকোনোর কোনও দরকারই হয় না। সারা বিশ্বের কাছে তাঁর এই আবিষ্কারটি তৎকালীন সময়ে ছড়িয়ে পড়ে এবং বিশ্বব্যাপী এর ব্যবহারও বৃদ্ধি পায়।