Just In
- 17 hrs ago এপ্রিল মাসে ৪ গ্রহের স্থান পরিবর্তন, রাজযোগ ও সৌভাগ্যে ফুলে ফেঁপে উঠবে এই রাশির জাতকরা, দেখুন
- 18 hrs ago আপনার কি ক্রমাগত কান চুলকাচ্ছেন? অজান্তেই ডেকে আনচ্ছেন বড় বিপদ
- 22 hrs ago মসুর ডাল খেতে ভালোবাসেন? কিন্তু অতিরিক্ত খেলে হতে পারে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া!
- 23 hrs ago অনলাইন গেমে বাচ্চারা ঘরকুঁনো! জানেন কি স্বাস্থ্যের জন্য় কতটা উপকারি আউটডোর গেম?
লিপ ইয়ার ২০২০ : জেনে নিন লিপ ইয়ার সম্পর্কে কিছু প্রচলিত কথা
আমরা জানি যে, প্রতি চার বছর অন্তর লিপ ইয়ার হয়। তাই, হিসাব অনুয়ায়ী ২০১৬ সালের পর এইবছর অর্থাৎ ২০২০ সালে লিপ ইয়ার পড়েছে এবং এর পরের লিপ ইয়ারটি পড়বে ২০২৪ সালে। সাধারণত ফেব্রুয়ারি মাস ২৮ দিনের হয়। তবে, যে বছর এই মাসে ২৮ দিনের জায়গায় একটা দিন বেশি অর্থাৎ ২৯ দিন থাকে, সেই বছরটাকেই লিপ ইয়ার বলা হয়। আজ ২৯ ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ লিপ ইয়ারের সেই একটি অতিরিক্ত দিন।
প্রতি চার বছর অন্তর লিপ ইয়ার হওয়ার কারণ হল, সাধারণত আমরা ৩৬৫ দিনে একবছর গণনা করে থাকি। কিন্তু, পৃথিবীর সূর্যকে একবার প্রদক্ষিণ করে আসতে সময় লাগে প্রায় ৩৬৫ দিন ৫ ঘণ্টা ৪৮ মিনিট ৪৭ সেকেন্ড। আমরা যদি ৩৬৫ দিনের বেশি এই সময়গুলিকে একসঙ্গে গণনা করি তাহলে চার বছর পর তা প্রায় একটা দিনের সমান হয়ে যায়। এই সমস্যা দূর করার জন্য প্রতি ৪ বছর পরপর ফেব্রুয়ারি মাসে ১ দিন বাড়িয়ে ২৯ দিন করা হয়েছে এবং যে বছরে এটি পড়ে সেই বছরটিকেই লিপ ইয়ার বলা হয়।
আরও পড়ুন : লিপ ইয়ার সম্পর্কে কিছু মজার তথ্য
যেহেতু প্রতি চার বছরে একবার ২৯ ফেব্রুয়ারি আসে, তাই কিছু সংস্কৃতিতে এই দিনটি নিয়ে বেশ কিছু কথা বা মিথ প্রচলিত আছে। এই মিথগুলি আপনার কাছে অদ্ভুত বলেও মনে হতে পারে কিন্তু, আপনি কি জানেন প্রচলিত কথাগুলি কী? না জেনে থাকলে এই আর্টিকেলটি পড়ুন।
১) লিপ দিবসটি অশুভ
বিশ্বাস করা হয়, লিপ ইয়ার কারও জীবনে সৌভাগ্য নিয়ে আসে না। এটি কারও জীবনকে বিভিন্ন সমস্যায় ফেলতে পারে। গ্রীক সংস্কৃতিতেও এই একই কথা বিশ্বাস করা হয়। এই দুটি সংস্কৃতির লোকেরাই এই দিনে বিয়ে বা কোনও শুভ এবং গুরুত্বপূর্ণ কাজ সম্পাদন করা এড়িয়ে যায়।
তবে, আয়ারল্যান্ডে এটি বিপরীত। সে দেশে বসবাসকারী লোকেরা লিপ দিবসটিকে অত্যন্ত ভাগ্যবান বা শুভ বলে মনে করে এবং লিপ দিবসের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে।
২) পুরুষরা মহিলাদের প্রস্তাব বাতিল করতে পারবেন না
স্কটিশ কিংবদন্তি অনুসারে, রানী মার্গারেট যিনি অবিবাহিত ছিলেন এবং তিনি আইন তৈরি করেছিলেন যে, লিপ দিবসে যে পুরুষ মহিলাদের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করবে তাকে জরিমানা দিতে হবে। তিনি বলেছিলেন যে, কোনও পুরুষ কোনও মহিলার প্রস্তাব অস্বীকার করতে পারে না এবং তাকে তার স্বপ্নের পুরুষের সঙ্গে বিয়ে করতেও বাধা দিতে পারে না। এই কারণে প্রায়শই অনেক পুরুষ মহিলাদের প্রস্তাব প্রত্যাখানের জন্য শাস্তি পান।
যদিও অনেকেই এই গল্পটিকে মিথ হিসেবে বিবেচনা করেন, তবুও স্কটল্যান্ডের মহিলারা ২৯ ফেব্রুয়ারি তাদের ভালবাসার মানুষটিকে প্রপোজ করে।
৩) লিপ ইয়ারের সময় বিবাহ/ ডিভোর্স করা উচিত নয়
যদিও অনেক নারীই এইদিন তাদের ভালবাসার মানুষটিকে প্রেমের প্রস্তাব দেয় এবং বিয়েও করতে পারে, তবে অনেক ইউরোপীয় দেশের কাপল-রা লিপ ইয়ারে বিয়ে করতে পছন্দ করে না। কারণ, বিশ্বাস করা হয় যে, লিপ ইয়ারে বিয়ে করলে বিবাহিত জীবনে দুর্ভাগ্য আসে। এমনকি, ডিভোর্স দেওয়ার ক্ষেত্রে এটি মানা হয়। বিশ্বাস করা হয় যে, লিপ ইয়ারের সময় স্ত্রীকে ডিভোর্স দিলে বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে।
দীর্ঘ দূরত্বের সম্পর্কে থেকে ঘনিষ্ঠতা বজায় রাখবেন কীভাবে? রইল কিছু টিপস্
৪) বাড়ি / গাড়ি কেনা ভাল নয়
বিশ্বাস করা হয় যে, লিপ ইয়ারে গাড়ি বা বাড়ি কেনা কিছুটা ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে তাই, পরের বছর অবধি অপেক্ষা করা উচিত। কিন্তু, লিপ ইয়ারে কারও যদি জরুরি প্রয়োজন হয় গাড়ি বা বাড়ি কেনার ক্ষেত্রে, তবে ডিল করার আগে অবশ্যই তাদের কেয়ারফুল থাকতে হবে।
৫) এই দিনে জন্মগ্রহণ করা শিশুরা কষ্টের মুখোমুখি হতে পারে
যেহেতু কিছু সংস্কৃতিতে লিপ দিবসকে একটি খারাপ দিন হিসেবে বিবেচনা করা হয়, তাই অনেকে বিশ্বাস করেন যে, এই দিনটিতে জন্ম নেওয়া শিশুরা তাদের জীবনে বিভিন্ন সমস্যার মুখোমুখি হতে পারে। বিশ্বাস করা হয় যে, এই শিশুরা সারাজীবনে বিভিন্ন কষ্টের মুখোমুখি হয়। এছাড়াও, বিশ্বাস করা হয় যে, এই শিশুদের বাবা-মায়েরাও তাদের বড় করতে খুব সমস্যায় ভোগেন।
৬) লিপ ইয়ার মৃত্যু ও রোগ নিয়ে আসে
লিপ ইয়ার সম্পর্কে এটি আরেকটি প্রচলিত কাহিনী। বলা হয় যে, লিপ ইয়ারে মৃত্যুর হার বাড়ে। যদিও এর কোনও বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই, তবুও কিছু দেশের মানুষেরা এটি সত্য বলে বিবেচনা করে।
৭) লিপ দিবসে চাকরি ছেড়ে দেওয়া ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে
অনেক ইউরোপীয় দেশের ব্যক্তিরাই বিশ্বাস করেন যে, ২৯ ফেব্রুয়ারি লিপ দিবসে চাকরি ছাড়লে অনেক লড়াইয়ের মুখোমুখি পড়তে হতে পারে। তাই, হয় তারা পরের মাসের জন্য অপেক্ষা করে বা তাদের চাকরি ছাড়ার আগেই অন্য চাকরি খুঁজে নেয়।
প্রতিটি সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যেই কিছু কল্পকাহিনী রয়েছে। এগুলি বিশ্বাস করা বা না করা সম্পূর্ণ নিজের পছন্দের উপর নির্ভর করে। কোনও কিছুকে অন্ধভাবে বিশ্বাস করার চেয়ে চিন্তাভাবনার যৌক্তিক দৃষ্টিভঙ্গি রাখাই ভাল।