Just In
শত চেষ্টা করেও কি মনের মতো চাকরি মিলছে না? তাহলে বন্ধু এই নিয়মগুলি মানতে এক মুহূর্তও দেরি করবেন না!
একটা পদের চাকরি যদি পেতে চান, তাহলে এই লেখটি একবার পড়ে ফেলতে ভুলবেন না যেন! কারণ এই প্রবন্ধে এমন কিছু পদ্ধতি সম্পর্কে আজ আলোচনা করা হয়েছে, যেগুলিকে আপাত দৃষ্টিতে আজব মনে হলেও কিন্তু বেজায় কার্যকর।
একটা মনের মতো চাকরি পেতে সবাই আজ হন্যে হয়ে ঘুরে বেরাচ্ছে। কিন্তু তবু ভাগ্যের শিখে ছিঁড়ছে না। যদিও বা ১-২ টো সুযোগ আসছে, তাতে এমন খাটাচ্ছে যে নানাবিধ রোগ চেপে বসছে ঘারে। এমন পরিস্থিতি যদি বন্ধু একটা পদের চাকরি পেতে চান, তাহলে এই লেখটি একবার পড়ে ফেলতে ভুলবেন না যেন! কারণ এই প্রবন্ধে এমন কিছু পদ্ধতি সম্পর্কে আজ আলোচনা করা হয়েছে, যেগুলিকে আপাত দৃষ্টিতে আজব মনে হলেও কিন্তু বেজায় কার্যকর।
ভাল চাকরি পেতে গেলে কী কী জিনিসের প্রয়োজন পরে? প্রথমত শিক্ষাগত যোগ্যতা তো থাকতেই হবে, সেই সঙ্গে একটু ভাগ্যের সাপোর্ট না পেলে কিন্তু বেজায় বিপদ! আর ঠিক এই জায়গাতেই এই লেখাটি আপনাকে সাহায্য করেবে। কীভাবে করবে তাই ভাবছেন নিশ্চয়? আসলে বন্ধু এই প্রবন্ধে এমন কিছু পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে, যেগুলিকে কাজে লাগালে আপনার ভাগ্য তো ফিরবেই, সেই সঙ্গে খারাপ সময়ও কেটে যেতে শুরু করবে। ফলে নতুন নতুন সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা যে বাড়বে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই!
তাহলে আর অপেক্ষা কেন বন্ধু, চলুন জেনে নেওয়া যাক চটজলদি একটা মনের মতো চাকরি পাওয়ার সেই সব টোটকাগুলি সম্পর্কে। প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে যে যে বিষয়গুলি মাথায় রাখতে হবে, সেগুলি হল...
১. হাতের তালুর যাদু:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে প্রতিদিন সকালে উঠে যদি দু হাতের তালু দেখা যায়, তাহলে নাকি মনের মতো চাকরি পেতে সময় লাগে না। আসলে শাস্ত্র মতে হাতের তালুর উপরে মা লক্ষ্মী অবস্থান করেন, মাঝে থাকেন মা সরস্বতী এবং নিচে থাকেন ভগবান বিষ্ণু। তাই তো ঘুম থেকে উঠে এক মনে হাতের তালু দেখলে এই তিন দেব-দেবীর আশীর্বাদ মিলতে সময় লাগে না। ফলে ভাল একটা চাকরির সন্ধান মেলে চোখের পলকে।
২.শনিবার সেদ্ধ ভাত:
জ্যোতিষ শাস্ত্র নিয়ে যারা গবেষণা করেন, তাদের মতে প্রতি শনিবার যদি কাকেদের দই ভাত খাওয়ানো যায়, তাহলে নাকি মনের মতো চকির পেতে সময় লাগে না। আর যদি ভাবেন কাকেদের ভাত খাওয়ানোর সঙ্গে চাকরির কী সম্পর্ক, তাহলে জেনে রাখুন বন্ধু এমনটা করলে শনি দেব বেজায় প্রসন্ন হন। ফলে দেবের আশীর্বাদে কর্মক্ষেত্রে উন্নতি লাভের পথ প্রশস্ত হতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে এ জীবনে কখনও দুঃখের খপ্পরে পরার আশঙ্কাও যায় কমে।
৩. সূর্য দেবকে জল দান:
এমনটা অনেকে বিশ্বাস করেন যে প্রতিদিন ভোর বেলা ঘুম থেকে উঠে "ওম হ্রিম সূর্য নমহ", এই মন্ত্রটি ১১ বার জপ করতে করতে যদি সূর্য দেবকে জল দান করা যায়, তাহলে দেবের আশীর্বাদে কর্মক্ষেত্রে নতুন নতুন সুযোগ পেতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে অর্থনৈতিক উন্নতিও ঘটে চোখে পরার মতো। তবে এক্ষেত্রে একটি জিনিস মাথায় রাখতে হবে। তা হল সূর্য দেবকে জল দান করার সময় তামার পাত্রে জল নিতে গহে এবং সেই জলে এক টুকরো গুড় ফেলে দিতে ভুলবেন না যেন!
৪. গায়েত্রী এবং মহা মৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র:
মন্ত্র বলে যে অনেক স্বপ্নকেই বাস্তবায়িত করা যায়, সে সম্পর্কে তো নিশ্চয় সবারই জানা আছে। কিন্তু একথা জানেন কি এমন কিছু মন্ত্র আছে, যা নিয়মিত পাঠ করলে মনের মতো চকরি মিলতে সময় লাগে না। কোন দুই মন্ত্রের কতা বলছি তাই ভাবছেন নিশ্চয়? বন্ধু এক্ষেত্রে প্রতিদিন ৩১ বার গায়েত্রী এবং মহা মৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র জপ করতে হবে, তাহলেই দেখবেন কেল্লা ফতে! আসলে এই দুটি মন্ত্র পাঠ করা মাত্র গৃহস্থের অন্দরে পজেটিভ শক্তির মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে, যার প্রভাবে গুড লাক রোজের সঙ্গী হয় ওঠে। ফলে যে শুধু মনের মতো চাকরি মেলে, তা নয়, সেই সঙ্গে ছোট-বড় সব ইচ্ছা পূরণ হতেও সময় লাগে না।
৫. গণেশ বীজ মন্ত্র:
শাস্ত্র মতে প্রতি বুধবার এক মনে ১০৮ বার গণেশ বীজ মন্ত্রটি জপ করতে করতে যদি বাপ্পার অরাধনা করা যায়, তাহলে মনের মতো চাকরি পাওয়ার স্বপ্ন তো পূরণ হয়ই, সেই সঙ্গে অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটতেও সময় লাগে না। শুধু তাই নয়, এই মন্ত্রটি এতটাই শক্তিশালী যে পাঠ করা মাত্র যে কোনও সমস্যা মিটে যেতে যেমন সময় লাগে না, তেমনি রোগ-ব্যাধিও দূরে পালায়। ফলে আয়ু বাড়ে চোখে পরার মতো।
৬. লেবু এবং লবঙ্গ:
শুনতে হয়তো আজব লাগতে পারে। কিন্তু এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে প্রতি মঙ্গলবার হনুমানজির মন্দিরে গিয়ে দেবের সামনে একটি লেবু, তাতে ঠিক চারটে লবঙ্গ গুঁজে দিয়ে যদি রাখা যায়, সেই সঙ্গে এক মনে পাঠ করা যায় হনুমান চল্লিশা, তাহলে কর্মক্ষেত্রে উন্নতি লাভ করতে সময় লাগে না। শুধু তাই নয়, মারুথির আশীর্বাদে আরও বেশ কিছু সুফল মেলে। যেমন ধরুন- মনের জোর বাড়ে, অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটে, খারাপ শক্তির প্রভাব কমতে শুরু করে এবং কোনও ধরনের বিপদ ঘটার আশঙ্কা যায় কমে। প্রসঙ্গত, প্রতি মঙ্গলবার করে যদি দেবের সামনে বসে ২১ বার "ওম শ্রী হানুমাতে নমহ", এই মন্ত্রটি জপ করা যায়, তাহলেও কিন্তু সমান উপকার মেলে।
৭. গরুকে কলা খাওয়াতে ভুলবেন না যেন:
চটজলদি মোটা মাইনের চাকরি পেতে চান নাকি? তাহলে প্রতি বৃহস্পতিবার গরুকে কলা খাওয়াতে ভুলবেন না যেন! আসলে এমনটা করলে ভগবান বিষ্ণু বেজায় সন্তুষ্ট হন। ফলে দেবের আশীর্বাদে মনের মতো চাকরি পাওয়ার স্বপ্ন পূরণই হয় চোখের পলকে।
৮. দেবদিদেবের অরাধনা করতে হবে:
শাস্ত্র মতে প্রতি সোমবার এক মনে ওম নম শিবায়, মন্ত্রটি জপ করতে করতে যদি শিব লিঙ্গে গঙ্গা জল এবং ঠান্ডা দুধ ঢালা যায়, তাহলে নাকি দেবাদিদেব এতটাই প্রসন্ন হন যে সর্বশক্তিমানের আশীর্বাদে কর্মক্ষেত্রে চরম উন্নতির স্বাদ পেতে সময় লাগে না।
৯. দানাশস্যের শক্তি:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে প্রতিদিন যদি মুগ ডাল, গম, চানা, বার্লে, ভাত, বাজরা এবং উরাদ ডাল এক সঙ্গে মিশিয়ে পাখিদের খাওয়ানো যায়, তাহলে নাকি কর্মক্ষেত্রে চরম সফলতার স্বাদ তো মেলেই, সেই সঙ্গে পদন্নতিও ঘটে চোখে পরার মতো।