Just In
- 14 hrs ago এপ্রিল মাসে ৪ গ্রহের স্থান পরিবর্তন, রাজযোগ ও সৌভাগ্যে ফুলে ফেঁপে উঠবে এই রাশির জাতকরা, দেখুন
- 15 hrs ago আপনার কি ক্রমাগত কান চুলকাচ্ছেন? অজান্তেই ডেকে আনচ্ছেন বড় বিপদ
- 19 hrs ago মসুর ডাল খেতে ভালোবাসেন? কিন্তু অতিরিক্ত খেলে হতে পারে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া!
- 20 hrs ago অনলাইন গেমে বাচ্চারা ঘরকুঁনো! জানেন কি স্বাস্থ্যের জন্য় কতটা উপকারি আউটডোর গেম?
টাকা-পয়সা সংক্রান্ত ঝামেলায় জড়িয়ে পরতে না চাইলে আজই বাড়ি থেকে বের করে দিন এই জিনিসগুলি!
আমাদের জীবনে যখন কোনও বিপদ ঘটে, তখন বেশরভাগই ভাগ্যকে দোষ দিয়ে থাকেন। বলেন ভাগ্য খারাপ ছিল, তাই এমন সব ঘটনা ঘটছে। কিন্তু হঠাৎ করে ভাগ্য খারাপ হল কেন, সে বিষয়ে আমরা কেউই জানার চেষ্টা করি না।
আমাদের জীবনে যখন কোনও বিপদ ঘটে, তখন বেশরভাগই ভাগ্যকে দোষ দিয়ে থাকেন। বলেন ভাগ্য খারাপ ছিল, তাই এমন সব ঘটনা ঘটছে। কিন্তু হঠাৎ করে ভাগ্য খারাপ হল কেন, সে বিষয়ে আমরা কেউই জানার চেষ্টা করি না। এই কারণেই তো এই প্রবন্ধে আজ এই অজানা বিষয়টিক উপর আলোকপাত করার চেষ্টা করা হবে। তাই তো যারা খারাপ সময়ের মার থেকে বাঁচতে চান, তাদের তো একবার চোখ রাখতেই হবে এই প্রবন্ধে!
বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে আমাদেরই কিছু ভুল কাজের জন্য ভাগ্য বিগড়ে যায় এবং এই কারণে নানাবিধ ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কাও যায় বেড়ে। এই যেমন ধরুন, এমন কিছু জিনিস রয়েছে যা বাড়িতে রাখলে ভাগ্য দোষে মারাত্মক অর্থনৈতিক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা যায় বেড়ে। সেই সঙ্গে ধার-দেনার মাত্রা এতটা বেড়ে যায় যে জলের মতো টাকা খরচ হতে শুরু করে। ফলে অর্থকষ্টে জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠতে সময় লাগে না। তাই তো বলি বন্ধু, যারা চোখের পলকে বড়লোক থেকে গরীব হয়ে যেতে চান না, তারা দয়া করে যে যে জিনিসগুলি বাড়িতে রাখবেন না, সেগুলি হল...
১. ছিঁড়ে যাওয়া টাকার ব্যাগ:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে নষ্ট হয়ে যাওয়া টাকার ব্যাগ ব্যবহার করলে অর্থনৈতিক ক্ষতি হতে সময় লাগে না। এমনকি একই ঘঠনা ঘটে যে আলমারি বা লকারে টাকা রাখছেন সেটির বেহার দশা হয়ে গেলেও। তাই এই বিষয়গুলি নজরে রাখতে ভুলবেন না যেন! প্রসঙ্গত, বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে টাকার ব্যাগে এবং লকারে একটা মা লক্ষ্মীর ছবি এবং রূপোর কয়েন রাখলে অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটতে সময় লাগে না। তাই বন্ধু যদি চান অল্প সময়ে অনেক অনেক টাকার মালিক হয়ে উঠতে, তাহলে এই নিয়মগুলি মানতে ভুলবেন না যেন!
২. অব্যবহৃত ইলেকট্রনিক গুডস:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে বাড়িতে ভাঙাচোড়া ইলেকট্রনিক গুডস অথবা পুরনো মোবাইল বা ওই ধরনের কোনও গেজেট, যা বহুদিন ব্যবহার করা হয় না, তা রাখলে রাহুর কুপ্রভাব পরে। ফলে মারাত্মর অর্থনৈতিক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা যায় বেড়ে।
৩. ছেঁড়া জামা-কাপড়:
বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে পরানো ইলেকট্রনিক গুডসের মতোই পুরানো জামা-কাপড়, বিশেষত ছেঁড়া কাপড়-জামা বাড়ির ইতিউতি গুঁজে রাখলে বাস্তু দোষ দেখা দেয়। ফলে গৃহস্থের অন্দরে খারাপ শক্তির মাত্রা এতটা বেড়ে যায় যে নানাবিধ বিপদ ঘটার আশঙ্কা থাকে। এমনকী টাকা-পয়সা সংক্রান্ত নানাবিধ ঝামেলা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার সম্ভাবনাও দেখা দেয়।
৪. মকাড়সার জাল:
খেয়াল করে দেখবেন অনেকেই দেওয়ালের কোণায় কোণায় হওয়া মাকড়সার জাল পরিষ্কার করার সময় পান না। এমনটা হওয়ার কারণে বাড়ির সৌন্দর্য তো কমেই, সেই সঙ্গে গৃহস্থের অন্দরে খারাপ শক্তির প্রভাব বাড়তে শুরু করে। ফলে মারাত্মক অর্থনৈতিক ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এই কারণেই তো ঘরদোর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার পরামর্শ দিয়ে থাকেন বাস্তু বিশেষজ্ঞরা। প্রসঙ্গত, এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে সপ্তাহে একদিন নুন জল দিয়ে ঘর পুঁছলে নেগেটিভ শক্তির মাত্রা কমতে শুরু করে। ফলে কোনও ধরনের বিপদ ঘটার আশঙ্কা আর থাকে না বললেই চলে।
৫. আলমারির দরজা:
বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে কোনও কারণে যদি আলমারির দরজা খোলা অবস্থায় থাকে, তাহলে সুখ এবং সমৃদ্ধি গৃহস্থ ত্যাগ করে। সেই সঙ্গে মা লক্ষ্মী এবং কুবের দেব এতটাই ক্ষুন্ন হন যে অর্থনৈতিক ক্ষতি হতে সময় লাগে না। তাই সারাক্ষণ আলমাড়ির দরজা বন্ধ রাখতে ভুলবেন না যেন!
৬. ভাঙা ঠাকুরের মূর্তি:
বাড়ির কোথাও কি ভাঙা ঠাকুরের মূর্তি রয়েছে? তাহলে বন্ধু এখনই তা জলে ভাসিয়ে দিন। কারণ বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে ভেঙে যাওয়া ঠাকুরের মূর্তি বাড়িতে রাখা একেবারেই উচিত নয়। কারণ এমনটা করলে অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়ই, সেই সঙ্গে ব্যাড লাক পিছু নয়। ফলে নানাবিধ সমস্যায় জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠতে সময় লাগে না।
প্রসঙ্গত, উপরে আলোচিত নিয়মগুলি মানার পাশাপাশি যদি এবার আলোচিত হতে চলা জিনিসগুলি বাড়িতে রাখতে পারেন, তাহলে দেখবেন বড়লোক হয়ে উঠতে কেউ আপনাকে আটকাতে পারবে না। প্রসঙ্গত, যে যে জিনিসগুলি বাড়িতে রাখলে চরম অর্থনৈতিক উন্নতির পথ প্রশস্ত হয়, সেগুলি হল...
১. লোহার মাছ এবং কচ্ছপ:
বাস্তু ববিশেষজ্ঞদের মতে বাড়ির কোনও একটা কোনে লোহার মাছ বা কচ্ছপের সো-পিস রাখলে একদিকে যেমন মানি ব্যাগ মোটা হতে শুরু করে, তেমনি গৃহস্তের অন্দরে উপস্থিত খারাপ শক্তির প্রভাব কেটে যায়। ফলে পরিবারে সুখ-শান্তি বজায় থাকে। শুধু তাই নয়, ভায়ে-ভায়ে সম্পর্কেরও উন্নতি ঘেটে। প্রসঙ্গত, এমনটাও বিশ্বাস করা হয় যে বাড়িতে এমন মূর্তি রাখলে শরীর খারাপ হওয়ার আশঙ্কাও কমে।
২. আলমারির দিক নির্দেশ:
এমনটা বিশ্বাস করা হয়, যে আলমারিতে টাকা রাখা হয়, সেটি যদি উত্তর দিকে মুখ করে রাখা যায়, তাহলে টাকার পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। আসলে এমনটা করলে মাইনে বাড়ার সম্ভাবনা বাড়ে। তাই তো স্বাভাবিকভাবেই অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটতে সময় লাগে না।
৩. হনুমানজির মূর্তি:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে বাড়ির দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে পঞ্চমুখি হনুমানজির ছবি বা মূর্তি এনে রেখে যদি পুজো করা যায়, তাহলে টাকা সম্পর্কিত যে কোনও বাঁধা সরে যেতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটার সম্ভাবনাও কয়েক গুণ বেড়ে যায়। প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে নিয়মিত সকালে উঠে স্নান সেরে হনুমান চাল্লিসা পাঠ করার মধ্যে দিয়ে দেবের আরাধনা করতে হবে। এমনটা কয়েক দিন করলেই দেখবেন সময় বদলাতে শুরু করেছে।
৪. বাস্তু দেব:
এমনটা বিশ্বাস করা হয়, ভগবান বাস্তুর ছবি বা মূর্তি ঠাকুর ঘরে রাখলে বাস্তু দোষ কেটে যেতে শুরু করে। সেই সঙ্গে গৃহস্থের অন্দরে শুভ শক্তির মাত্রা এতটা বৃদ্ধি পায় যে পকেট ভর্তি টাকার মালিক হয়ে ওঠার স্বপ্ন পূরণ হতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে পরিবারে সুখ-শান্তি বজায় থাকে এবং কোনও ধরনের খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কা যায় কমে।
৫. পিরামিড:
বাস্তুসাস্ত্র অনুসারে ড্রয়িং রুমে রুপো বা তামার ছোট্ট একটা পিরামিড রাখলে পরিবারের প্রতিটি সদস্যের অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে গৃহস্থে সদা সুখ-শান্তির পরিবেশ বজায় থাকে। ফলে জীবন আনন্দে ভরে উঠতে সময় লাগে না। প্রসঙ্গত, অফিসের ডেস্কেও যদি এমন ধরনের পুরামিড রাখতে পারেন, তাহলেও কিন্তু দারুন উপকার পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে কর্মক্ষেত্রে উন্নতি লাভ করার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।
৬. মাটির কলসি:
শুনতে অবাক লাগলেও একথার মধ্যে কোনও ভুল নেই যে বাড়িতে মাটির একটি কলসি রাখলে অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি ঘটতে সময় লাগে না। শুধু তাই নয়, সঞ্চয় করা অর্থ খরচ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও কমে। তবে এক্ষেত্রে একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে। কী বিষয়? কলসিটা রাখতে হবে উত্তর দিকে মুখ করে। আর কলসিতে যেন সব সময় জল থাকে। তাহলেই দেখবেন উপকার মিলবে একেবারে হাতে-নাতে!
৭. লক্ষ্মী এবং কুবের দেবতার ছবি:
ঠাকুর ঘরে মা লক্ষ্মী এবং কুবের দেবতার ছবি রাখলে গৃহস্থের অন্দরে মায়ের আগমণ ঘটে। আর এমনটা হলে অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি ঘটতে যে সময় লাগে না, তা বলাই বাহুল্য! আসলে যে বাড়িতে মা লক্ষ্মী তাঁর আসন পাতেন, সেখানে ধন দেবাতারও প্রবেশ ঘটে। তাই তো বড়লোক হয়ে ওঠার স্বপ্ন পূরণ হতে সময় লাগে না। এখন প্রস্ন হল যাদের বাড়িতে ঠাকুর ঘর নেই তারা কী করবেন? সেক্ষেত্রে তারা বাড়ির প্রবেশ পথে মা লক্ষ্মী এবং কুবের দেবের ছবি বা স্টিকার লাগাতে পারেন। আসলে এমনটা করলেও দারুন উপকার পাওয়া যায়।