Just In
বাড়ির সদর দরজায় এই জিনিসগুলি রাখলে কোনও খারাপ শক্তি আপনাকে ছুঁতে পারবে না দেখবেন!
আমাদের ঘিরে থাকা নানা অশুভ শক্তি যখন প্রতি মুহূর্তে আমাদের ক্ষতি করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তখন এসবের থেকে বেঁচে থাকার উপায় বাতলান হল এই প্রবন্ধে।
আমাদের ঘিরে থাকা নানা অশুভ শক্তি যখন প্রতি মুহূর্তে আমাদের ক্ষতি করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তখন এসবের থেকে বেঁচে থাকার উপায় বাতলান হল এই প্রবন্ধে।
আপাত দৃষ্টিতে বাস্তুশাস্ত্রে লেখা সুখে থাকার নানা উপায়কে অবাস্তব মনে হলেও আদতে কিন্তু সেই নিয়মগুলি মেনে চললে সত্যিই নানা উপকার পাওয়া যায়। তাই তো বাস্তুশাস্ত্র মেনে এই প্রবন্ধে এমন কিছু জিনিসের উল্লেখ করা হল, যা বাড়ির সদর দরজায় রাখলে দেখবেন খারাপ কিছু ঘটার আশঙ্কা একেবারে কমে যাবে। বাড়বে শুভ শক্তির ক্ষমতা। ফলে স্বাভাবিকভাবেই জীবন হয়ে উঠবে কন্টক মুক্ত। তাহলে বন্ধু আর অপেক্ষা কেমন সুখ-সমৃদ্ধিময় জীবনের পথকে প্রশস্থ করতে চোখ রাখুন বাকি প্রবন্ধে। দেখবেন নিমেষে জীবনটাই বদলে যাবে।
প্রসঙ্গত, যে যে জিনিলগুলি বাড়ির দরজায় রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়, সেগুলি হল...
১. কাঁচের পাত্র:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে সদর দরজার সামনে একটি কাঁচের পাত্রে জল রেখে তাতে একটি ফুল গাছ লাগালে দারুন উপকার পাওয়া যায়। এমনটা করলে পরিবারে সুখ-শান্তি বজায় থাকে। সেই সঙ্গে প্রতিটি সদস্যের মধ্যে ভালবাসার সম্পর্কে কখনও খাদ পরে না।
২. পাতার মালা:
অশ্বত্থ গাচের পাতা, আম পাতা এবং অশোক গাছের পাতা দিয়ে একটি মালা বানিয়ে বাড়ির সদর দরজায় লাগুয়ে রাখুন। এমনটা করলে দেখবেন খারাপ কিছু ঘটার আশঙ্কা একেবারে কমে যাবে। বাড়বে সমৃদ্ধি। তবে যখন দেখবেন পাতাগুলি শুকিয়ে যাচ্ছে, তখন সেটিকে বদলে দিতে ভুলবেন না যেন!
৩. মা লক্ষী:
অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ হয়ে উঠতে চান? তাহলে বন্ধু বাড়ির দরজায় মা লক্ষীর ছবি লাগিয়ে রাখতে ভুলবেন না যেন! এই নিয়মটি মানলে দেখবেন ধীরে ধীরে অথর্থনাতিক অবস্থার উন্নতি ঘটবে। খালি পকেট ভরতে থাকবে টাকায়। এক্ষেত্রে খেয়াল রাখবেন যেখানে ছবিটি রেখেছেন, তার সামনে যেন জুতো রাখা না হয়।
৪. মা লক্ষীর পা:
সদর দরজা থেকে বাড়ির ভিতরের দিকে মুখ করে আঁকা মায়ের পায়ের ছবি বা আলপোনা প্রায় প্রতিটি বাঙালি বাড়িতেই দেখতে পাওয়া যায়। এমনটা করলে সমৃদ্ধি বাড়ি মুখো হয়। ফলে জীবন হয়ে ওঠে সুখময়!
৫. সোয়াস্তিকা চিহ্ন:
বাড়ির গেটে এই চিহ্ন আঁকা থাকলে রোগ-ব্যাধি থেকে মুক্তি মেলে। সেই সঙ্গে শরীর এবং মন চাঙ্গা হয়ে উটতেও সময় লাগে না। আর যেমনটা আপনাদের সবারই জানা আছে যে শরীর যত রোগমুক্ত থাকে, মন তত আনন্দে ভরে ওঠে, আর মন যত আনন্দে ভরে ওঠে, তত পরিবারের অন্দরে সুখ-শান্তি জায়গা করে নেয়। প্রসঙ্গত, কিছু কিছু বাস্তুশাস্ত্র সম্পর্কিত বইয়ে এমনও লেখা আছে যে বাড়ির সদর দরজায় সোয়াস্তিকা চিহ্ন আঁকা থাকলে গুড লাক এবং সমৃদ্ধির পথও প্রশস্ত হয়।
৬.সদর দরজা হতে হবে সবথেকে বড়:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে বাড়ির সদর দরজা যদি বাকি দরজার থেকে বড় হয়, তাহলে পরিবারে সুখ-সমৃদ্ধির পরিবেশ সব সময় বজায় থাকে। সেই সঙ্গে নানাবিধ রোগ ব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও যায় কমে।
৭. দরজা খোলার সময় যেন কোনও আওয়াজ না হয়:
কোনও কোনও বাড়িতে দেখবেন সদর দরজা খোলার সময় ক্যাঁয়য়য়য়চ... করে একটা শব্দ হয়। এমনটা হওয়া একেবারেই উচিত নয়। কারণ বাস্তু শাস্ত্র অনুযায়ী সজর দরজা খোলার সময় এমন আওয়াজ হলে বাড়ির প্রতিটি কোণা নেগেটিভ এনার্জিতে ভরে যাওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়।
৮. নাম্বার:
বাস্তু শাস্ত্র মতে বাড়ির সবকটি দরজা এবং জানলার যোগ ফল যদি হয় ২,৪,৬ বা ৮, অর্থাৎ জোর সংখ্যা, তাহলে তা বেজায় শুভ। কিন্তু একটা কথা এক্ষেত্রে মেনে চলা একান্ত প্রয়োজন। কী কথা! বাড়ির মোট দরজা এবং জানলার যোগফল যেন কখনই শূন্য দিয়ে শেষ না হয়। যেমন-১০,২০ প্রভৃতি।
৯. মানি প্লান্ট:
বাস্তু শাস্ত্র মতে বাড়ির দরজায় অথবা বাড়ির উত্তর দিকে মানি প্লান্ট গাছ রাখলে ভাগ্য ফিরতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে সমৃদ্ধির পথও প্রশস্ত হয়। তাই কোনও ধরনের অর্থনৈতিক সমস্যার মধ্যে দিয়ে গেলে এখনই এই টোটকাটিকে কাজে লাগিয়ে দেখুন। উপকার যে মিলবে, তা হলফ করে বলতে পারি।