For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts

কালী পুজোর দিন প্রত্যেকেরই বাড়িতে প্রদীপ জ্বালানো উচিত! কেন জানা আছে?

প্রাচীন নথি অনুসারে কালী পুজোর আগে এবং পরে প্রতিদিন প্রদীপ জ্বালালে একাধিক শারীরিক এবং আরও নানাবিধ উপকার পাওয়া যায়। যেমন ধরুন...

|

কালী পুজোর আগের এবং পরের কয়েকটা দিন সারা বাড়িতে প্রদীপ জ্বালানোর প্রথা আজকের নয়, সেই রাম জমানা থেকে চলে আসছে। একাধিক প্রাচীন বইয়ে উল্লেখিত নথি অনুসারে শ্রী রাম, মা সীতা এবং লক্ষণ ১৪ বছরের বনবাস কাটিয়ে যে দিন অযোধ্যায় ফিরেছিলেন, সেদিন সারা অযোধ্যা জুড়ে প্রদীপ জ্বালানো হয়েছিল। আর সেই রীতি এখনও বর্তমান। আজও কালী পুজোর আগে এবং পরে, অর্থাৎ দিওয়ালির সময় সারা দেশ আলোকিত হয়ে ওঠে প্রদীপের আলোকে।

আচ্ছা রামচন্দ্রের ঘরে ফেরার পাশাপাশি আর কোনও কারণ আছে নাকি এমন বিশেষ দিনে প্রদীপ জ্বালানোর পিছনে? আছে বৈকি! তাই তো এই প্রবন্ধটি লেখা। একাধিক প্রাচীন নথি অনুসারে কালী পুজোর আগে এবং পরে প্রতিদিন প্রদীপ জ্বালালে একাধিক শারীরিক এবং আরও নানাবিধ উপকার পাওয়া যায়। যেমন ধরুন...

১. খারাপ শক্তির প্রভাব কমে যায়:

১. খারাপ শক্তির প্রভাব কমে যায়:

শুধু কালী পুজোর সময় নয়, বছরের বাকি দিনগুলিতেও যদি সন্ধ্যাবেলা প্রদীপ জ্বালানো হয়, তাহলে গৃহস্থে উপস্থিত খারাপ শক্তির প্রভাব কমতে শুরু করে, প্রভাব বাড়ে শুভ শক্তির। ফলে বাড়ির প্রতিটি কোণা পবিত্র হয়ে ওঠে। ফলে গৃহস্থে মা লক্ষ্মীর আগমণ ঘঠতে সময় লাগে না। আর যে বাড়িতে মা নিজ আসন পাতেন, সেখানে দুঃখ তো ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না। সেই সঙ্গে সুখ-সমৃদ্ধির ছোঁয়াও লাগে। ফলে আনন্দে ভরে ওঠে জীবন।

২. খারাপ সময় কেটে যায়:

২. খারাপ সময় কেটে যায়:

একেবারে ঠিক শুনেছেন বন্ধু! এমন বিশ্বাস রয়েছে যে বছরের বিশেষ বিশেষ দিনে প্রদীপের আলোয় যদি সারা বাড়ি উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে, তাহলে পজেটিভ শক্তির মাত্রা বাড়তে শুরু করে, যার প্রভাবে খারাপ সময়ের অবসান ঘটে। সেই সঙ্গে গুড লাক রোজের সঙ্গী হয়ে ওঠে। আর ভাগ্য বা লাক যখন সহায় হয়, তখন মনের ছোট থেকে ছেটাতর ইচ্ছা পূরণ হতে যে সময় লাগে না, তা কি আর বলার অপেক্ষা রাখে।

৩. কালো যাদুর প্রভাব কমে:

৩. কালো যাদুর প্রভাব কমে:

শাস্ত্র মতে কালী পুজোর আগে এবং পরে সারা বাড়িতে প্রদীপ জ্বালালে আমাদের আশেপাশে উপস্থিত নেগেটিভ শক্তির প্রভাব যেমন কমে যায়, তেমনি কালো যাদুর প্রভাব কমতেও সময় লাগে না। ফলে কোনও ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা যায় কমে। প্রসঙ্গত, বাড়ির প্রতিটি কোণায় যদি প্রদীপ জ্বালানো যায়, তাহলে আরও বেশি মাত্রায় উপকার পাওয়া যায়।

৪. শরীরের নানাবিধ উপকার হয়:

৪. শরীরের নানাবিধ উপকার হয়:

শুনতে আজব লাগলেও একথা নানা গবেষণায় প্রমাণিত হয়ে গেছে যে কালী পুজোর সময় সারা বাড়িতে প্রদীপে জ্বালালে আগুনের তাপে ব্লাড সেলেরা অ্যাকটিভ হয়ে ওঠে। ফলে সারা শরীরে রক্তের প্রবাহ বেড়ে যাওয়ার করণে দেহের প্রতিটি অঙ্গ চাঙ্গা হয়ে ওঠে। ফলে একাধিক রোগের প্রকোপ কমতে সময় লাগে না।

৫. ক্ষতিকর জীবাণুদের প্রকোপ কমে:

৫. ক্ষতিকর জীবাণুদের প্রকোপ কমে:

কালী পুজোর সময় তাপমাত্রা অনেকটাই কমে যায়। ফলে পরিবেশে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ারদের মাত্রা এতটা বেড়ে যায় যে নানাবিধ রোগের প্রকোপ কমতে সময় লাগে না। কিন্তু এমন পরিস্থিতিতেও শরীর বাবাজিকে চাঙ্গা রাখা সম্ভব, যদি কালী পুজোর পর থেকে প্রতিদিন প্রদীপ জ্বালানো হয় তো। কারণ এমনটা করলে আগুনের তাপে তো বটেই, সেই সঙ্গে প্রদীপে জ্বালাতে ব্যবহৃত তেলের গন্ধেও একাধিক ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া এবং জীবাণু মারা পরে। ফলে শরীর খারাপ হওয়ার আশঙ্কা যায় কমে।

৬. অর্থনৈতিক উন্নতির সম্ভাবনা বাড়ে:

৬. অর্থনৈতিক উন্নতির সম্ভাবনা বাড়ে:

এমন বিশ্বাস রয়েছে যে দিওয়ালির সময় ঘি দিয়ে প্রদীপ জ্বালালে একদিকে যেমন পরিবারে সুখ এবং সমৃদ্ধির ছোঁয়া লাগে, তেমনি রেড়ির তেল অথবা নীম তেলের সাহায্যে প্রদীপ জ্বালালে রোগ-ভোগের আশঙ্কা তো কমেই, সেই সেই সঙ্গে সারা বাড়িতে পজেটিভ শক্তির মাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণে ভাগ্যও সহায় হয়ে ওঠে। ফলে অর্থনৈতিক উন্নতির স্বাদ পেতে সময় লাগে না।

৭. বিপদ ঘটার আশঙ্কা যায় কমে:

৭. বিপদ ঘটার আশঙ্কা যায় কমে:

কালী পুজোর সময় তিল তেলের সাহায্যে প্রদীপ জ্বালালে পরিবারের অন্দরে মাথা চাড়া দিয়ে ওঠা যে কোনও ঝামেলা বা কলহ মিটে যেতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে শুভ শক্তির প্রভাব বেড়ে যাওয়ার কারণে জীবন পথে চলতে চলতে সামনে আসা যে কোনও সমস্যার পাহাড়ও সরে যায়। তাই তো বলি বন্ধু, বাকি জীবনটা যদি সুখ-শান্তিতে কাটাতে হয়, তাহলে এ বছর কালী পুজোর আগে এবং পরে তিল তেল ব্যবহার করে প্রদীপ জ্বালতে ভুলবেন না যেন!

৮. ত্বকের রোগের প্রকোপ কমে:

৮. ত্বকের রোগের প্রকোপ কমে:

একেবারেই ঠিক শুনেছেন বন্ধু। বেশ কিছু স্টাডিতে দেখা গেছে ঘি দিয়ে প্রদীপ জ্বালালে সারা বাড়িতে এমন কিছু উপাদানের মাত্রা বৃদ্ধি পায়, যাদের প্রভাবে নানাবিধ ত্বকের রোগের প্রকোপ কমতে যেমন সময় লাগে না, তেমনি স্ট্রেস লেভেলও কমে চোখে পরার মতো।

৯. পরিবেশ উপস্থিত ক্ষতিকর উপাদানেরা ধ্বংস হয়ে যায়:

৯. পরিবেশ উপস্থিত ক্ষতিকর উপাদানেরা ধ্বংস হয়ে যায়:

সরষের তেল অথবা ঘিয়ের সাহায্যে প্রদীপ জ্বালালে সেই ধোঁয়ার কারণে আমাদের আশেপাশে এমন কতগুলি উপাদানের মাত্রা বৃদ্ধি পায়, যার প্রভাবে পরিবেশে উপস্থিত ক্ষতিকর উপাদানের মাত্রা কমতে শুরু করে। ফলে অ্যাস্থেমার মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও যায় কমে, সেই সঙ্গে শরীর এবং মনও চাঙ্গা হয়ে ওঠে।

Read more about: বিশ্ব
English summary

kali puja 2018: Do You Know Why we should Light diya During Diwali?

Diya is also helpful in removing diseases from the house. If you burn a clove with a lamp, it is twice as good for health. Burning ghee lamp will benefit the whole house. Ghee has all the properties of removing skin disease. Indeed, when the ghee present in the lamp comes in contact with the fire, the atmosphere becomes sacred. Due to this, it is believed that the diseases of the house run away by burning ghee lamp.
Story first published: Friday, November 2, 2018, 15:42 [IST]
X
Desktop Bottom Promotion