Just In
আশ্চর্য সব চাকরির গল্প
আপনি যদি চাকরির খোঁজে থাকেন, তাহলে এক্ষুনি চোখ রাখুন এই প্রবন্ধে।
স্বপ্নের চাকরি পেতে কে না চায়। যে বিষয়ে আগ্রহ রয়েছে, সেই বিষয় নিয়ে কাজ করার সুযোগ পাওয়াটা তো ভাগ্য়ের বিষয়। কি তাই না!
তবে আমার এই লেখাটা মোটেই চিরচরিত চাকরির প্রসঙ্গে বলার জন্য় নয়। বরং এমন কিছু কাজের বিষয়ে এই প্রবন্ধে লেখা হল, যে কাজগুলির কথা শুনলে যে কেউ ইর্ষান্বিত হতে বাধ্য়। তাই আপনি যদি চাকরির খোঁজে থাকেন, তাহলে এক্ষুনি চোখ রাখুন এই প্রবন্ধে। কারণ এই কাজগুলির কোনও টি করতে পারলে আপনার জীবন হয়ে উঠবে চমকপ্রদ!
চলুন তাহলে চোখ রাখা যাক সেইসব আজব ধরনের চকিরগুলির দিকে, যেগুলির বিষয়ে হয়তো এতদিন আপনি শোনেনই নি।
ঘুমিয়ে মন ভরল!
প্রতিদিন অফিসে গিয়ে একটা ডিজাইনার বিছানায় শুধু ঘুমাতে হবে। এমনটা একমাস ধরে করার পর একটা রিপোর্ট বানতে হবে এবং তাতে লিখতে হবে বিছানাটির ভালো-মন্দের বিষয়ে। আর তার জন্য় আপনার মাইনে হবে কম করে ১০০০ পাউন্ড। কি, বিশ্বাস হচ্ছে না তো? শুনতে যতই আজব শোনাক না কেন এও কিন্তু এক ধরনের চাকরি যা অনেকেই বেশ ঘুমতো ঘুমতো করে থাকেন!
ওয়াটার স্লাইডে লাফালাফি:
ওয়াটার পার্কে গেছেন নিশ্চয়। আর সেখানে গিয়ে বেশ হুল্লোরও করেছেন! কিন্তু আপনারা কি জানেন ওয়াটার পার্কের রাইডগুলি আদৌ নিরাপদ কিনা জানতে কিছু লোককে চাকরি দেওয়া হয়। আর তারা সারাদিন ধরে রাইডগুলি চড়তেই থাকেন এটা দেখার জন্য় যে সেগুলির মান ঠিক আছে কিনা। এই সব রাইড বিশেষজ্ঞরা সবুজ সঙ্কেত দিলে তবেই জনসাধারণ সেগুলিতে ওঠার অনুমতি পান। চাকরিটা মন্দ নয় বলুন। শুধু সারাদিন ধরে একটু ভিজতে হবে এই যা!
কেয়ারটেকার, তবে বাড়ির নয়:
ফাঁকা বাড়ির দেখভালের জন্য় কেয়ারটেকার নিয়োগ করতে নিশ্চয় শুনেছেন। কিন্তু কখনও এটা শুনেছেন কি যে একটা আস্ত দ্বীপের দেখাশোনার জন্য় লোক নেওয়া হচ্ছে? চোখ যতই কপালে উঠুক না কেন, একথা সত্য়ি যে এমন চাকরিও রয়েছে এই জগতে। শুনলে অবাক হয়ে যাবেন এ বছর প্রায় ৩৫০০০ মানুষ এমন চাকরির জন্য় দরখাস্ত করেছিল। যারা সাঁতার কাটতে আর নতুনকে আবিষ্কার করতে পছন্দ করেন তাদের জন্য় যে এটা স্বপ্নের চাকরি, তা কি আর বলে দিতে হয়। প্রসঙ্গত, বেন সাউথঅল হল এমনই একজন লাকি মানুষ যিনি এই চাকরিটি করেন। ছমাস অস্ট্রেলিয়ার এক দ্বিপের কেয়ারটেকারের কাজের জন্য় উনি কত টাকা পান জানেন? প্রায় ১১১,০০০ ডলার।
Image Courtesy
প্রস্টিটিউট টেস্টার:
শুনতে খারাপ লাগলেও জেমি রেসকন এই কাজটিই করে থাকেন। জেমি একজন মডেল এবং প্রফেশনাল ডিজে। এছাড়াও মাঝে মাঝে জেমি প্রস্টটিউট টেস্টারের কাজও করে থাকেন। কী করতে হয় এই চাকরিতে? একাধিক মেয়েকে ভালোবেসে তিনি দেখেন প্রস্টেটিউটের কাজের জন্য় তারা সঠিক কিনা। তার রিপোর্টের ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
Image Courtesy
সারাদিন মিষ্টিমুখ:
হেরি উইলশার নামে এই স্কুল ছাত্রটি সারাদিন ধরে লেজেন্স খেয়ে তাদের গুণমান ঠিক আছে কিনা সে ব্য়পারে রিপোর্ট তৈরি করেন। ভাবুন তো মিষ্টি খেতে যারা পছন্দ করেন তাদের কাছে এই চাকরিটি কতটা মূল্য়বান! প্রসঙ্গত, হেরি একটি প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়ে এই চাকরিটি পেয়েছিল।
Image Courtesy