Just In
- 16 hrs ago এপ্রিল মাসে ৪ গ্রহের স্থান পরিবর্তন, রাজযোগ ও সৌভাগ্যে ফুলে ফেঁপে উঠবে এই রাশির জাতকরা, দেখুন
- 18 hrs ago আপনার কি ক্রমাগত কান চুলকাচ্ছেন? অজান্তেই ডেকে আনচ্ছেন বড় বিপদ
- 21 hrs ago মসুর ডাল খেতে ভালোবাসেন? কিন্তু অতিরিক্ত খেলে হতে পারে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া!
- 23 hrs ago অনলাইন গেমে বাচ্চারা ঘরকুঁনো! জানেন কি স্বাস্থ্যের জন্য় কতটা উপকারি আউটডোর গেম?
Republic Day 2024: ভারতের ইতিহাসে এই দিনটি কেন এত গুরুত্বপূর্ণ? জেনে নিন প্রজাতন্ত্র দিবস সম্পর্কিত কিছু তথ্য
বহু বীর যোদ্ধার বলিদানে ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবস পা দিল ৭৫ বছরে। আজ স্বাধীন আমাদের দেশ, স্বাধীন আমরাও। কিন্তু, আজও বহু মানুষ এই দিনটির প্রকৃত তাৎপর্য ও ইতিহাস সম্পর্কে অবগত নন। ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবস কেন পালন করা হয়, সেই সম্পর্কে অনেকই সঠিক তথ্য জানেন না।
অনেকেই এই দিনটিকে একটি সাধারণ ছুটি ও অনুষ্ঠানের দিনের মতোই পরিবারের সাথে পালন করে থাকে। কিন্তু কেন ছুটি থাকে? কলকাতার রেড রোড থেকে দিল্লির রাজপথ কেন সেজে ওঠে এইদিনে? তা অনেকেরই অজানা। তাহলে আসুন জেনে নেওয়া যাক, ভারতে কেন ২৬ জানুয়ারি 'প্রজাতন্ত্র দিবস বা সাধারণতন্ত্র দিবস' পালন করা হয়।
২৬ জানুয়ারির ইতিহাস ও গুরুত্ব
ভারতবর্ষ স্বাধীন হয় ১৯৪৭ সালের ১৫ অগস্ট। স্বাধীনতার পরেও দেশের প্রধান হিসেবে বহাল ছিলেন ষষ্ঠ জর্জ এবং গভর্নর জেনারেল লর্ড লুই মাউন্টব্যাটেন। তখনও দেশে স্থায়ী সংবিধান না থাকার ফলে ঔপনিবেশিক ভারত শাসন আইনে কিছু রদবদল ঘটিয়েই চলতে থাকে দেশ শাসনের কাজ। পরে ১৯৪৭ সালের ২৮শে আগস্ট স্থায়ী সংবিধান রচনার জন্য ড্রাফটিং কমিটি গঠন করা হয়, যার চেয়ারম্যান ছিলেন ভীমরাও রামজি আম্বেডকর। ১৯৪৭ সালের ৪ নভেম্বর ড্রাফটিং কমিটি একটি খসড়া প্রস্তুত করে গণপরিষদে জমা দেয়। হাজারো লড়াইয়ের পর ১৯৫০ সালের ২৪ জানুয়ারি স্বাক্ষরিত হয় ভারতীয় সংবিধান। তার দু'দিন পর অর্থাৎ ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি কার্যকর হয় ভারতীয় সংবিধান। সেই থেকেই প্রতি বছর ২৬ জানুয়ারি পালিত হয়ে আসছে ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবস। ভারতের এই সংবিধান গঠনে সময় লাগে প্রায় ২ বছর ১১ মাস ১৭ দিন।
উল্লেখ্য, দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর নেতৃত্বে ১৯২৯ সালে 'পূর্ণ স্বরাজ' ঘোষণার পর ১৯৩০ সাল থেকে ২৬ জানুয়ারিকে স্বাধীনতার দিন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল। তবে, পরে দিনটি পাল্টে গিয়ে ভারতবর্ষে যেদিন স্বাধীনতার পতাকা উদিত হয়েছিল, সেইদিনটিকেই স্বাধীনতার দিন হিসেবে গণ্য করা হয়। ঘটনাচক্রে, দিনটি ছিল ১৫ অগাস্ট। যার ফলে পাল্টে গিয়েছিল ২৬ জানুয়ারির গুরুত্ব। সংবিধান রচনার পর তা কার্যকর করার জন্য একটি দিনের প্রয়োজন ছিল। তখন ঐতিহাসিক গুরুত্বের বিচারে ২৬ জানুয়ারিকেই বেছে নেওয়া হয় প্রজাতন্ত্র দিবস হিসেবে।
২৬ জানুয়ারি সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
১) ভারতীয় সংবিধানের আসল খসড়াটি আজও সংরক্ষিত আছে সংসদ ভবনে। যেটি দুটি ভাষায় রচিত হয়েছিল - ইংরাজি এবং হিন্দিতে।
২) ভারতীয় সংবিধানকে পৃথিবীর দীর্ঘতম সংবিধান বলা হয়। এটি ২২টি অংশ ও ৪৪৮ নিবন্ধে রচিত।
৩) সংবিধানের এই খসড়া তৈরিতে কাজ করেছিল ড্রাফটিং কমিটি।
৪) সংবিধান রচনার ক্ষেত্রে কাজ করেন ৩০৮ জন সদস্য।
৫) চূড়ান্তভাবে সংবিধান গৃহীত হওয়ার আগে গণপরিষদে এই খসড়া সংবিধানটি নিয়ে আলোচনার জন্য ১৬৬ বার অধিবেশনে ডাকা হয় সদস্যদের।
৬) প্রজাতন্ত্র দিবসের ভাষণটি ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রদান করেন এবং স্বাধীনতা দিবসের দিনটিকে সম্বোধন করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
৭) ১৯৫০ সালে সংবিধান রচনার পর ড. রাজেন্দ্র প্রসাদ প্রথম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন।
কী ভাবে পালন করা হয়?
সারা দেশজুড়ে এই দিনটি অত্যন্ত জাঁকজমকভাবে পালন করা হয়। কলকাতার রেড রোড থেকে দিল্লির রাজপথ সেজে ওঠে এই দিনে। সেনাদের কুচকাওয়াজের মাধ্যমে পালন করা হয় প্রজাতন্ত্র দিবস। পাশাপাশি আমন্ত্রিত থাকেন কোনও এক দেশের রাষ্ট্রপ্রধান। ২৯ জানুয়ারি বিটিং দ্য রিট্রিট-এর মাধ্যমে প্রজাতন্ত্র দিবসের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি হয়। ভারতীয় সামরিক বাহিনীর তিনটি প্রধান শাখা অর্থাৎ, ভারতীয় স্থলসেনা, ভারতীয় নৌবাহিনী এবং ভারতীয় বায়ুসেনা এই রিট্রিটে অংশ নেয়। কেন্দ্রীয় সচিবালয় ও রাষ্ট্রপতি ভবনের নর্থ ব্লক ও সাউথ ব্লকের মধ্যবর্তী রাইসিনা হিল ও বিজয় চকে এই অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়।