Just In
- 13 min ago এপ্রিল মাসে ৪ গ্রহের স্থান পরিবর্তন, রাজযোগ ও সৌভাগ্যে ফুলে ফেঁপে উঠবে এই রাশির জাতকরা, দেখুন
- 1 hr ago আপনার কি ক্রমাগত কান চুলকাচ্ছেন? অজান্তেই ডেকে আনচ্ছেন বড় বিপদ
- 5 hrs ago মসুর ডাল খেতে ভালোবাসেন? কিন্তু অতিরিক্ত খেলে হতে পারে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া!
- 6 hrs ago অনলাইন গেমে বাচ্চারা ঘরকুঁনো! জানেন কি স্বাস্থ্যের জন্য় কতটা উপকারি আউটডোর গেম?
PV Sindhu: দ্বিতীয় বার অলিম্পিক্সে পদক জিতে ইতিহাস গড়লেন পিভি সিন্ধু, দেখুন সিন্ধুর কয়েকটি অবিশ্বাস্য কীর্তি
প্রথম ভারতীয় মহিলা হিসেবে পরপর দু'টি অলিম্পিক্সে পদক জিতে ইতিহাস গড়লেন সিন্ধু। ২০১৬-র রিও অলিম্পিক্সে রুপো জেতার পর, এবার ২০২০-র টোকিও অলিম্পিক্সে ব্রোঞ্জ পদক অর্জন করলেন পিভি সিন্ধু। ২১-১৩, ২১-১৫ ব্যবধানে চিনের হি বিংজিয়ায়ো-কে হারিয়ে ব্রোঞ্জ জিতে নিয়েছেন সিন্ধু। ফাইনালে উঠতে না পারার যন্ত্রণায় পুরোপুরি ভেঙে পড়েছিলেন সিন্ধু, তবে কোচের পরামর্শে ঘুরে দাঁড়ান তিনি।
তবে এই প্রথম নয়, ব্যাডমিন্টন কোর্টে মাত্র ২৬ বছর বয়সি এই শাটলারের বিধ্বংসী রূপ এর আগেও দেখেছে গোটা বিশ্ব। আসুন ফিরে দেখা যাক, সিন্ধুর কয়েকটি অবিশ্বাস্য কীর্তি।
১) ১৯৯৫ সালের ৫ জুন হায়দরাবাদে জন্ম হয় পুসারলা ভেঙ্কট সিন্ধু-র। তাঁর পিতা পিভি রামানা এবং মাতা পি বিজয়া - উভয়েই ছিলেন জাতীয় স্তরের ভলিবল খেলোয়াড়। ভলিবল খেলায় অবদানের জন্য ২০০০ সালে তাঁর পিতা অর্জুন পুরস্কার পান। পিভি রামানা ১৯৮৬ সালে এশিয়ান গেমসে ব্রোঞ্জ পদক জিতেছিলেন।
২) ২০০১ সালে অল ইংল্যান্ড ওপেন ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়ন পুল্লেলা গোপীচাঁদের সাফল্যে অনুপ্রাণিত হয়ে, ভলিবলের বদলে ব্যাডমিন্টন বেছে নেন সিন্ধু। মাত্র আট বছর বয়স থেকে ব্যাডমিন্টন খেলা শুরু করেন।
৩) প্রথমে কোচ মেহবুব আলীর কাছে ব্যাডমিন্টনের বেসিক শিখেছিলেন, তবে তারপর তিনি গোপীচাঁদ অ্যাকাডেমিতে যোগ দিয়েছিলেন ব্যাডমিন্টন প্রশিক্ষণের জন্য। সিন্ধু তাঁর বাড়ি থেকে কোচিং ক্যাম্প পর্যন্ত প্রতিদিন প্রায় ৬০ কিলোমিটার যাতায়াত করতেন।
৪) ২০১২ সালের সেপ্টেম্বরে BWF World Ranking-এ টপ ২০-তে স্থান পাওয়ার পর, তাঁর প্রথম আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আসে। সেই সময় তাঁর বয়স ছিল মাত্র ১৭। কঠোর পরিশ্রম এবং উদ্যোগের ফলে, ২০১৩ সালে BWF ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপে তিনি পদক জেতেন।
৫) ভারতের ৫১তম জাতীয় রাজ্য গেমসে Under-14 years category-তে সিন্ধু স্বর্ণপদক জেতেন।
৬) বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে সিন্ধুর অনন্য রেকর্ড রয়েছে, কারণ চ্যাম্পিয়নশিপে তিনি মোট ছয়টি ম্যাচে পাঁচটি পদক জিতেছেন। ২০১৯ সালে সোনা, ২০১৭ এবং ২০১৮ সালে রুপো, ২০১৩ এবং ২০১৪ সালে ব্রোঞ্জ।
৭) ২০১২ সালে তিনি জাপানি খেলোয়াড় নোজোমি ওকুহারাকে পরাজিত করে এশিয়ান জুনিয়র চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছিলেন। ২০১৩ সালে, তিনি সিঙ্গাপুরের খেলোয়াড় গু-জুয়ানকে পরাজিত করেন।
৮) ২০১৬ সালে, পিভি সিন্ধু রিও অলিম্পিকে রৌপ্য পদক জিতেছিলেন এবং তিনিই প্রথম ভারতীয় ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় যিনি অলিম্পিকে রৌপ্য পদক অর্জন করেন। অলিম্পিকের প্রশিক্ষণে কঠোর মনোযোগের জন্য, কোচ পুল্লেলা গোপীচাঁদ সিন্ধুর ফোন তিন মাসের জন্য তাঁর কাছ থেকে নিয়ে রেখে দেন।
৯) রিও অলিম্পিকে সাফল্যের জন্য শচীন তেন্ডুলকর পিভি সিন্ধুকে বিএমডব্লিউ গাড়ি উপহার দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন : মীরাবাঈ চানুর হাত ধরে টোকিও অলিম্পিক্সে খাতা খুলল ভারত, জেনে নিন তাঁর সাফল্যের গল্প
১০) ২০১৭ সালে, সিন্ধু তিনটি মেজর ইভেন্টের ফাইনালে পৌঁছানোর জন্য বিশ্বের প্রথম শাটলার হন - ইন্ডিয়ান ওপেন সিরিজ জেতেন, BWF বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে রৌপ্য জিতেছেন, ২০১৮-র বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে পৌঁছান।
১১) ২০১৯ সালে, সিন্ধুই প্রথম ভারতীয় খেলোয়াড়, যিনি BWF বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা জেতেন। সুইজ্যারল্যান্ডের বাসেলে আয়োজিত ব্যাডমিন্টন বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে পিভি সিন্ধু তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী জাপানের নোজোমি ওকুহারা-কে পরাজিত করেন।
১২) ২০১৮ সালে কমনওয়েলথ গেমসে মিক্সড টিমে সোনা এবং women's singles-এ রৌপ্য পদক জেতেন। ২০১৪ সালে সিন্ধু ব্রোঞ্জ পদক অর্জন করেন।
১৩) ২০২১ সালে টোকিও অলিম্পিকে সিন্ধু ব্রোঞ্জ পদক অর্জন করেন। তিনিই প্রথম ভারতীয় মহিলা, যিনি পরপর ২টি অলিম্পিকে পদক জিতেছেন।
১৪) ২০১৩ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর অর্জুন পুরস্কার পান। ২০১৫ সালে তাঁকে পদ্মশ্রী পুরস্কারে সম্মানিত করা হয়েছিল এবং ২০১৬ সালে রাজীব গান্ধী খেলরত্ন পুরস্কার পান। ২০২০ সালের জানুয়ারিতে পিভি সিন্ধু ভারতের তৃতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার পদ্মভূষণ-এ সম্মানিত হন।