Just In
- 1 hr ago আপনি কি সেলফি তুলতে পছন্দ করেন? বিশেষজ্ঞরা বলছেন সেলফি স্বাস্থ্যকর
- 1 hr ago হিন্দু নববর্ষের ৩ দিন আগেই গ্রহ পরিবর্তন, শনির প্রভাবে অর্থ-বৃষ্টির সম্ভাবনা এই রাশিগুলিতে
- 18 hrs ago এপ্রিল মাসে ৪ গ্রহের স্থান পরিবর্তন, রাজযোগ ও সৌভাগ্যে ফুলে ফেঁপে উঠবে এই রাশির জাতকরা, দেখুন
- 20 hrs ago আপনার কি ক্রমাগত কান চুলকাচ্ছেন? অজান্তেই ডেকে আনচ্ছেন বড় বিপদ
পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু : তাঁর সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
আজ, ১৪ নভেম্বর স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু-র জন্মজয়ন্তীর পাশাপাশি দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে 'শিশু দিবস'। শিশুদের প্রতি তাঁর গভীর স্নেহ ও ভালবাসার কারণে তাঁর জন্মদিনেই দেশজুড়ে পালিত হয় শিশু দিবস। তিনি বলেছিলেন, শিশুরাই দেশের ভবিষ্যত। শিশুদের যেকোনও বিষয়ে তিনি অত্যন্ত সতর্ক থাকতেন। সবসময় চাইতেন ছোটদের সঙ্গে সময় কাটাতে। বাচ্চারাও তাই ভালোবেসে তাঁকে ডাকত 'চাচা নেহরু' বলে ডাকত।
রাষ্ট্রসংঘ ১৯৫৪ সালের ২০ নভেম্বর শিশু দিবস পালনের জন্য ঘোষণা করেছিল। সেই অনুযায়ী পণ্ডিত জওহরলাল নেহরুর মৃত্যুর আগে পর্যন্ত ভারতে ওইদিনেই শিশু দিবস পালিত হত। তবে, ১৯৬৪ সালে পণ্ডিত নেহরুর মৃত্যুর পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, প্রতিবছর ১৪ নভেম্বরই ভারতে শিশু দিবস উদযাপন করা হবে। স্বাধীনতা সংগ্রামে পণ্ডিত নেহেরু-র ভূমিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এমনকী, স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরেও তিনি দেশ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।
পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু সম্পর্কিত কিছু তথ্য
১) ১৮৮৯ সালের ১৪ নভেম্বর এলাহাবাদে জওহরলাল নেহেরু জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা মতিলাল নেহরু ও মা স্বরুপ রানি। মতিলাল নেহরু কংগ্রেসের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন।
২) প্রকৃতি বিজ্ঞানের উপরে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেন। এরপর তিনি সেখানেই ব্যারিস্টারি পড়া শুরু করেন।
৩) ইংল্যান্ডে থাকার সময় নেহেরু ভারতীয় ছাত্র সংসদের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। এই সময়েই তিনি সমাজতন্ত্রের প্রতি আকৃষ্ট হন।
৪) ১৯১৬ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জওহরলাল নেহরু কমলা কাউলকে বিয়ে করেন।
৫) গান্ধীজির দর্শন ও নেতৃত্ব জওহরলাল নেহরুকে গভীরভাবে আকৃষ্ট করে। গান্ধীজির প্রভাবে নেহেরু ভগবত গীতা পাঠ এবং যোগ-ব্যায়াম শুরু করেন। এছাড়াও, ব্যক্তিগত জীবনেও গান্ধীজির কাছ থেকে পরামর্শ নিতেন।
৬) পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু ছিলেন ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের রাজনীতিবিদ, ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম নেতা এবং স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী।
৭) লেখক হিসেবেও তিনি ছিলেন জনপ্রিয়।
৮) ১৯২৪ সালে এলাহাবাদ মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের সভাপতি নির্বাচিত হন। দুই বছর এই পদে ছিলেন।
৯) ১৯২০ সালে নেহেরু নিখিল ভারত শ্রমিক ইউনিয়ন কংগেসের সভাপতি নির্বাচিত হন।
১০) ১৯২৯ সালের লাহোর সম্মেলনে গান্ধীজির পরামর্শে নেহেরুকে কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়।
১১) ১৯২৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর নেহরু এক জনসভায় ভারতের স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন করেন। ১৯৩০ সালের ২৬ জানুয়ারি কংগ্রেস পূর্ণ স্বরাজ আন্দোলনের ডাক দেয়। লবণের উপর করারোপ করায় নেহরু গুজরাটসহ দেশের অন্যান্য অংশে সফর করে গণআন্দোলনের ডাক দেন। এসময় তিনি গ্রেপ্তার হন।
১২) ১৯৩৬ সালে নেহেরু ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচিত হন এবং এর লক্ষ্মৌ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন।
১৩) কংগ্রেসের "ভারত ছাড়ো" আন্দোলনকে জনপ্রিয় করতে নেহরু ভারতের বিভিন্ন স্থানে সফর করেন। ফলে, ব্রিটিশ সরকারের হাতে ১৯৪২ সালের ৯ আগস্ট আবার নেহেরু ও অন্যান্য কেন্দ্রীয় কংগ্রেস নেতা গ্রেপ্তার হয়।
১৪) ১৫ আগস্ট, ১৯৪৭ সালে নেহেরু ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তাঁর শাসন কালে ভারতে প্রচুর শিল্পায়ন হয়।
১৫) ভারত-পাকিস্তানের শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপনের উদ্দেশ্যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নেহেরু ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলি খান নেহেরু-লিয়াকত চুক্তি করেন।
১৬) তাঁর পরিধেয় বহুল ব্যবহৃত প্রিয় কোটটি 'নেহেরু কোট' নামে পরিচিত।
১৭) ১৯৬২ সালে ভারত-চীন যুদ্ধের পরে নেহরু অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং কাশ্মীরে কিছুদিন বিশ্রাম নেন।
১৮) ১৯৬৪ সালের মে মাসে কাশ্মীর থেকে ফেরার পর তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হন। ওইবছরই ২৭ মে তিনি তাঁর কার্যালয়ে মৃত্যুবরণ করেন।