Just In
- 7 hrs ago রোদে বের হলেই মাথা যন্ত্রণা কাবু করে? মাইগ্রেন নয় তো!
- 8 hrs ago শুধু ফ্যাশন নয়, প্রখর রোদ থেকে বাঁচতে পরুন সানগ্লাস!
- 10 hrs ago অসহ্য গরমে সর্দি-কাশিতে ভুগছেন? এই ঘরোয়া প্রতিকারগুলি ট্রাই করুন
- 14 hrs ago কর্মক্ষেত্রে সমস্যা মকরের, ব্যাবসায় আর্থিক লাভ মীনের, কেমন যাবে আজকের দিন? দেখুন রাশিফল
চন্দ্রশেখর আজাদ: এই বিখ্যাত মুক্তিযোদ্ধা সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য জেনে নিন
ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন বিখ্যাত বিপ্লবী নেতা এবং মুক্তিযোদ্ধা চন্দ্রশেখর আজাদ জন্মগ্রহণ করেছিলেন ১৯০৬ সালের ২৩ জুলাই মধ্যপ্রদেশের আলিরাজপুর জেলার ভাওরা গ্রামে। এই বীর মুক্তিযোদ্ধা জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ড (১৯১৯) দ্বারা গভীরভাবে প্রভাবিত হয়েছিলেন এবং ১৫ বছর বয়সে তিনি মহাত্মা গান্ধী দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে ১৯২০ সালে অসহযোগ আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছিলেন।
১৯৩১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি মাত্র ২৪ বছর বয়সে তিনি দেশের (ভারত) হয়ে নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। আসুন আমরা তাঁর সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নিই -
১) চন্দ্রশেখর আজাদ জন্মেছিলেন চন্দ্রশেখর তিওয়ারি নামে। তাঁর মা ছিলেন জাগরণী দেবী এবং পিতা সীতারাম তিওয়ারি।
২) ১৯২১ সালে, হায়ার স্টাডিজের জন্য এবং সংস্কৃত ভাষায় গভীর জ্ঞান অর্জনের জন্য তাঁকে বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানো হয়েছিল। সেই বছরই তিনি অসহযোগ আন্দোলনে অংশগ্রহণ নেন।
৩) তবে, খুব তাড়াতাড়িই তাকে গ্রেপ্তার করে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে আনা হয়। ম্যাজিস্ট্রেট চন্দ্রশেখরকে তাঁর সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে, তিনি নিজেকে 'আজাদ' হিসেবে পরিচয় দেন, যার অর্থ 'মুক্ত'। সেদিন থেকেই তিনি 'চন্দ্রশেখর আজাদ' নামে পরিচিতি লাভ করেন।
৪) পরবর্তীকালে চন্দ্রশেখর আজাদের পরিচয় হয় আরেক মুক্তিযোদ্ধা ও হিন্দুস্তান রিপাবলিকান অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা রাম প্রসাদ বিসমিলের সঙ্গে। চন্দ্রশেখর আজাদ এই সমিতিতে যোগদান করেন এবং এর জন্য তহবিল সংগ্রহের দায়িত্ব নিয়েছিলেন।
৫) ১৯২৫ সালের কাকোরি ট্রেন লুন্ঠন-এর একটি অংশ ছিলেন তিনি। প্রধানত আশফাকুল্লাহ খান, রাজেন্দ্র লাহিড়ী এবং রাম প্রসাদ বিসমিল, এই লুন্ঠনের পরিকল্পনা করেছিলেন।
৬) ১৯২৭ সালে মুক্তিযোদ্ধা লালা লাজপত রায়-এর মৃত্যুর পরে তাঁর মৃত্যুর প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য চন্দ্রশেখর আজাদ একজন ব্রিটিশ পুলিশ অফিসার জে.পি সান্ডার্সকে গুলি করে হত্যা করেন।
৭) কাকোরি ট্রেন লুন্ঠনের পরে ব্রিটিশ সরকার আধিকারিকরা রোশন সিং, আশফাকুল্লাহ খান, রাজেন্দ্র লাহিড়ী প্রভৃতি মুক্তিযোদ্ধাদের গ্রেপ্তার করেছিলেন এবং তাঁদের মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন। তবে, চন্দ্রশেখর আজাদ সেখান থেকে পালিয়ে ভগত সিং এবং অন্যান্য বিপ্লবী নেতাদের সঙ্গে HRA পুনর্গঠন করেছিলেন।
৮) তিনি তাঁর গোষ্ঠীর সদস্যদের যুদ্ধের দক্ষতার প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য ঝাঁসি থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে একটা স্থান বেছে নিয়েছিলেন। ঝাঁসিতে থাকাকালীন তিনি পণ্ডিত হরিশঙ্কর ব্রহ্মচারী ছদ্মনাম গ্রহণ করেছিলেন। এই সময়ে, তিনি তাঁর গোষ্ঠীর সদস্যদের গোপনে প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন।
৯) তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, ব্রিটিশ রাজত্বকালে তিনি কখনোই পুলিশ কর্মকর্তাদের হাতে জীবিত ধরা পড়বেন না। তাই, প্রয়াগরাজের (এলাহাবাদ নামেও পরিচিত) আলফ্রেড পার্কে লড়াই করার সময় পুলিশের হাত থেকে বাঁচার কোনও উপায় খুঁজে না পেয়ে চন্দ্রশেখর আজাদ নিজের বন্দুকের শেষ গুলিটি দিয়ে নিজেকে নিজেই গুলি করেন।
১০) যে পার্কে তিনি মারা গিয়েছিলেন, পরবর্তীকালে বীর মুক্তিযোদ্ধার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য সেই পার্কের নামকরণ করা হয়েছিল চন্দ্রশেখর আজাদ পার্ক। আজ তাঁর নামে অনেকগুলি রাস্তা এবং পাব্লিক প্লেসও রয়েছে।