Just In
- 1 hr ago
Budh Gochar August 2022 : কন্যা রাশিতে বুধের গোচর, কোন রাশির উপর কেমন প্রভাব পড়বে? জেনে নিন
- 9 hrs ago
Ajker Rashifal : আজ আপনার জীবনে কী ঘটবে? জানতে দেখুন ১৯ অগস্টের রাশিফল
- 19 hrs ago
রোজ একই রকম ভাবে ওটস খেতে খেতে বিরক্ত? স্বাদ বদলাতে বানিয়ে নিন ওটসের উপমা
- 20 hrs ago
গর্ভাবস্থায় খিদে মেটাতে ডায়েটে রাখুন এই ৫ পুষ্টিকর খাবার!
Tarun Majumdar : প্রয়াত প্রবীণ পরিচালক তরুণ মজুমদার, জেনে নিন তাঁর সম্পর্কে কিছু অজানা কথা
হাসপাতাল থেকে আর ঘরে ফেরা হল না। SSKM-এ সোমবার সকালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করলেন কিংবদন্তী পরিচালক তরুণ মজুমদার। বয়স হয়েছিল ৯১ বছর। দীর্ঘ দিন ধরেই কিডনি এবং হৃদযন্ত্রের সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। ১৪ জুন তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়। মাঝে শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতিও হয়েছিল। কিন্তু সম্প্রতি ফের অবস্থার অবনতি হতে থাকে। রবিবার তাঁকে আবার ভেন্টিলেশনে দিতে হয়। সেখান থেকে আর ফেরেননি তিনি। সোমবার বেলা ১১টা ১৭ মিনিটে মৃত্যু হয় প্রবীণ পরিচালকের।
১৯৩১ সালের ৮ জানুয়ারি বাংলাদেশের বগুড়ায় জন্ম। পিতা বীরেন্দ্রনাথ মজুমদার ছিলেন একজন মুক্তিযোদ্ধা। ছেলেবেলার অনেকটা সময়ই কেটেছে গ্রামে। তবে পড়াশোনা করেছেন কলকাতার সেন্ট পলস ক্যাথিড্রাল মিশন কলেজ এবং স্কটিশ চার্চ কলেজে। পরে রসায়ন নিয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন।
কেমিস্ট্রির ছাত্র হলেও বরাবরই ফিল্মমেকিং-এর উপর তীব্র আকর্ষণ ছিল তরুণ মজুমদারের। তাই, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা শেষ করার পরপরই চলচ্চিত্র দুনিয়ায় পদার্পণ করেন তিনি। ১৯৫৯ সালে তাঁর প্রথম ছবি মুক্তি পায়, উত্তম কুমার ও সুচিত্রা সেন অভিনীত 'চাওয়া পাওয়া' ছবিটি। তবে এই ছবিটির পরিচালনায় আসলে ছিল 'যাত্রিক' নামের একটি গোষ্ঠী। যাঁর সদস্য ছিলেন শচীন মুখোপাধ্যায়, দিলীপ মুখোপাধ্যায়ের এবং তরুণ মজুমদার। ১৯৬৩ সাল পর্যন্ত 'যাত্রিক'-এর সঙ্গেই ছবি পরিচালনা করেছেন তিনি। তার পর আলাদা ভাবে ছবি করা শুরু করেন।
১৯৬২ সালে যাত্রিকের পরিচালনাতেই 'কাঁচের স্বর্গ' মুক্তি পায়। এতে দিলীপ মুখোপাধ্যায় প্রধান চরিত্রে ছিলেন। এই ছবির জন্য প্রথমবার জাতীয় পুরস্কার পান তরুণ মজুমদার। যাত্রীক পরিচালিত শেষ ছবি পলাতক (১৯৬৩)।
এর পর নিমন্ত্রণ, সংসার সীমান্তে, ভালবাসা ভালবাসা, আপন আমার আপন, গণদেবতা, দাদার কীর্তি, পরশমণি, বালিকা বধূ, অমর গীতি, পথভোলা, কুহেলি, ঠগিনী, ফুলেশ্বরী, মেঘমুক্তি, আগমন, অমর গীতি, শ্রীমান পৃথ্বীরাজের মতো বহুল প্রশংসিত ছবি পরিচালনা করেছেন তরুণ মজুমদার।
কয়েক বছর আগেও বাংলা ছবির দর্শকদের উপহার দিয়েছেন আলো, ভালোবাসার অনেক নাম, চাঁদের বাড়ি, ভালোবাসার বাড়ি-র মতো সিনেমা। তাঁর পরিচালনায় শেষ ছবি মুক্তি পায় ২০১৮ সালে। সারল্য তাঁর ছবির এক বিশেষ অলঙ্কার। তাঁর ছবিতে রবীন্দ্রসংগীতের প্রয়োগ দর্শককে আবিষ্ট করে রাখে।
মোট চারটি জাতীয় পুরষ্কারে পান পরিচালক। সাতটি BFJA এবং পাঁচটি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার পেয়েছেন। এছাড়া, আনন্দলোক পুরস্কারও পেয়েছেন তিনি। ১৯৯০ সালে ভারত সরকার তাঁকে পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত করে।
বাংলা চলচ্চিত্র জগতে শুধু একের পর এক মাইলস্টোন ছবিই উপহার দেননি তিনি, পাশাপাশি বহু শিল্পীর কাজও শুরু হয়েছে তরুণ মজুমদারের হাত ধরে। মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়, মহুয়া রায়চৌধুরী, তাপস পাল, দেবশ্রী রায়ের মতো শিল্পীদের হাতেখড়ি থেকে বিনোদন জগতে বিখ্যাত হয়ে ওঠার পিছনে বিশেষ ভূমিকা আছে তরুণ মজুমদারের।