Just In
গয়না পরতে তো ভালই লাগে কিন্তু জানা আছে কি কোন গয়না কেমন প্রভাব ফেলে আমাদের শরীরের উপরে!
শুনতে যতই আজব লাগুক না কেন, এই ধরণার মধ্যে কোনও ভুল নেই যে, যে কোনও ধরনের গয়নাই নানাভাবে আমাদের শরীরের উপর প্রভাব ফেলে থাকে, সেই সঙ্গে ভাগ্যকেও অনেকাংশেই নিয়ন্ত্রণে করে।
একেবাকেই ঠিক শুনেছেন! একথা শুনতে যতই আজব লাগুক না কেন, এই ধরণার মধ্যে কোনও ভুল নেই যে, যে কোনও ধরনের গয়নাই নানাভাবে আমাদের শরীরের উপর প্রভাব ফেলে থাকে, সেই সঙ্গে ভাগ্যকেও অনেকাংশেই নিয়ন্ত্রণে করে। তাই তো অজান্তেই যদি ভুল গয়না পরে ফেলেন, তাহলে কিন্তু বিপদ! কারণ সেক্ষেত্রে একের পর এক খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কা যেমন বেড়ে যেতে পারে, তেমনি হতে পারে আরও নানাবিধ ক্ষতি। তাই তো ছেলে-মেয়ে নির্বিশেষ যারাই নানা ধরনের এক্সেসরিজ পরে থাকেন, তাদরে এই প্রবন্ধটি একবার পড়ে ফেলা মাস্ট!
প্রসঙ্গত, বিশেষেজ্ঞদের মতে বিশেষ বিশেষ দিনে, বিশেষ ধরনের গয়না পরলে গুড লাক সঙ্গী হয়ে ওঠে। ফলে কোনও ধরনের খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কা যেমন কমে, তেমনি কর্মক্ষেত্র থেকে সামাজিক জীবন, সবেতেই চরম সম্মান বৃদ্ধির সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।। শুধু তাই নয়, অর্থনৈতিক উন্নতি যেমন ঘটে, তেমনি একাদিক রোগও দূরে পালাতে বাধ্য হয়। তাই আর অপেক্ষা না করে জনে নিন, কোন গয়না কীভাবে আমাদের জীবনের উপর প্রভাব ফেলে থাকে সে সম্পর্কে!
১. মাং টিকা:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে এই গয়নাটি পরলে মেন্টাল এনার্জির মাত্রা বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে ব্রেন পাওয়া এতটা বৃদ্ধি বেড়ে যায় যে মনোযোগ ক্ষমতার উন্নতি ঘটতে সময় লাগে না। শুধু তাই নয়, মানসিক অবসাদ এবং অ্যাংজাইটির মতো সমস্যা কমতেও সময় লাগে না। কিন্তু এক্ষেত্রে একটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে, তা হল মাং টিকাটি যেন সোনার হয়। তবেই কিন্তু বেশি মাত্রায় উপকার মিলবে।
২. নথ:
জ্যোতিষশাস্ত্রের উপর লেখা বেশ কিছু বই অনুসারে নথ পরা মাত্র সূর্য,বুধ এবং চাঁদের প্রভাবে কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। সেই সঙ্গে সাইনাস, শ্বাস কষ্ট এবং গলার কোনও ধরনের সমস্যা কমে যেতেও সময় লাগে না। প্রসঙ্গত, এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে মনের জোর বাড়াতেও নোজ রিং পরা যেতে পারে। কারণ এমনটা করলে যে কোনও বিষয়ে ভয় কেটে যেতে সময় লাগে না।
৩. কানের দুল:
প্রায় সব মেয়েরাই নানা ডিজাইনের কানের দুল পরতে বেজায় পছন্দ করেন। আজকাল তো ছেলেরাও এক কানে দুল পরে থাকেন। কিন্তু জানা আছে কি কানের দুল আমাদের শরীর এবং মনের উপর কেমন প্রভাব ফেলে? বিশেষজ্ঞদের মতে কানের একেবারে উপরে, মাঝে এবং নিচে দুল পরলে নানা ধরনের উপকার পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে হরমেনাল ইমব্যালেন্স মতো সমস্যা কমে যেতে যেমন সময় লাগে না, তেমনি শ্রবণ ক্ষমতার উন্নতি ঘটতেও সময় লাগে না। শুধু তাই নয়, স্মৃতিশক্তিও বৃদ্ধি পায় চোখে পরার মতো। প্রসঙ্গত, এমনটা বিশ্বাস করা হয় য়ে ছেলেরা যদি তামার দুল পরেন, তাহলে বাবা হওয়ার ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা হয় না। সেই সঙ্গে সামাজিক সম্মানও বৃদ্ধি পায় চোখে পরার মতো।
৪. বাজু বান্ধ:
রত্ন বিশেষজ্ঞদের মতে ছেলে-মেয়ে নির্বিশেষ কেউ যদি বাজু বান্ধ পরেন, তাহলে লিভার এবং পাকস্থলি সংক্রান্ত নানাবিধ সমস্যা মিটে যেতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে হার্টের ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়। তবে এখানেই শেষ নয়, এই গয়নাটির প্রভাবে সারা শরীরে রক্তচালাচলের যেমন উন্নতি ঘটে, তেমনি মস্তিষ্কের ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়। আর যদি রুদ্রাক্ষ দিয়ে তৈরি বাজু বান্ধ পরতে পারেন, তাহলে তো কথাই নেই!
৫. নেকলেস:
সার্বিক সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে নেকলেসের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। কিন্তু জানা আছে কি এই গয়নাটি পরলে স্পাইনাল কর্ডের ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি মেন্টাল পাওয়ার বেড়ে য়েতেও সময় লাগে না ।
৬. আংটি:
বিশেষজ্ঞদের মতে বুড়ো আঙুলে আংটি পরলে স্পাইনাল কর্ডের ক্ষমতা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। সেই সঙ্গে ব্রেন, থাইরয়েড গ্ল্যান্ড এবং স্টমাক সম্পর্কিত নানাবিধ সমস্যার প্রকোপ কমতেও সময় লাগে না। আর যদি কড়ে আঙুল অথবা অনামিকায় আংটি পরেন, তাহলে একদিকে যেমন অ্যাংজাইটি এবং স্ট্রেসের মাত্রা কমে, তেমনি চাঁদ, বুধ এবং সূর্যের প্রভাবে কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কাও হ্রাস পায়।
৭. ব্রেসলেট:
এই ধরনের গয়না পরলে মেন্টাল পাওয়ার বৃদ্ধি পেতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে মেলে আরও অনেক ধরনের উপকার। যেমন ধরুন- সারা শরীরে রক্ত চলাচলের উন্নতি ঘটে, রাগের মাত্রা কমে, হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায় এবং যে কোনও ধরনের পেটের রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও কমে।
৮.নুপুর:
শুনতে অজাব লাগলেও এই গয়নাটি মেয়েদের শরীরের অন্দরে এমন কিছু পরিবর্তন করে যে তার প্রভাবে মা হওয়ার ক্ষেত্রে কোনও ধরনের সমস্যাই হয় না। সেই সঙ্গে লিভার এবং স্টমাক সম্পর্কিত কোনও ধরনের রোগ আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও কমে।
৯. পায়ের আঙুলে আংটি পরলে:
শরীরের এই অংশে আংটি পরলে হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটতে শুরু করে। সেই সঙ্গে গ্যাস-অম্বলের মতো সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার আশঙ্কাও কমে। শুধু তাই নয়, শারীরিক ক্ষমতার উন্নতি ঘটে এবং মনোযোগ ক্ষমতা বৃদ্ধি পেতেও সময় লাগে না।