Just In
(ছবি) সবরকম পরিস্থিতিতে মাথা ঠাণ্ডা রাখার নানান উপায়
সুস্থ জীবন পেতে গেলে শুধুমাত্র সুন্দর স্বাস্থ্যের অধিকারী হলেই হবে না। নিজের মনকেও সুস্থ রাখতে হবে। এবং সেটা হতে পারে একমাত্র যদি আপনার মাথা সবসময় ঝঞ্ঝাটহীন থাকে। [এই ১০টি জিনিসে আক্কেল গুড়ুম হয় প্রত্যেক ভারতীয়র]
চিন্তামুক্ত ও রাগমুক্ত ভাবনা শরীরকে সুস্থ রাখতে বিশেষভাবে সাহায্য করে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। নেতিবাচক ভাবনাকে দূরে সরিয়ে রাখাই বুদ্ধিমানের কাজ। আর যদি তা মাথায় এসে জমতে থাকে এবং অস্থির হয়ে ওঠেন আপনি, তাহলে ইতিবাচকতা দিয়ে তাকে দূরে সরিয়ে দিন। [কিছু জিনিস যা নিয়ে আফশোস করে সব ভারতীয়]
তবে তার আগে অবশ্যই মাথাগরমের কারণ সম্পর্কে আপনাকে জানতে হবে। কাজের জায়গায় মারাত্মক চাপ হতে পারে, অন্য কোনও কারণে ভয় বা উত্তেজনা হতে পারে, অথবা হতে পারে কোনও শারীরিক সমস্যা। এসবই মাথাগরমের অন্যতম কারণ। [জেনে নিন নিজের মস্তিষ্কের গোপন কথা]
নিচের স্লাইডে ক্লিক করে দেখে নিন, এখনকার ব্যস্ত সময়ে কীভাবে নিজের মাথা শান্ত রাখবেন। [ঘুমের মধ্যে অবচেতনে আপনি কি করেন জানেন? জেনে নিন]
ধ্যান
মন ও মস্তিষ্ককে শান্ত রাখার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শর্ত ধ্যান। যখন নেতিবাচক ভাবনা আপনার মনে ভিড় করতে থাকে, তা মানসিক দৃঢ়তাকে কমিয়ে দেয়। ধ্যান করলে ফের পুরনো অবস্থায় ফিরে আসা যায় বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
শ্বাস-প্রশ্বাসের অনুশীলন
শ্বাস-প্রশ্বাসের অনুশীলন করলে মাথা শীতল রাখতে বিশেষ বেগ পেতে হয় না। প্রচণ্ড রাগ ও ভয়ের মুহূর্তে মনকে ধরে রাখে এই ব্যায়াম। সব নেতিবাচক ভাবনা ও আবেগ এই অনুশীলনের ফলে দূর হয়ে যায়।
নিজের ভাবনাকে চেনা
নিজের ভাবনা-চিন্তাকে জানা ও তার উপরে নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারলে সহজেই যেকোনও পরিস্থিতিতে মাথা ঠান্ডা রাখা সম্ভব হয়।
ইতিবাচক ভাবনা দিয়ে মোকাবিলা
নেতিবাচক ভাবনা সবসময়ই মনের মধ্যে ভিড় করতে থাকে। সেগুলিকে দূরে সরিয়ে রাখতে হলে সবসময় ইতিবাচক ভাবনা ভাবতে হবে।
মনকে ব্যস্ত রাখতে হবে
মনকে শান্ত রাখতে হলে নানা ইতিবাচক কাজে মনকে ব্যস্ত রাখতে হবে। মন ব্যস্ত থাকলেই নেতিবাচক ভাবনা মনে ভিড় করতে পারবে না। কোনও ঘটনা মনকে কষ্ট দিলে সেটা থেকে বেরিয়ে আসুন।
মিউজিক থেরাপি
বিশেষজ্ঞরাই জানাচ্ছেন, গান বা মিউজিক শুনলে মন ভালো থাকে। মন অশান্ত থাকলে ঘর অন্ধকার করে প্রাণ ভরে গান শুনুন। দ্রুত ভালো লাগতে শুরু করবে আপনার।
অ্যারোমা থেরাপি
মন অশান্ত থাকলে অ্যারোমা থেরাপি নিলে তা অনেকটা ভালো হতে পারে।
পর্যাপ্ত ঘুম
অনেক সময়ে ক্লান্তি থেকে মন খারাপ হয়ে থাকে বা রাগ হয়। মনকে সুস্থ রাখতে তাই পর্যাপ্ত ঘুমের প্রয়োজন।
হাসিখুশি থাকুন
মনে রাখবেন, হাসিখুশি থাকার চেয়ে সুস্থ থাকার ভালো উপায় আর কিছু নেই।