Just In
- 10 hrs ago ঠাকুরকে নিত্যভোগ দেওয়ার সময় ঘণ্টা বাজে কেন? জানেন কি এর পিছনের রহস্য
- 11 hrs ago প্রখর রোদ থেকে স্বস্তি পেতে বাড়িতেই বানিয়ে নিন এই শরবতগুলি, ঠান্ডা রাখবে শরীরও
- 13 hrs ago গরমে এই পানীয়গুলি খেলে আপনিও থাকবেন হাইড্রেটেড ও সতেজ
- 16 hrs ago কাঠফাটা রোদ থেকে বাঁচতে কী করবেন? এড়িয়ে চলুন চা-কফি
গণেশ চতুর্থি: এই বিশেষ দিনে দেবের আশীর্বাদ পেতে রাশি অনুসারে কেমন ধরনের গণেশ মূর্তির পুজো করতে হবে?
আগামী ১৩ তারিখ, বৃহস্পতি বার গণেশ চতুর্থি। এদিন সারা দেশ জুড়ে বিশেষ পুজোর আয়োজন করা হবে, আর গণপতি বাপ্পা মরিয়ে ধ্বনিতে জাগ্রত হয়ে উঠবেন সর্বশক্তিমান।
আগামী ১৩ তারিখ, বৃহস্পতি বার গণেশ চতুর্থি। এদিন সারা দেশ জুড়ে বিশেষ পুজোর আয়োজন করা হবে, আর গণপতি বাপ্পা মরিয়ে ধ্বনিতে জাগ্রত হয়ে উঠবেন সর্বশক্তিমান। কিন্তু আপনার রাশি অনুসারে কী কী নিয়ম মেনে করতে হবে দেবের পুজো, সে সম্পর্কে জেনে না নিলে যে কোনও ফলই পাবেন না!
প্রসঙ্গত, এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে এই বিশেষ দিনে বাপ্পার পুজোর আয়োজন করলে দেব বেজায় প্রসন্ন হন। ফলে একাধির উপকার মেলার পথ প্রশস্ত হতে শুরু করে। যেমন ধরুন- জীবন পথে চলতে চলতে মাথা চাড়া দিয়ে ওঠা যে কোনও সমস্যা মিটে যায়। সেই সঙ্গে অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটতে সময় লাগে না, টাকা-পয়সা সংক্রান্ত নানাবিধ সমস্যা মিটতেও সময় লাগে না, কর্মক্ষেত্রে চটজলদি সফলতা লাভের পথ প্রশস্ত হয়, গৃহস্তে খারাপ শক্তির প্রভাব কেটে যায় এবং জ্ঞানের বিকাশ ঘটে তোখে পরার মতো। কিন্তু এই সব উপকার তখনই পাওয়া যায়, যখন ঠিক ঠিক নিয়ম মেনে বাপ্পার আরাধন করা হয়। তাই তো বলি বন্ধু, এই গণেশ চতুর্থিতে দেবকে প্রসন্ন করে যদি জীবনকে অনন্দে ভরিয়ে তুলতে চান, তাহলে এই লেখাটি একবার পড়ে ফেলতে ভুলবেন না যেন!
প্রসঙ্গত, রাশি অনুসারে কেমন ধরনের গণেশ মূর্তির পুজো করা উচিত, চলুন জেনে নেওয়া যাক সে সম্পর্কে...
১. মেষ এবং বৃশ্চিকরাশি:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে এই দুই রাশির জাতক-জাতিকারা যদি গণেশ চতুর্থির দিন কোরাল দিয়ে তৈরি গণেশ মূর্তির অরাধনা করেন, তাহলে নাকি বেশি মাত্রায় উপকার পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।
২. বৃষ এবং তুলারাশি:
গণেশ দেবের আশীর্বাদ পাওয়ার যদি ইচ্ছা থাকে, তাহলে এই বিশেষ দিনে কাঠের তৈরি গণেশ ঠাকুরের মূর্তি বাড়িতে স্থাপন করে বিশেষ পুজোর আয়োজন করতে ভুলবেন না যেন! আর এমনটা যদি করতে পারেন, তাহলে আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই যে সুফল মিলতে শুরু করবে, সে বিষয়ে কিন্তু কোনও সন্দেহ নেই!
৩. মিথুন এবং কন্যারাশি:
জ্যোতিষশাস্ত্র মতে এই রাশির জাতক-জাতিকারা নিজের পছন্দ মতো যে কোনও গণেশ মূর্তির পুজো করতে পারেন। শুধু শুভ সময়ের খেয়াল রাখতে হবে এবং গণেশ দেবের সামনে তাঁর প্রিয় প্রসাদ, মোদক রাখতে ভুলবেন না যেন! তাহলেই দেখবেন কেল্লা ফতে!
৪. কর্কট এবং সিংহরাশি:
আপনারাও কি আগামী ১৩ তারিখ গণেশ পুজো করবেন বলে ভাবছেন? তাহলে বন্ধু আপনারা পার্থিব উপাদান দিয়ে তৈরি গণেশ মূর্তির পুজো করুন। দেখবেন নানাবিধ উপকার পাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে। প্রসঙ্গত, পার্থিব উপাদান বলতে মাটি, বাঁশ, কাঠ অথবা যে কোনও প্রকৃতিক উপদানও হতে পারে।
৫. ধনু এবং মীনরাশি:
এমন বিশ্বাস রয়েছে যে এই রাশির জাতক-জাতিকারা যদি এই বিশেষ দিনে "হরিদ্রা" বা হলুদ রঙের গণেশ মূর্তির অরাধনা করেন, তাহলে নানাবিধ উপকার পাওয়ার সম্ভাবনা যায় বেড়ে। সেই সঙ্গে গৃহস্তের প্রতিটি কোণায় পজেটিভ শক্তির মাত্রা এতটাই বেড়ে যায় যে কোনও খারাপ ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থাকে না বললেই চলে!
৬. মকর এবং কুম্ভরাশি:
যে কোনও ধাতু দিয়ে তৈরি গণেশ মূর্তির পুজো করতে হবে আপনাদের। আর যদি অষ্ট ধাতু দিয়ে বানানো বাপ্পার মূর্তি বাড়িতে স্থাপন করে পুজো করতে পারেন, তাহলে তো কথাই নেই! কারণ সেক্ষেত্রে নানাবিধ উপকার পাওয়ার সম্ভাবনা তো বাড়েই, সেই সঙ্গে বাপ্পার আশীর্বাদ থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কাও যায় কমে!
গণেশ চতুর্থির শুভ মুহূর্ত:
এই বিশেষ পুজোর শুভ সময়কে সাধারণত তিন ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে। সেগুল হল যথাক্রমে লাভ মুহূর্ত, অমৃত মুহূর্ত এবং শুভ মুহূর্ত। প্রসঙ্গত, বাড়িতে গণেশ ঠাকুরের মূর্তি আনতে হয় লাভ মুহূর্তে, নয়তো অমূর্ত মুহুর্তে। আর দেবের অরাধনা করতে হয় শুভ মুহূর্তে। এবার যেমন ধরুন লাভ মুহূর্ত শুরু হচ্ছে ১৩ তারিখ ১২:৩৫ মিনিটে, আর শেষ হচ্ছে ১৪:০৭ মিনিটে। আর শুভ মুহূর্ত ১৭:১০ মিনিটে শুরু হয়ে শেষ হচ্ছে ১৮:৪২ মিনিটে। তবে এক্ষেত্রে একটি বিষয় মাথায় রাখা একান্ত প্রয়োজন। তা হল অনেকে বিশ্বাস করেন যে গণেশ চতুর্থির দিন দুপুর ১২:৪২ মিনিটে গণেশ ঠাকুর জন্ম নিয়েছিলেন। তাই এই সময় দেবের অরাধনা করলে নাকি বেশি উপকার পাওয়া যায়। তাই আপনার কোন সময় পুজো করা উচিত, সে সম্পর্কে কোনও বিশেষজ্ঞের সঙ্গে একটু আলোচনা করে নিতে ভুলবেন না যেন!
গণেশ মন্ত্র:
"বক্রতুন্ডা মহাকায়া সূর্য কোটি সমপ্রভা। নির্ভিগ্নাম কুরুমে দেভা সর্ব কার্য সমপ্রভাব", এই মন্ত্রটি পাঠ করতে করতে দেবের অরাধনা করা উচিত। কারণ শাস্ত্র মতে গণেশ চতুর্থির দিন ১০৮ বার যদি এই বিশেষ মন্ত্রটি পাঠ করা যায়, তাহলে নাকি গৃহস্থে দেবের আগমণ ঘটে। আর এমনটা যখন হয়, তখন জীবনের ছবিটা বদলে যেতে যে সময় লাগে না, তা তো বলাই বাহুল্য!
আট মুখি রুদ্রাক্ষ:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে গণেশ চতুর্থির দিন দেবের পায়ে ছুঁইয়ে যদি আট মুখি রুদ্রাক্ষের মালা পরা যায়, তাহলে গণেশ দেব তো প্রসন্ন হনই, সেই সঙ্গে কেতুর কুপ্রভাবও কাটতে শুরু করে। ফলে অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটতে যেমন সময় লাগেই না, তেমনি পরিবারে সুখ-সমৃদ্ধি ছোঁয়া লাগে এবং মানসিক অশান্তিও দূর হয়। ফলে জীবন আনন্দে ভরে ওঠে চোখের পলকে।