Just In
- 7 hrs ago রোদে বের হলেই মাথা যন্ত্রণা কাবু করে? মাইগ্রেন নয় তো!
- 8 hrs ago শুধু ফ্যাশন নয়, প্রখর রোদ থেকে বাঁচতে পরুন সানগ্লাস!
- 10 hrs ago অসহ্য গরমে সর্দি-কাশিতে ভুগছেন? এই ঘরোয়া প্রতিকারগুলি ট্রাই করুন
- 13 hrs ago কর্মক্ষেত্রে সমস্যা মকরের, ব্যাবসায় আর্থিক লাভ মীনের, কেমন যাবে আজকের দিন? দেখুন রাশিফল
সাবধান: বাড়ির ভিতরে খারাপ শক্তি জায়গা করে নেয়নি তো?
বিশ্বাস করুন বা না করুন, একথার মধ্যে কোনও ভুল নেই যে আমাদের চারপাশে পজেটিভ শক্তি যেমন রয়েছে, রয়েছে খারাপ বা নেগেটিভ শক্তিও। আর একবার বাড়ির অন্দরে খারাপ শক্তির প্রভাব বাড়তে শুরু করলে কিন্তু...
বিশ্বাস করুন বা না করুন, একথার মধ্যে কোনও ভুল নেই যে আমাদের চারপাশে পজেটিভ শক্তি যেমন রয়েছে, রয়েছে খারাপ বা নেগেটিভ শক্তিও। আর একবার বাড়ির অন্দরে খারাপ শক্তির প্রভাব বাড়তে শুরু করলে কিন্তু বেজায় বিপদ! কারণ সেক্ষেত্রে জীবন দুর্বিসহ হয়ে উঠতে সময় লাগে না। এই কারণেই তো এই প্রবন্ধে এমন কিছু নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করা হল, যা মেনে চললে গৃহস্থের অন্দরে খারাপ শক্তির প্রকোপ বাড়ার সম্ভাবনা কমবে। সেই সঙ্গে কমবে কোনও খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কাও।
শাস্ত্র মতে বাড়িতে খারাপ শক্তির প্রভাব বাড়তে থাকলে কারণে-অকারণে মন খারাপ হতে শুরু করে। সেই সঙ্গে দোসর হয় খারাপ স্বপ্ন এবং খারাপ চিন্তা। ফলে সকাল হোক কী বিকাল, মন যেন চাঙ্গা হতেই চায় না। আর এমন ভাঙাচোড়া মন নিয়ে না অফিসে মন টেকে, না বাড়িতে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই জীবন দুর্বিসহ উঠতে সময় লাগে না। এই কারণেই তো এই প্রবন্ধটি পড়া জরুরি।
তাহলে আর অপেক্ষা কেন বন্ধুরা, আপনার লেজুড় হওয়া নেগেটিভ এনার্জিকে কীভাবে ক্ষতম করা যায়, সে সম্পর্কে জেনে নিন মাত্র পাঁচ মিনিট খরচ করে। কী করতে হবে এই পাঁচ মিনিটে? কিছুই না লেখাটি পড়ে ফেলতে হবে। তাহলেই কেল্লাফতে! প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে যে যে বিষয়গুলি মাথায় রাখা জরুরি, সেগুলি হল...
১. ঘর-দোর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে:
নিয়মিত বাড়ির প্রতিটি কোনা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করলে দেখবেন নেগেটিভ এনার্জি ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারবে না। কারণ অফিস থেকে ক্লান্ত মনে ফেরার পর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ঘর যখন আপনার অপেক্ষায় থাকে, তখন মন নিমেষে আনন্দে ভরে ওঠে। আর হাসি মুখ এবং খুশি মনের অবস্থান যেখানে, সেখানে নেগেটিভ এনার্জি নিজের খেল দেখাতে পারে না। ফলে কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা যায় কমে। প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে, তা হল ঘর-দোর পরিষ্কার করার পাশাপাশি জানলা-দরজা ঝাড়াপোছা করতেও ভুলবেন না যেন!
২. নিয়মিত ধুনো দিতে হবে:
একাধিক প্রাচীন গ্রন্থে একথার উল্লেখ পাওয়া যায় যে নিয়মিত সন্ধা পুজোর পর যদি সারা বাড়িতে ধুনো দেওয়া যায়, তাহলে নেগেটিভ এনার্জির প্রকোপ বৃদ্ধির আশঙ্কা যায় কমে। ফলে না কমে হাসির মাত্রা, না খালি হয় খুশির ঝাঁপি। সেই সঙ্গে পজেটিভ শক্তির মাত্রাও বাড়ে। আর গৃহস্থের অন্দরে যখন পজেটিভ এনার্জির শক্তি বাড়ে, তখন খারাপ কিছু ঘটার আশঙ্কা যায় কমে। প্রসঙ্গত, ধুনো দেওয়ার আগে ভাল করে ঘর পরিষ্কার করে নিতে হবে। তারপর পুজো দিয়ে দিতে হবে ধুনো। এমনটা নিয়মিত করলেই দেখবেন ফল মিলতে শুরু করেছে।
৩. জানলা-দরজা খুলে রাখতে ভুলবেন না যেন!
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে সারা দিন ধরে বাড়ির অন্দরে আলো-বাতাস খেলতে থাকলে নেগেটিভ এনার্জি জায়গা করে নেওয়ার আশঙ্কা যায় কমে। আর নেগেটিভ এনার্জির মাত্রা যখন কমে, তখন তার জায়গা নেয় পজেটিভ শক্তি। ফলে জীবনে চলার পথে নানাবিধ বাঁধার সম্মুখিন হওয়ার আশঙ্কা যায় কমে। প্রসঙ্গত, ঘরের অন্দরে সূর্যালোক প্রবেশ করলে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াও মারা পরে। ফলে নানাবিধ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও যায় কমে।
৪. সন্ধক লবন:
গৃহস্থে জায়গা করে নেওয়া নেগেটিভ এনার্জিকে হাটাতে এই প্রকৃতিক উপাদানটির কোনও বিকল্প নেই বললেই চলে। তাই তো প্রতিটি বাড়িতে অল্প পরিমাণে সন্ধক লবন রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে এক কাপ গরম জলে এক চামচ লবন ফেলে ভাল করে নাড়াতে থাকুন। যখন দেখবেন নুনটা একেবারে জলে গুলে গেছে, তখন মিশ্রনটি একটা স্প্রে বোতলে নিয়ে বাড়িরে প্রতিটি কোণায় স্প্রে করতে খাকুন। সেই সঙ্গে অল্প পরিমাণ সন্ধক লবন নিয়ে রাত্রে বাড়ির প্রতিটি কোনায় ছড়িয়ে দিন। সাকলে উঠে পরিষ্কার করে নিন। এমনটা নিয়মিত করলেই দেখবেন খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কা যাবে কমে। কারণ সন্ধক লবন নেগেটিভ এনার্জিকে বাড়ির বাইরে বার করে দেয়। ফলে জীবন সুন্দর হয়ে উঠতে সময় লাগে না।
৫. হাততালির যাদু:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে বাড়ির চারিদিকে ঘুরতে ঘুরতে হাততালি দিতে থাকলে সেই শব্দে খারাপ শক্তি বাড়ির বাইরে বেরিয়ে যেতে শুরু করে। আর খারাপ শক্তি যখন গৃহস্থের বাইরে জায়গা নেয়, তখন খারাপ কিছু ঘটার আশঙ্কা যায় কমে। প্রসঙ্গত, হাততালি দেওয়ার পাশাপাশি সন্ধাবেলা, অফিস থেকে ফিরে যদি ঘন্টা বাজাতে পারেন, তাহলেও দারুন উপকার মেলে। একই ঘটনা ঘটে যখন বাড়িতে উইন্ডচেমস লাগানো হয় তখনও।
৬. গাছের মহিমা:
নেগেটিভ এনার্জিকে বাইরে বের করতে বিশেষ কিছু গাছের ভূমিকাকে কোনও ভাবেই অস্বীকার করা সম্ভব নয়। যেমন ধরুন বাড়িতে বাঁশ গাছ, মানি প্লান্ট, তুলসি গাছ, অ্যালো ভেরা এবং অর্কিড গাছ রাখলে নেগেটিভ এনার্জি ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না। শুধু তাই নয়, কর্মক্ষেত্রে উন্নতি লাভের সম্ভাবনা যেমন বাড়ে, তেমনি অর্থনৈতিক উন্নতিও ঘটে চোখে পরার মতো!