Just In
- 4 hrs ago এপ্রিল মাসে ৪ গ্রহের স্থান পরিবর্তন, রাজযোগ ও সৌভাগ্যে ফুলে ফেঁপে উঠবে এই রাশির জাতকরা, দেখুন
- 5 hrs ago আপনার কি ক্রমাগত কান চুলকাচ্ছেন? অজান্তেই ডেকে আনচ্ছেন বড় বিপদ
- 8 hrs ago মসুর ডাল খেতে ভালোবাসেন? কিন্তু অতিরিক্ত খেলে হতে পারে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া!
- 10 hrs ago অনলাইন গেমে বাচ্চারা ঘরকুঁনো! জানেন কি স্বাস্থ্যের জন্য় কতটা উপকারি আউটডোর গেম?
বিচারমূলক মানসিকতা থেকে দূরে থাকবেন কীভাবে?
একটা বইয়ের মলাট দেখে সে বইটা কেমন, তা বিচার করা ঠিক না। এই কথাটা জানেনা এমন লোক মনে হয় খুব কম আছে। এই সহজ কথা আমরা ভুলে গিয়ে সমালোচনা করে বসি। ভুল মন্তব্যে ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃত ভাবে অন্যকে আহত করি
একটা বইয়ের মলাট দেখে সে বইটা কেমন, তা বিচার করা ঠিক না। এই কথাটা জানেনা এমন লোক মনে হয় খুব কম আছে। ছোটবেলায় পড়ার বইতে, বা বড়ো হয়ে লোক মুখে বারবার নানা প্রসঙ্গে এই কথা উঠে এসেছে। সবার সামনে সম্মতিসূচক ইঙ্গিত করলেও অনেক সময় এই কথা আমরা আমাদের ব্যক্তিগত জীবনে প্রয়োগ করতে ভুলে যাই। আমি যে অবস্থা থেকে উঠে দাঁড়িয়েছি, আমার সামনের লোকটা সেই অবস্থা থেকে নাও আসতে পারে। তার জীবনে প্রতিকূলতা আমার থেকেও বেশি হতে পারে। এই সহজ কথা আমরা ভুলে গিয়ে সমালোচনা করে বসি। ভুল মন্তব্যে ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃত ভাবে অন্যকে আহত করি। একটু যদি পারিপার্শ্বিক দিকগুলো বিচার করে আমরা সবাইকে দেখি, তাহলে আমার নিজের ব্যবহার অন্যের খারাপ লাগার কারণ নাও হতে পারে। কিন্তু ঠিক কিভাবে এই চিন্তাভাবনাগুলোকে নিয়ন্ত্রণে রাখবো? আসুন আজকের প্রতিবেদনে জেনে নি সেই দিকগুলো।
১. পরিস্থিতি জানুন
অনেক সময়েই আমরা পারিপার্শ্বিক দিক না জেনেশুনে মন্তব্য করে দি। কিন্তু একই অবস্থায় পড়লে আমরা কোন কাজ করতাম তা নিয়ে আদৌ ভাবি না। কোন পরিস্থিতির শিকার হয়ে কেউ কোনো অপ্রীতিকর কাজ করতে বাধ্য হচ্ছে তা জেনে তবেই সেই কাজের কাঁটা ছেড়া করা উচিত। অনেক সময় এই শিক্ষা বাড়ির বড়দের থেকেই পাওয়া যায়। যদি একটু চোখ খোলা রেখে আমরা লক্ষ্য করি যে তারা কিভাবে তাদের দৈনন্দিন জীবন সামলে চলছে।
২. অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া জরুরি
অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত। আমি কি ভাবছি বা আমি কি চিন্তা করছি, সেটা যে সবসময় ধ্রুব সত্যি, তা নাও হতে পারে। একটা ঘটনার সাথে অনেক অন্যান্য ঘটনা জড়িয়ে থাকে। আমরা শুধুমাত্র চোখের সামনে যা দেখি, সেটুকুই সব ভেবে নিয়ে মন্তব্য করতে থাকি। বাকি ঘটনা না জেনে আগেই বিচার না করে যদি একটু চেষ্টা করা যায় যে আসল সত্যি টা কি, তাহলে নিজের দিক থেকে অনেকটাই ঠিক থাকা যায়।
৩. নিজের ভালো দিক বের করে আনুন
আজকের দিনে লোকে শোনে কম, আর বলতে চায় বেশি। এটা কম বেশি সবার জন্যে একই। খুব কম লোক আছে যারা ভালো শ্রোতা। বেশিরভাগ ভালো বক্তা। কিন্তু কোনো মানুষের কোনো সমস্যা জানতে হলে আগে শোনা দরকার তার নিজের সমস্যা গুলো কী। তবেই তার সমস্যা জানতে পারলে আমার নিজের ভিতরের দয়া, মায়া, মমত্ববোধ বেরিয়ে আসবে যা আপনার সামনের মানুষটাকে অসময়ে কিছুটা সাহায্য করবে। রাগ, ক্ষোভের উর্ধে এগুলো দিয়েও যে কারুর সমস্যাকে বোঝা সম্ভব তার জন্যে ভালো শ্রোতা আর ধৈর্যশীল হওয়া আবশ্যক।
৪. অন্যকেও নিজের সমান স্বাধীনতা দিন
একই পরিবেশে বা একই পরিস্থিতিতে আমরা অনেক সময় শুধু নিজেদের কথা বাবি। বা নিজেদের আপনজনের কথা ভাবি। সে কতটা সুবিধা পেতে পারবে সেই চিন্তায় নিমগ্ন থাকি। কিন্তু একই সুবিধা অন্য কেউ নিতে গেলে তখন আমরা পরশ্রীকাতর হই বা ঈর্ষান্বিত। এটা হওয়া উচিত না। অন্যকে একই পরিস্থিতিতে ততোটাই স্বাধীনতা বা সাহায্য দেওয়া উচিত যতটা আমরা নিজেরা নিজেদের জন্যে চাইছি।
৫. সব মানুষ সমান না
সৃষ্টিকর্তা অনেক ভেবে মানুষের জন্ম দিয়েছে। সবাইকে যদি একই ছাঁচে বানাতো, তাহলে আলাদা পরিচয়ের দরকার হতো না। আপনি যে জিনিসটা ভালো চোখে নিচ্ছেন, অন্য কেউ সেটা ভালো চোখে নাও নিতে পারে। তাই সব সময় নিজের চিন্তাধারাকে ঠিক না ভেবে উদার মনের হওয়ার দরকার আছে। আমাদের মনে রাখতে হবে যে সবার পছন্দ অপছন্দ একই হয় না। ব্যক্তি বিশেষে মতপার্থক্য থাকবেই। তার মানেই যে নিজে ঠিক আর বাকি সবাই ভুল, এই ধারণা অযৌক্তিক, অমূলক এবং ভ্রান্ত।
৬. আশা করা নিয়ন্ত্রণে রাখুন
উপরেই আলোচনা করলাম যে সবাই একই স্বভাবের হয় না। তাই নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী কারুর কাছ থেকে একই জিনিস আসা করাটা ভুল। কারণ যদি সেই ব্যক্তি একই মত পোষণ না করেন, তাহলে নিজের খারাপ লাগা থেকে তার চরিত্র বা চিন্তাভাবনার কাঁটা ছেড়া করা তখনই শুরু হতে যাবে আমাদের অবচেতন মনে। তাই নিজের আশা কে নিয়ন্ত্রণে রাখুন এবং ফলাফলের চিন্তা না করে নিজের ঠিক কাজে এগিয়ে যেতে থাকুন।