Just In
- 17 hrs ago এপ্রিল মাসে ৪ গ্রহের স্থান পরিবর্তন, রাজযোগ ও সৌভাগ্যে ফুলে ফেঁপে উঠবে এই রাশির জাতকরা, দেখুন
- 18 hrs ago আপনার কি ক্রমাগত কান চুলকাচ্ছেন? অজান্তেই ডেকে আনচ্ছেন বড় বিপদ
- 22 hrs ago মসুর ডাল খেতে ভালোবাসেন? কিন্তু অতিরিক্ত খেলে হতে পারে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া!
- 23 hrs ago অনলাইন গেমে বাচ্চারা ঘরকুঁনো! জানেন কি স্বাস্থ্যের জন্য় কতটা উপকারি আউটডোর গেম?
টাকা পয়সার খরচার ব্যাপারে মহিলা ও পুরুষের পার্থক্য কি কি?
অনেক সময় বুঝে উঠতে অসুবিধে হয়, যে একই প্রজাতির দুই ভিন্ন লিঙ্গের ব্যবহারের পার্থক্যগুলো। মনুষ্য জাতির, মহিলা ও পুরুষের মিল, কোনদিনই হয়ে ওঠে না। এটা তাদের আভ্যন্তরীণ গঠনের পার্থক্য, যার ফলে এত মনোকষ্টের সৃষ্টিও হয়ে থাকে। এমনকি মহিলা ও পুরুষের মধ্যে পয়সা খরচা করার পদ্ধতিও একদম আলাদা। এই পার্থক্যের তালিকায়, মেয়েরা যে কী করে পয়সা খরচা করে এটা এখনও ছেলেদের কাছে এক বিস্ময়কর রহস্য।
মেয়েদের মতে আবার, ছেলেরা নাকি খুব বেপরোয়া, বেহিসেবি ভাবে পয়সা খরচা করে। স্বাভাবিক ভাবে, তারা কী কিনবে আর কিসে কিসে বিনিয়োগ করবে, এ ব্যাপারে একমত হতে পারেনা। মহিলারা যখন জামা কাপড়, গয়নাগাটিতে পয়সা খরচা করে, ছেলেরা মনে করে পুরোটাই নষ্ট। সেরকমই, ছেলেরা আবার যখন বিভিন্ন গ্যাজেট বা গাড়িতের পয়সা নষ্ট করে, মেয়েদের কাছে সেটা চুড়ান্ত অপচয়।
দোকান বাজার করা ছেলেদের কাছে যেমন বিরক্তিকর, মেয়েরা এতে প্রচণ্ড আনন্দ পায়। অনলাইন কেনাকাটায় মেয়েরা ছেলেদের থেকে অনেক বেশি সহনশীলতা দেখায়। ছেলেদের কাছে পৃথিবী ভ্রমণ অনেক বেশি আকর্ষণীয়, একটা ব্যয়বহুল বাড়ি কেনার থেকে। এখানে দেখুন এরকমই কিছু পার্থক্যর নমুনা দেওয়া হল, কিভাবে মহিলা ও পুরুষ ভিন্ন টাকা পয়সা খরচার ব্যাপারে।
পোশাক : মহিলা
আলমারি উপচে পড়া না অবধি জামা কাপড় কিনে ভর্তি করা – এই দোষে মহিলারা পুরুষদের থেকে বেশি দোষী নিঃসন্দেহে। মেয়েদের একগাদা জামা কাপড় লাগে। একটা পুরুষের স্বাভাবিক প্রবণতা, অল্প কিছু জামা কাপড় কিনব, দামী দেখে, কিন্তু এক গাদা নয়।
গ্যাজেট / যণ্ত্রপাতি : পুরুষ
ছেলেরা জামা কাপড়ে পয়সা না উড়িয়ে, বান্ধবীদের বঞ্চিত করে যা জমায়, সব উড়িয়ে দেয় গ্যাজেটের ওপর। সেটা বাজারে আসা সর্বশেষ মোবাইল ফোন হোক বা গেমিং স্টেশন, গ্যাজেটের আকর্ষণ থেকে ছেলেরা নিজেদের সরাতে পারে না।
গয়না : মহিলা
আপনি খুব কমই দেখবেন ছেলেদের গয়নার দোকানে ধুকতে। যেতে যদি হয়ই, সেটা তাহলে হয় বউ-এর চাপে পড়ে বা এনগেজমেন্টের আংটির খোঁজে। মেয়েরা অনেক বুদ্ধি করে গয়না কেনে, পয়সা বিনিয়োগের চিন্তায়। মেয়েদের কাছে গয়না হল, বিপদের দিনের সহায় বলে।
মদ
:
পুরুষ
রোজগার
দোকান
বাজার
করার
থেকে,
ছেলেরা
বেশি
খরচা
করে
মদের
ওপর।
আর
করবে
নাই
বা
কেন,
মেয়েদের
তো
পান
করতে
হলে
কেউ
না
কেউ
জুটে
যায়
কিনে
দেওয়ার
জন্য,
ছেলেদের
তো
নিজেদেরটা
ছাড়াও
বান্ধবীদেরটাও
কিনে
দিতে
হয়।
স্যালন
/
রুপচর্চা
মেয়েদের
সম্বন্ধে
ধারণা
সৃষ্টি
হয়,
তাদের
রুপ
ও
সাজগোজ
দেখে।
মেয়েরা
হাজার
হাজার
টাকা
খরচা
করে
রুপচর্চা,
দামী
ফেসিয়াল
ও
সর্বশেষ
চুল
কাটার
ধরণ।ছেলেদের
কাছে
রাস্তার
পাশে
কোথাও
চুল
কাটলেও
চলে।
তাদের
কোনও
রুপচর্চার
পরোয়া
করে
না।
খাবার
:
পুরুষ
মেয়েদের
মধ্যে
শৌখিন,
ভাল
খাবারে
খরচা
করার
ইচ্ছে
ছেলেদের
থেকে
কম
বলেই
দেখা
যায়।
হয়ত
তার
অন্যতম
কারণ,
তাদের
সাথে
সব
সময়ই
কোনও
ছেলে
থাকে
পয়সা
দিয়ে
দেওয়ার
জন্য।
মেয়েদের
পয়সাটা
বেঁচে
যায়,
অন্য
কোনও
ভাল
কাজের
জন্য।
ঘর
সাজানো
:
মহিলা
নিজের
জন্য
যেমন
সবচেয়ে
বেশি
খরচা
করে,
মেয়েরা
নিজেদের
বাড়িটাকেও
ঠিক
সেরকম
ফিটফাট
রাখতে
চায়।
শৌখিন
কুশান
কভার
বা
মোটা
গদিয়ালা
সোফা,
এসবে
খরচা
করে
মেয়েদের
অনেক
আনন্দ।
ছেলেরা
তাতে
এলিয়ে
শুয়েই
খুশি!
গাড়ি/বাইক ইত্যাদি : পুরুষ
গাড়ি কিনতে গেলে মেয়েরা অনেক বেশি বিচার বিবেচনা করে। যেমন ধরুন, কোনও মহিলা, যিনি ব্যাঙ্কে চাকরি করেন, তিনি কখনই স্পোর্টস্ কার কিনবেন না। উল্টো দিকে, ছেলেরা অনেক বেশি আবেগে চলে গাড়ি, বাইকের ব্যাপারে। তাই আপনি দেখবেন হয়ত সাধারণ একটা চাকরি করা ছেলে, তার কাছে একটা দামি স্পোর্টস কার।
বাড়ি : মহিলা
মহিলাদের মধ্যে একটা বিশাল লোন নিয়ে একটা এলাহি মাপের বাড়িতে থাকার শখ অনেক বেশি দেখা যায়। তারা এটাকে একটা ভাল বিনিয়োগ বলে মনে করে থাকে। এছাড়া, মহিলারা চায়, তাদের বাসস্থান তাদের নিজেদের চরিত্র ও জীবনযাত্রার প্রতিফলন হোক।
ভ্রমণ : পুরুষ
ছেলেরা একটা পোশাকি পেন্ট হাউসের থেকে অনেক বেশি পছন্দ করে, সারা পৃথিবী ভ্রমণ করতে। ছেলেরা অভিঞ্জতা, রোমাঞ্চ ও তাৎক্ষণিক আনন্দ বা তৃপ্তি খোঁজে, দীর্ঘ মেয়াদি বিনিয়োগে ধৈর্য্য কম।