Just In
ইংলিশ চ্যানেলজয়ী বাঙালি আরতি সাহার জন্মবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানাল গুগল ডুডল
জীবনে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার জন্য আমরা প্রত্যেকেই বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে থাকি। কেউ অভিনেতা হতে চান তো কেউ সঙ্গীত শিল্পী। আবার কেউ কেউ সাংবাদিক, ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়রিংয়ের পেশাও বেছে নেন। কিন্তু এই সবের মাঝেও অনেকেই নিজেকে ক্রীড়া জগতের দিকে অগ্রসর করেন। তেমনই এক উজ্জ্বল উদাহণরণ হলেন, আরতি সাহা। ক্রিকেট, ফুটবল, হকি কিংবা টেনিস নয়, ইনি নিজেকে সাঁতারু হিসেবে প্রতিষ্টিত করেছেন বিশ্বের দরবারে। সেই প্রথম মহিলা পদ্মশ্রী প্রাপ্ত বাঙালি সাঁতারু আরতি সাহার ৮০তম জন্মবার্ষিকীতে ডুডলের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানাল গুগল। ভারতীয় ক্রীড়া জগতের অনেকেই তাঁকে জলের প্রজাপতি বলে আখ্যা দেন। সাঁতারের প্রতি তাঁর প্যাশন এবং ভালবাসাই তাঁকে পৃথিবী বিখ্যাত সাঁতারু হতে সাহায্য করেছিল।
১৯৪০ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন আরতি সাহা। খুব ছোট থেকেই শুরু তাঁর সাঁতার শেখা। সাঁতারের প্রতি তাঁর আগ্রহ দেখে বাবা পাঁচুগোপাল সাহা শোভাবাজারের হাটখোলা সুইমিং ক্লাবে তাঁকে ভর্তি করে দেন। তখন তাঁর বয়স মাত্র চার। ভারতের অন্যতম সেরা সাঁতারু শচীন নাগের ছাত্রী ছিলেন তিনি। মাত্র পাঁচ বছর বয়সে শৈলেন্দ্র মেমোরিয়াল সাঁতার প্রতিযোগিতায় ১১০ মিটার ফ্রি-স্টাইলে প্রথম সোনা জেতেন। তারপর আর পিছনে ফিরে তাকাননি কখনও। তাঁর প্রতিভার খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে থাকে দেশের ক্রীড়মহলে।
১৯৫২ সালে ফিনল্যান্ডের হেলসিঙ্কি অলিম্পিকে তিনি সাঁতারু ডলি নাজিরের সঙ্গে ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। মাত্র ১২ বছর বয়সে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় চমকে দিয়েছিলেন সকলকে।
এরপর ১৯৫৯ সালে প্রথমবার ইংলিশ চ্যানেল পার করার চেষ্টা করেন আরতি। তখন তাঁর বয়স মাত্র ১৮। কিন্তু প্রথমবার লক্ষ্য পূরণে সফল না হতে পারলেও ভেঙে পড়েননি তিনি। পুনরায় উঠে দাঁড়ান। শুরু হয় কঠিন অনুশীলন। ঠিক তার পরের বছর ইংলিশ চ্যানেল জয় করলেন আরতি সাহা। এশিয়ার প্রথম মহিলা সাঁতারু হিসেবে, সেটাই ছিল ইংলিশ চ্যানেল জয়ের মাইলফলক। মাত্র ১৬ ঘণ্টা ২০ মিনিটে ৬৭.৫ কিলোমিটার পার করেন তিনি।
আরও পড়ুন : মেজর ধ্যানচাঁদ সিং : জেনে নিন তাঁর সম্পর্কে কিছু তথ্য
১৯৬০ সালে প্রথম মহিলা ক্রীড়াবিদ হিসেবে পদ্মশ্রী সম্মানে সম্মানিত হন আরতি সাহা। ১৯৯৪ সালে মাত্র ৫৪ বছর বয়সে মৃত্যু হয় তাঁর।