Just In
এই লক্ষণগুলি দেখে বোঝা সম্ভব গুড লাক আপনার সঙ্গে রয়েছে কিনা?
এই লক্ষণগুলি দেখা সহজেই বুঝে ওঠা সম্ভব ভাগ্য় পিরকতে চলেছে কারও। তাই তো বলি বন্ধু লাক বা ভাগ্য়ে যদি বিশ্বাস থাকে, তাহলে একবার এই লেখাটায় নজর রাখতেই পারেন!
বিশ্বাসের সঙ্গে অন্ধবিশ্বাসের লড়াইটা আজকের নয়। কারণ আলো থাকলে যেমন অন্ধকার থাকবে, তেমনি অন্ধকার থাকলে, থাকবে অন্ধবিশ্বাসও। তবে কারও কারও কাছে যা অন্ধবিশ্বাস, তা অনেকের কাছেই বিশ্বাস। তাই লেখক হিসেবে আমার কাজটা হল কিছু ঘটনাকে তুলে ধরা, বাকিটা পাঠকদের কাজ। তারা বিশ্বাস করলে করবেন, না করলে করবেন না!
হঠাৎ করে এত কথা বলছি কেন জানেন? কারণ সম্প্রতি বেশ কিছু বইয়ের সন্ধান পেয়েছি। বেশ পুরোনো সেই বইগুলি। বহু বহু বছর আগে লেখা সেই সব পুঁথিতে এমনটা দাবি করা হয়েছে যে গুড লাক আমাদের সঙ্গে নিয়েছে কিনা, তা জানে ওঠা বেজায় সহজ কাজ। কারণ খারাপ সময় কেটে যেতে শুরু করলে বেশ কিছু লক্ষণ প্রকাশ পেতে শুরু করে, যে সম্পর্কে এই লেখায় আলোকপাত করার চেষ্টা করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, এই লক্ষণগুলি দেখা সহজেই বুঝে ওঠা সম্ভব ভাগ্য় পিরকতে চলেছে কারও। তাই তো বলি বন্ধু লাক বা ভাগ্য়ে যদি বিশ্বাস থাকে, তাহলে একবার এই লেখাটায় নজর রাখতেই পারেন!
প্রসঙ্গত, যে যে ঘটনাগুলি দেখা বোঝা সম্ভব গুড লাক কারও সঙ্গ নিয়েছে কিনা, তার কিছু কিছু শুনতে বেশ আজব লাগবে বৈকি! কিন্তু সেই সব ধরণার আদৌ কোনও বাস্তবভিত্তি রয়েছে কিনা, তা বিবেচনা করে দেখাটা আপনাদের কাজ। তাহলে আর অপেক্ষা কেন, চলুন খোঁজ লাগানো যাক সেই সব ঘটনাগুলি সম্পর্কে, যার সঙ্গে গুড লাকের যোগ বেজায় নিবিড়...
১. ঘুরতে যাওয়ার সময় এমনটা দেখলে:
প্রাচীন কালে লেখা বেশ কিছু বইয়ে এমনটা দাবি করা হয়েছে যে কোথাও ঘুরতে যাওয়ার সময় যদি এমন কোনও বিবাহিত মহিলাকে দেখেন, যিনি হাতে ফুল নিয়ে রয়েছেন, তাহলে জানবেন আপনার ট্রিপ দারুন সাকসেসফুল হতে চলেছে। তবে আবারও বলছি এই ধারণার কোনও বাস্তবভিত্তি রয়েছে কিনা জানা নেই। আর সে সম্পর্কে জানার একটাই উপায় রয়েছে, তা হল কোথায় ঘুরতে যাওয়ার সময় যদি হাতে ফুল নিয়ে কোনও বিবাহিত মহিলাকে দেখেন আর আপনার ট্রিপটা ফাটাফাটি যায়, তাহলে মনে কোনও আর সন্দেহ থাকবে না যে এই ধরণা বাস্তবিকই নির্ভুল।
২. হাতি এবং লাক:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে কোনও গুরুত্বপূর্ণ কাজে যাওয়া সময় যদি হঠাৎ করে একটা হাতিকে দেখতে পান, তাহলে জানবেন, যে কাজে যাচ্ছেন, সেই কাজে সফলতা আসবেই আসবে। আর যদি প্রশ্ন করেন কাজে-কর্মে সফলতা লাভের সঙ্গে হাতি দেখার কী সম্পর্ক? সেই উত্তরও খুঁজে পাওয়া যায় সেই সব বইয়েই। সেখানে দাবি করা হয়েছে যে হিন্দু ধর্মে হাতি মানে ভগবান গণেশ। আর শাস্ত্রে এমনটা দাবি করা হয়েছে যে ভগবান গণেশ ঠাকুরের আশীর্বাদ যখন কারও উপর থাকে, তখন জীবন পথে সামনে আসতে থাকা নানা বাঁধা সরে যেতে একেবারেই সময় লাগে না।
৩. বাড়ির কাছে কোনও গরু এসেছে নাকি?
যদি কখনও দেখেন আপনার বাড়ির সামনে বহুক্ষণ ধরে কোনও গরু দাড়িয়ে আছে, তাহলে বুঝবেন কোনও অতিথি আসতে চলেছে আপনার বাড়িতে। কিন্তু গরু আর অতিথির মধ্যকার সম্পর্কটা ঠিক কোথায়, তা যদিও বুঝে ওঠাটা এখনও সম্ভব হয়নি।
৪. দই আর গুড লাক:
ছোটবেলা থেকে দেখে এবং শুনে আসছি যে পরীক্ষার আগে যদি দই খাওয়া যায়, তাহলে নাকি খারাপ সময় কেটে যায়। ফলে পরীক্ষায় ভাল রেজাল্ট হওয়ার সম্ভাবনা যায় বেড়ে। একই উপকার পাওয়া যায় নতুন কোনও কাজ শুরু আগে দই খেলেও। প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে একটা কথা মানতেই হবে যে দই খেলে সত্যি গুড লাক সঙ্গ নেয় কিনা জানা নেই। তবে দইয়ের কারণে শরীর যে চাঙ্গা হয়ে ওঠে সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই!
৫. স্বপ্ন এবং বাস্তব জীবন:
বেশ কিছু বইয়ে এমনটা উল্লেখ পাওয়া গেছে যে ঘুমনোর সময় দেখা স্বপ্নের সঙ্গে নাকি আমাদের বাস্তব জীবনের গভীর যোগ রয়েছে। যেমন এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে স্বপ্নে যদি কোনও ভগবানকে দেখা যায়, তাহলে বুঝতে হবে কোনও খুশির খবর আসতে চলেছে। এমনকী কোনও শুভ ঘটনা ঘটার সম্ভাবনাও বাড়ে, যে কারণে বদলে যেতে পারে পুরো জীবনটাই! তা কি বন্ধু, এই কদিন স্বপ্নে দেখেছেন নাকি কোনও ভগবানকে?
৬. আয়না, মাছ এবং হলুদ:
ঘুম থেকে ওঠার পর যদি হঠাৎ করে চোখ পরে কোনও আয়না, জোড়া মাছ অথবা হলুদের উপর, তাহলে জানবেন ভাল সময় এলো বলে। শুধু তাই নয়, এমনটাও অনেকে বিশ্বাস করেন যে এই সব জিনিসগুলির পাশপাশি সকাল সকাল যদি সোনা বা কোনও মন্দিরের ছবির দিকে নজর যায়, তাহলে নাকি খারাপ সময় কেটে যেতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে ভাগ্যও ফিরে যায়। আর গুড লাক যখন রোজের সঙ্গী হয়ে ওঠে, তখন বাস্তবিকই জীবনের ছবিটা বদলে যেতে যে সময় লাগে না, তা তো বলাই বাহুল্য!