Just In
Happy Friendship Day : রঙিন হয়ে উঠুক সবার বন্ধুত্ব...
"জলছবি, রংমশাল, স্কুলছুটি, হজমিরা, রুপকথা আর পায়রাদের গল্প বল.....বন্ধু চল......"- শুভ বন্ধুত্ব দিবস। 'বন্ধু'- শব্দটা খুব ছোটো কিন্তু, এই ছোটো শব্দের প্রাসঙ্গিকতা সকল বন্ধুত্বের কাছে বড়ই আবেগপূর্ণ। ঝালমুড়ি, রংমশাল, আব্বুলিশ, গল্পকথা - এই সবকিছুর সাথেই বন্ধুত্বের এক শক্তিশালী বন্ধন। বন্ধুত্ব মানে না কোনও জাতি, মানে না কোনও বয়স। বন্ধুত্ব হল পারস্পরিক মনের বন্ধন। ছোটোবেলার সমস্ত দুষ্টুমির সাথী, মনের কষ্ট ভাগ করে নেওয়ার অংশীদার হল আমাদের বন্ধুরা। একে অপরের সঙ্গ, আস্থা, ঝগড়া, রাগ, অভিমান - এই সবকিছুই ঘটে একজন বন্ধুর সাথে। বাবা-মা-এর পর যদি আমরা আমাদের মনে কাউকে স্থান দিয়ে থাকি তাহলে সেটা হল বন্ধু। জীবনে বেড়ে ওঠার পথে শৈশব, কৈশোর, ছাত্রজীবন, কর্মক্ষেত্র, সংসার ও সমাজ জীবনে নানান মানুষের সাথে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে।
প্রতি বছর অগস্ট মাসের প্রথম রবিবার পালিত হয় 'বন্ধু দিবস'। এই বছর ০৬ অগস্ট বন্ধু দিবস। এই দিনটির কথা ভেবে অনেকেই অনেক পরিকল্পনা করে তার প্রিয় বন্ধুর জন্য। পরস্পরকে ফুল, কার্ড, হাতের ব্যান্ড প্রভৃতি উপহার দেওয়া বন্ধু দিবসের রীতি। কিন্তু, ফ্রেন্ডশিপ ডে-তে বন্ধুকে দেবার জন্য যে জিনিসটি চল সবথেকে বেশি, তা হল-ফ্রেন্ডশিপ ব্যান্ড। যাকে বলা যায় বন্ধুত্বের স্মারক। একজন অপরজনের হাতে বেঁধে দেয় সেটি।
'বন্ধু' কাকে বলে বা 'বন্ধুত্ব' আসলে কি?-এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে নানান জন নানান কথা বলবে। তবে, এটা ঠিক যে, বন্ধুত্বকে কোনও নির্দিষ্ট মাপকাঠিতে ফেলা যায় না। কারোর কাছে বাবা-মা প্রিয় বন্ধু, আবার কেউ ছেলে বা মেয়ের কাছে হয়ে উঠতে চান তার বেস্ট ফ্রেন্ড। কেউ বা সমবয়সী বন্ধুদের বেশি গুরুত্ব দেয়। বন্ধু' হল আমাদের জীবনে সেই বিশেষ মানুষ, যাকে চোখ বুজে বিশ্বাস করা যায়, বিপদে পড়লে তার কাছ থেকে সাহায্য পাওয়ার আশা করা যায়। বলে ফেলা যায় এমন অনেক কথা যা অন্য কাউকেই বলা যায় না।
এই বন্ধুত্বের সম্পর্ককে বিশেষভাবে উদযাপন করার জন্যই 'ফ্রেন্ডশিপ ডে'' বা 'বন্ধুত্ব দিবস' হিসেবে একটি নির্দিষ্ট দিন চিহ্নিত করা হয়েছে। কিন্তু, বন্ধুত্বের উদযাপন তো যেকোনো দিনই করা যায়। কেনই বা একটা বিশেষ দিনকে বেছে নেওয়া! আসলে, বর্তমান দিনে সবাই ছুটছে যে যার লক্ষ্যে। এত ব্যস্ততার মধ্যে কারোর সাথে কারোর মুখোমুখি দেখা প্রায় হয় না বললেই চলে। তাই এই একটা দিন যাতে সবাই তার প্রিয় বন্ধুকে সময় দিতে পারে তার জন্যই বন্ধুত্ব দিবস উদযাপন করা হয়। আনন্দের পাশাপাশি একটা গোটা দিন বন্ধুর সাথে কাটানোর মজাই আলাদা।
প্রতি বছর অগস্ট মাসের প্রথম রবিবার সারা বিশ্বজুড়ে পালন করা হয় 'বন্ধুত্ব দিবস'। ১৯১৯ সালে এই দিবস যার হাত ধরে শুরু হয়েছিল তিনি হলেন, হলমার্ক কার্ডের প্রতিষ্ঠাতা জয়েস হল। কিন্তু, বন্ধুত্ব দিবসের ইতিহাসের উৎপত্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে। ১৯৩৫ সালে মার্কিন কংগ্রেস ঘোষণা করেন যে প্রতি বছর আগস্ট মাসের প্রথম রবিবার বন্ধুত্ব দিবস পালন করা হবে। সেই থেকে বন্ধুত্ব দিবস বিশ্বজুড়ে উদযাপিত দিনগুলোর মধ্যে একটি হয়ে ওঠে এবং খুব তাড়াতাড়ি এই দিবস মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে।