Just In
- 31 min ago মসুর ডাল খেতে ভালোবাসেন? কিন্তু অতিরিক্ত খেলে হতে পারে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া!
- 1 hr ago অনলাইন গেমে বাচ্চারা ঘরকুঁনো! জানেন কি স্বাস্থ্যের জন্য় কতটা উপকারি আউটডোর গেম?
- 2 hrs ago সূর্যগ্রহণের সময় ঘটবে মা দুর্গার আগমন, তবে কি গ্রহণকালে পড়বে মায়ের পূজায় বাধা?
- 16 hrs ago ত্বকের জেল্লা ফেরাতে ম্যাজিকের মত কাজ করবে চালের জল, কীভাবে দেখুন
Don't Miss
(ছবি) এই কয়েক ধরনের বন্ধুকে এখুনি ফেসবুক ফ্রেন্ডলিস্ট থেকে 'আনফ্রেন্ড' করুন!
এখন যা অবস্থা, তাতে জীবনের অর্ধেকটা সময় তো সোস্যাল মিডিয়াই নিয়ে নিয়েছে। বিশেষ করে ফেসবুক। ১৮ থেকে ৮০ সবাই এখন সারাদিন ফেসবুকেই মত্ত।
প্রথম প্রথম ফেসবুকের ফ্রেন্ড তালিকায় বাকিদের টেক্কা দিতে আমরা ভুরি ভুরি লোকজনকে অ্যাড করে যাই বন্ধু তালিকায়। আর কিছু সময় পরে এই বন্ধুদের পোস্ট, ছবি কখনও আমাদের বিরক্ত করে, কখনও খারাপ লাগায়, কখনও আবার হিংসা করায়। [জেনে নিন : ফেসবুকে লুকোনো ফ্রেন্ডলিস্ট দেখার উপায়]
ফেসবুকে বন্ধুত্ব রাখার ক্ষেত্রে একটু মনে সমঝে চলা উচিত। বা বন্ধুদের ক্ষেত্রে একটু বাছাই করেই এগোনো উচিত। শুধু তালিকা বাড়ানোর জন্য বন্ধু বাড়িয়ে লাভ নেই। এক্ষেত্রে একটু সিলেকটিভ হয়ে তালিকাটা বরং ছোট রাখাই আপনার পক্ষে মঙ্গলের।
কিন্তু বাদ দেবেন কাকে? তার জন্য মাথায় রাখুন এই বিষয়গুলি।
লোক দেখানো
আপনার এমন অনেক বন্ধু থাকতে পারে যারা লোক দেখিয়ে কোনও কিছু করতে ভালবাসেন। এমন বন্ধুকে ফ্রেন্ডস তালিকা থেকে বিদায় জানানোটা মনে হয় বেশি ভাল হবে। হাঁচি, কাসি থেকে শুরু করে সিঙ্গাপুরে ঘুরতে যাওয়া, পাঁচতারা হোটেলে ডিনার করা- জীবনের এমন নানান পুংখ্যানুপুঙ্খ তথ্য সকাল দুপুর রাত আপডেট দিতে থাকেন। তাদের উদ্দেশ্যেই হচ্ছে অন্যকে নিজের জীবনযাপন দেখিয়ে নিচু মন করানো। আপনি যদি তাদের ফ্রেন্ডলিস্ট থেকে বাদও দিয়ে দেন, তাতে তাদের কিছু যাবে আসবে না, কিন্তু আপনি আর অন্তত হীনমন্যতায় ভুগবেন না।
তর্কবাগিশ
কিছু কিছু বন্ধু থাকে যারা ছোট-বড় যেকোনও বিষয়ে তর্ক করতে পছন্দ করেন। ফেসবুকে জাহির করতে চান তারা কতকিছু জানেন, তাঁদের ব্যক্তিত্ব কত দৃঢ় ইত্যাদি ইত্যাদি। আপনি যে বিষয়ে আলোচনা করতে চান না সেই বিষয় নিয়ে বারবার পোস্ট করে আপনাকে উত্যক্ত করতে চায়। বাড়াবাড়ি কিছু করার আগেই ফ্রেন্ড লিস্ট থেকে তাড়ান এ হেন 'ফ্রেন্ড'কে।
বস
অফিসের বসকে আপনার ফ্রেন্ডলিস্টে রাখাটা সবচেয়ে বড় ভুল হবে। কোনওদিন অফিসে মিথ্যা কথা বলে পার্টি করতে গেলেন, ফেসবুকে সেই ছবি কেউ যদি পোস্ট করে দেয় তা আপনার বসের চোখে পড়বে. আর আপনার বিপদ ঘনিয়ে আসবে। সারাক্ষণ ভয়ে ভয়ে থাকা বস এটা দেখে নেবে ওটা জেনে যাবে। তাই যদি বসকে অ্যাড করেও থাকেন তাহলে ডিলিট করে নিন। আপনার তালিকায় তিনি যে নেই তা হয়তো তিনি খেয়ালও করবেন না।
সমালোচক
কিছু মানুষ আছেন যারা সমালোচনা করতে পছন্দ করেন। সোস্যাল মিডিয়া আপনার ক্লান্তি মেটানো, আনন্দে মেতে ওঠার জায়গা হওয়া চাই। যেখানে আপনি বিনা বাধায় নিজের পছন্দের জিনিস করবেন। য়ার পছন্দ না তারা আপনাকে আনফ্রেন্ড করুক না ক্ষতি তো নেই। ঠিক সেভাবে যে বন্ধুরা সবসময় আপনার ছবি বা পোস্টের সমালোচনা করতে থাকেন তাকে ফ্রেন্ড লিস্টে রাখার কোনও প্রয়োজনীয়তা নেই।
প্রাক্তন প্রেমিক/প্রেমিকা
আপনার প্রাক্তন প্রেমিক বা প্রেমিকাকে ফ্রেন্ড লিস্টে না রাখাটাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। এতে আপনার প্রাক্তন সঙ্গীরও খারাপ লাগার কথা নয়। মানে কোনও কিছুকে আঁকড়ে ধরে রাখতে গেলে আর এগোতে পারবেন না। এমনকী আপনার বর্তমান বা ভবিষ্যৎ সম্পর্কেও জটিলতা তৈরি হতে পারে।
অপরিচিত
আমরা একথা কখনওই বলছি না যে, অপরিচিত সবাই খারাপ হয়, বা ফেসবুক থেকে ভাল বন্ধুত্ব হতে পারে না। কিন্তু এক-দুজন বন্ধু পাতাতে গিয়ে শুধু শুধু ঝুঁকি নিয়ে লাভ কী বলুন...!
এই সংক্রান্ত আরও কিছু খবর:
(ছবি) ফেসবুকে প্রতারিত হচ্ছেন তা বোঝার সহজ উপায়
(ছবি) ফেসবুকের এই লুকানো বৈশিষ্ট্যগুলি নিশ্চিত আপনার অজানা
ফেসবুক 'অ্যাকাউন্ট' ছাড়াই এবার ব্যবহার করুন ফেসবুক 'ম্যাসেঞ্জার'