Just In
- 16 min ago রাতে খারাপ এবং ভয়ের স্বপ্ন আসে? সহজ জ্যোতিষী সমাধান স্বস্তি দেবে
- 2 hrs ago আপনি কি সেলফি তুলতে পছন্দ করেন? বিশেষজ্ঞরা বলছেন সেলফি স্বাস্থ্যকর
- 2 hrs ago হিন্দু নববর্ষের ৩ দিন আগেই গ্রহ পরিবর্তন, শনির প্রভাবে অর্থ-বৃষ্টির সম্ভাবনা এই রাশিগুলিতে
- 20 hrs ago এপ্রিল মাসে ৪ গ্রহের স্থান পরিবর্তন, রাজযোগ ও সৌভাগ্যে ফুলে ফেঁপে উঠবে এই রাশির জাতকরা, দেখুন
Don't Miss
ঠাকুরের সামনে তাঁর পছন্দের খাবার রাখলে উপকার মেলে বেশি! কিন্তু জানেন কি কোন দেবতার কোন খাবার পছন্দ
আমরা সবাই পুজো করার সময় প্রসাদ নিবেদন করে থাকি। কিন্তু একথা কোনও দিন জেনে ওঠার চেষ্টা করি না যে কোন দেবতার কেমন খাবার পছন্দ।
খেয়াল করে দেখবেন মজা করে অনেকেই একটা কথা প্রায়ই বলে থাকেন, তা হল "মনের রাস্তা নাকি পেট হয়ে যায়"। অর্থাৎ কারও মন জয় করতে হলে তার পছন্দের খাবার পরিবেশন করলেই কেল্লা ফতে! কারণ রসনা তৃপ্ত হলে মন ঠান্ডা হতে সময় লাগে না। আর খুশি মনই তো সুখের উৎস, কি তাই না!
একই ফর্মুলাকে কাজে লাগিয়ে কিন্তু দেব-দেবীদের মনও জয় করতে পারেন। কিন্তু কীভাবে সম্ভব এমনটা করা? আমরা সবাই পুজো করার সময় প্রসাদ নিবেদন করে থাকি। কিন্তু একথা কোনও দিন জেনে ওঠার চেষ্টা করি না যে কোন দেবতার কেমন খাবার পছন্দ। কারণ তাদের মনের মতো প্রসাদ নিবেদন করলে ঠকুর-দেবতাদের মন জয় করা বেজায় সহজ হয়ে দাঁড়ায়। আর দেব-দেবীরা যখন প্রসন্ন হন, তখন জীবনের ছবিটা বদলে যেতে যে সময় লাগে না, তা কি আর বলার অপেক্ষা রাখে!
তাহলে এখন প্রশ্ন হল কোন দেব-দেবীর কেমন খাবার পছন্দ?
১. শিব ঠাকুর:
সর্বশক্তিমানের পছন্দের খাবার হল দুধ। আর তাতে যদি অল্প করে ভাং বা কেশর মিশিয়ে পরিবেশন করতে পারেন, তাহলে তো কথাই নেই! আসলে এমন প্রসাদ নিবেদন করলে দেব এতটাই প্রসন্ন হন যে জীবন সুখে-শান্তিতে ভরে ওঠে। সেই সঙ্গে খারাপ শক্তির প্রভাব কেটে যাওয়ার কারণে কোনও ধরনের বিপদ ঘটার সম্ভাবনাও কমে। শুধু তাই নয়, মেলে আরও অনেক উপকার।
২. নারায়ণ দেব:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে, যে কোনও হলুদ রঙের খাবার দেবের বেজায় পছন্দের। তাই তো প্রতি বৃহস্পতিবার ডাল, হলুদ লাডডু এবং গুড় দিয়ে নারায়ণের আরাধনা করলে দারুন সব উপকার পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে কর্মক্ষেত্রে চরম সফলতা লাভের পথ তো প্রশস্ত তো হয়ই, সেই সঙ্গে গুড লাক রোজের সঙ্গী হয়ে ওঠে। ফলে মনের মণিকোঠায় জমে থাকা ছোট থেকে ছোটতর ইচ্ছা পূরণ হতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে শরীর এবং মনও চাঙ্গা হয়ে ওঠে। ফলে আয়ু বাড়ে চোখে পরার মতো। প্রসঙ্গত, নারায়ণের আরেক অবতার শ্রী কৃষ্ণের পছন্দের খাবার হল মাখন। তাই তো কৃষ্ণের মন যদি জয় করতে হয়, তাহলে মাখনে অল্প করে চিনি মিশিয়ে দেবকে নিবেদন করতে ভুলবেন না যেন!
৩. গণেশ ঠাকুর:
বাপ্পার পছন্দের খাবার যে মোদক, সে কথা তো সবারই জানা আছে! কিন্তু একথা জানেন কি গণেশ ঠাকুর লাডডুও বেজায় পছন্দ করেন। তাই তো বলি বন্ধু দেবকে প্রসন্ন করে যদি চরম অর্থনৈতিক উন্নিতর স্বাদ পেতে চান, তাহলে প্রতি বুধবার লাডডু এবং মোদক প্ররিবেশন করে গণেশ ঠাকুরের পুজো করতে ভুলবেন না যেন! প্রসঙ্গত, এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে প্রতি বুধবার বাপ্পার পুজো করার সময় যদি "ওম গণপাতায়ে নমহঃ", এই মন্ত্রটি ১০৮ বার জপ করা যায়, তাহলে অনেক অনেক টাকায় পকেট তো ভরে ওঠেই, সেই সঙ্গে কর্মক্ষেত্রে উন্নতি লাভের পথ প্রশস্ত হতেও সময় লাগে না।
৪. শ্রী হনুমান:
শাস্ত্র বলে প্রতি মঙ্গল এবং শনিবার হনুমানজির আরাধনা করার পাশাপাশি হনুমান চল্লিশা পাঠ করলে দারুন সব উপকার পাওয়া যায়। বিশেষত গৃহস্থে উপস্থিত খারাপ শক্তির প্রকোপ কমে। ফলে কোনও ধরনের বিপদ ঘটার আশঙ্কা যায় কমে। সেই সঙ্গে মনের জোর বৃদ্ধি পায়, আয়ু বাড়ে, অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটে এবং পরিবারে সুখ-শান্তি বজায় থাকে। কিন্তু একথা অনেকেই খেয়াল রাখেন যে প্রতিদিন হনুমানজিকে যদি তার পছন্দের প্রসাদ নিবেদন করা হয়, তাহলে আরও বেশি মাত্রায় উপকার মেলে। প্রসঙ্গত, দেবের পছন্দর খাবার হল ডাল এবং গুড়।
৫. শনি দেব:
প্রতি শনিবার দেবের আরাধনা করার সময় খেয়াল করে যদি তিল বীজ, সঙ্গে ডাল এবং সরষের তেল নিবেদন করতে পারেন, তাহলে যে কোনও ধরনের সমস্যা মিটে যেতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে শনির সাড়ে সাতির খপ্পরে পরার আশঙ্কাও যায় কমে। তাই তো বলি বন্ধু, যাদের জন্ম কুষ্টিতে শনি দেবের অবস্থান বেজয় দুর্বল, তারা শনিবার করে এই খাবারগুলি দেবকে পরিবেশন করতে ভুলবেন না যেন!
৬. মা লক্ষ্মী:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে মা লক্ষ্মী একবার প্রসন্ন হলে যে কোনও ধরনের অর্থনৈতিক সমস্যা মিটে যেতে সময় লাগে না, সেই সঙ্গে বড়লোক হয়ে ওঠার স্বপ্নও পূরণ হয়। শুধু তাই নয়, মায়ের আশীর্বাদে পরিবারে সুখ এবং সমৃদ্ধির ছোঁয়া লাগে। ফলে সুখের ঝাঁপি কখনও খালি হয় না। কিন্তু প্রশ্ন হল দেবী মাকে প্রসন্ন করা যায় কীভাবে? মা লক্ষ্মীর মন যদি জয় করতে হয়, তাহলে দেবীর পুজো করার সময় ভাতের যে কোনও পদ এবং ক্ষির পরিবেশন করতে ভুলবেন না যেন!
৭. মা সরস্বতী:
প্রায় প্রতিটি স্কুলে সরস্বতী পুজোর দিন ভোগ হিসেবে খিচুড়ি পরিবেশন করা হয় কেন জানা আছে? আসলে মায়ের প্রিয় খাবার হল এটি। তাই তো দেবীর আরাধনা করার সময় খিচুড়ি পরিবেশন করা হলে মা সরস্বতী এতটাই প্রসন্ন হন যে ছাত্র-ছাত্রীদের পরীক্ষায় ভাল ফল হওয়ার সম্ভাবনা যায় বেড়ে। সেই সঙ্গে কর্মক্ষেত্রেও উন্নতি লাভের পথ প্রশস্ত হয়।
৮. মা দুর্গা:
শিব পত্নীর সবথেকে প্রিয় খাবার হল খিচুড়ি এবং ক্ষির। এই কারণেই তো দুর্গা পুজোর সময় ফল এবং মিষ্টির পাশাপাশি মাকে প্রসাদ হিসেবে খিচুড়ি নিবেদন করা হয়ে থাকে।
৯. মা কালী:
মায়ের সবথেকে প্রিয় খাবার হল ভাত দিয়ে তৈরি যে কোনও খাবার। আর যদি সঙ্গে ক্ষির পরিবেশন করতে পারেন, তাহলে তো কথাই নেই!