Just In
রিলেশনশিপে এই সমস্যাগুলি দেখা দিচ্ছে? তাহলে বুঝবেন আপনাদের সম্পর্কে দীর্ঘ মেয়াদী হবে না
বিশ্বাস এবং ভরসার মধ্য দিয়েই সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিন্তু যখনই সম্পর্কের মধ্যে সম্মান, আশা-ভরসার অভাব দেখা দেয়, ঠিক তখন থেকেই ভাঙতে শুরু করে রিলেশনশিপ। আর সম্পর্কের সেই ফাটল ধীরে ধীরে বড় হতে শুরু করলে, তা আর দীর্ঘ মেয়াদী হয় না।
তাহলে দেখে নেওয়া যাক, রিলেশনশিপ দীর্ঘ মেয়াদী না হওয়ার প্রাথমিক লক্ষণগুলি কী কী -
১) নিজস্ব অস্তিত্ব হারিয়ে ফেলা
যে সম্পর্কে আপনি আপনার নিজস্ব অস্তিত্ব হারিয়ে ফেলছেন বলে মনে করছেন, সেই সম্পর্ক কখনোই দীর্ঘমেয়াদি হতে পারে না। সম্পর্কের মধ্যে যদি অভিনয়, ছল-চাতুরি অথবা অত্যাধিক আত্মসচেতনতা চলে আসে, তাহলে সেই সম্পর্ক কখনোই দীর্ঘমেয়াদী হবে না।
২) সম্পর্কে কথোপকথন হ্রাস পাওয়া
রিলেশনশিপে থেকে উভয়ের মধ্যে কথোপকথনের মাত্রা কমে গেলে, তা নেগেটিভ লক্ষণ বোঝায়। যদি মনে হয় যে, আপনার সঙ্গী আপনাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে না এবং আপনার সঙ্গে কথা বলাও আগের চেয়ে অনেক কমিয়ে দিয়েছে, তাহলে বুঝবেন আপনাদের সম্পর্ক নেগেটিভের দিকে যাচ্ছে।
৩) নিজস্ব মতামতের কোনও মূল্য না থাকা
সম্মান এবং বিশ্বাস হল, একটি সুন্দর সম্পর্কের মূল চাবিকাঠি। রিলেশনশিপে উভয় পক্ষের মতামতই সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু যদি আপনার মনে হয়, আপনার সঙ্গী কেবলমাত্র নিজের মতামতেরই বেশি মূল্য দিচ্ছে এবং তার কাছে আপনার মতামতের কোনও মূল্য নেই, তাহলে আগে থেকেই সাবধান হন। এটি সম্পর্ক ভাঙনের অন্যতম কারণ।
৪) অন্যের সাথে খারাপ ব্যবহার করা
আপনার সঙ্গী কি একটুতেই মেজাজ হারিয়ে ফেলে? অন্যদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে? তাহলে এখনই সাবধান হন। কারণ কোনও না কোনও সময় আপনার সঙ্গেও সে খারাপ ব্যবহার করতে পারে। আমরা সকলের সাথে কেমন ব্যবহার করি এবং কীভাবে কথা বলি, তার মধ্যে দিয়েই আমাদের ব্যক্তিত্বের পরিচয় ফুটে ওঠে।
৫) আপনি তার ভুল ক্ষমা করে দিলেও, সে আপনার ভুল ক্ষমা করে না
সুসম্পর্ক, উভয়ের প্রচেষ্টাতেই গড়ে ওঠে। সম্পর্কে ছোটখাটো ভুল হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। কিন্তু যখন ক্ষমা করার ব্যাপারটা একতরফা হয়ে দাঁড়ায়, তখন সেটিকে কখনোই স্বাভাবিক সম্পর্ক বলা চলে না। এই ধরনের একতরফা সম্পর্ক কখনোই দীর্ঘ হয় না।
৬) আপনার পরিবার এবং বন্ধুরা, আপনার সঙ্গীকে পছন্দ না করলে
পরিবার এবং বন্ধুরা সাধারণত আপনার ভালোর কথাই ভাববে। ভালবাসায় অন্ধ হয়ে আমরা সম্পর্কের যে খারাপ দিকগুলি স্পষ্টভাবে দেখতে পারি না, তা খুব সহজেই আপনার পরিবার এবং বন্ধুদের নজরে আসে। তাদের দৃষ্টিভঙ্গি এবং সতর্কতা অনেক ক্ষেত্রেই আপনাকে সচেতন হতে সাহায্য করতে পারে।