Just In
- 1 hr ago প্রচণ্ড গরমে শরীর ঠাণ্ডা রাখতে খান সুপারফুড চিয়া সিড!
- 3 hrs ago কাঠফাটা গরমে শরীরে জলের ঘাটতি পূরণ করবে এই ফলগুলি!
- 5 hrs ago নতুন কাজে সাফল্য বৃষ ও কর্কটের, ৫ রাশির জন্য শুভ আজকের দিন, জানতে দেখুন রাশিফল
- 22 hrs ago অতিরিক্ত দই, বিস্কুট খাচ্ছেন? আপনার ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়াতে পারে, সতর্ক থাকুন
দুর্গা মায়ের আশীর্বাদে সুস্থ শরীর এবং বড়লোক হয়ে ওঠার স্বপ্ন পূরণ করতে মানতেই হবে এই নিয়মগুলি!
বাস্তুশাস্ত্র এবং হিন্দু ধর্ম অনুসারে নবরাত্রির সময় এই জিনিসগুলি বাড়িতে জায়গা করে নিলে দেবী দুর্গা এতটাই প্রসন্ন হন যে ভক্তের মনের সব ইচ্ছা পূরণ হতে সময় লাগে না।
এমন কিছু বিষয় আছে যা আপাত দৃষ্টিতে শুনতে বড়ই আজব লাগে। মনে হয় সব বুজরুকি। কিন্তু কী জনেন, হিন্দু ধর্ম নিয়ে আমাদের জ্ঞান বড়ই কম। তার উপর আজকের প্রজন্মের হাতে তো সময়ই নেই যে সব কিছু চলিয়ে ভাবে। তাই তো নিজের জ্ঞানের পরিধির বাইরে কিছু শুনলেই বেশিরভাগই তাকে অবাস্তব বা অন্ধবিশ্বাসের ক্যাটাগরিতে ফেলে দেন। এই যেমন ধরুন আমি যদি বলি দুর্গা পুজোর সময় এই প্রবন্ধে আলোচিত নিয়মগুলি মানলে মায়ের আশীর্বাদে অনেক অনেক টাকার মালিক হয়ে ওঠার স্বপ্ন পূরণ হবে, সেই সঙ্গে ছোট-বড় সব রোগও দূরে পালাবে, তাহলে কেউ বলবেন মজা করছি, নয়তো বাকিরা বিজ্ঞানের দোহাই দিয়ে দু-চারটি কটু কথা বলতেও হয়তো পিছপা হবেন না...! কি তাই তো?
আচ্ছা আপনি কি সত্যিই বলছেন এই প্রবন্ধে আলোচিত জিনিসগুলি বাড়াতে রাখলে বড়লোক হয়ে ওঠার স্বপ্ন পূরণ হবে? একেবারেই বন্ধু! বাস্তুশাস্ত্র এবং হিন্দু ধর্ম অনুসারে নবরাত্রির সময় এই জিনিসগুলি বাড়িতে জায়গা করে নিলে দেবী দুর্গা এতটাই প্রসন্ন হন যে ভক্তের মনের সব ইচ্ছা পূরণ হতে সময় লাগে না। তাই তো বলি বন্ধু, বাকি অনেকের মতো আপনিও যদি হরেক রকম স্বপ্ন দেখে থাকেন এবং মন থেকে চান সেই সব স্বপ্ন পূরণ হোক, তাহলে বিশ্বাসকে সঙ্গী করে এই লেখাটি একবার পড়ে ফেলতে ভুলবেন না যেন!
প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে যে যে বিষয়গুলি মাথায় রাখতে হবে, সেগুলি হল...
১. পদ্ম ফুল:
এই বিশেষ ফুলটি মা দুর্গা এবং দেবী লক্ষ্মীর খুব পছন্দের। তাই তো দুর্গা পুজোর কটাদিন নিয়ম করে যদি পুজোর ঘরে পদ্মফুল রাখা যায়, তাহলে দেবী দুর্গা এবং লক্ষ্মী এতটাই প্রসন্ন হন যে তাঁদের আশীর্বাদে অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটতে সময় লাগে না। শুধু তাই নয়, শাস্ত্র মতে মা লক্ষ্মী যেখানে আসন পাতেন, সেখানে ধন দেবতা কুবেরেরও প্রবেশ ঘটে। তাই তো মা লক্ষ্মীর মন জয় করতে পারলে কুবের দেবের আশীর্বাদে টাকা-পয়সা সংক্রান্ত নানা ঝামেলা মিটে যেতেও সময় লাগে না। এবার বুঝেছেন তো পদ্মফুলের কত মহিমা...!
২. রূপো এবং সোনার কয়েন:
বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে ষষ্ঠীর দিন গণেশ এবং মা লক্ষ্মীর ছবি রয়েছে এমন রূপো বা সোনার কয়েন কিনে, তাতে অল্প করে সিঁদুর লাগিয়ে যদি ঠাকুর ঘরে রাখা যায়, তাহলে গৃহস্থে মা দুর্গার আগমণ ঘটতে সময় লাগে না। আর এমনটা যখন হয়, তখন ভক্তের মনের সব ইচ্ছা পূরণ তো হয়ই, সেই সঙ্গে ছোট-বড় নানা রোগ-ব্যাধিও সব দূরে পালায়। ফলে আয়ু বাড়ে চোখে পরার মতো। প্রসঙ্গত, এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে এই বিশেষ দিনে এমন কয়েন টাকার লকারে রাখলেও নাকি অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটতে সময় লাগে না।
৩. ময়ূরের পালক:
বাস্তুশাস্ত্র মতে নবরাত্রির সময় বাড়ির ঠাকুর ঘরে একটা ময়ূরের পালক এনে রাখলে মা সরস্বতী বেজায় খুশি হন। ফলে দেবীর আশীর্বাদে গৃহস্থের প্রতিটি কোণায় পজেটিভ শক্তির মাত্রা এতটা বৃদ্ধি পায় যে খারাপ শক্তি, ঘর ছাড়া হতে সময় লাগে না। ফলে কোনও ধরনের বিপদ ঘটার আশঙ্কা তো কমেই, সেই সঙ্গে শরীর এবং মনও চাঙ্গা হয়ে ওঠে। শুধু তাই নয়, মায়ের আশীর্বাদে বাস্তু দোষ কেটে যেতেও সময় লাগে না। ফলে কোনও ধরনের অর্থনৈতিক ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা যায় কমে।
৪. মা লক্ষ্মীর মূর্তি:
হিন্দু শাস্ত্র মতে দুর্গা পুজোর সময় বাড়িতে মা লক্ষ্মীর মূর্তি বা ছবি এনে প্রতিষ্টা করলে এবং প্রতিদিন লক্ষ্মী মহা মন্ত্র জপ করার মধ্যে দিয়ে দেবীর অরাধনা করলে অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটতে সময় লাগে না। শুধু তাই নয়, মায়ের আশীর্বাদে ধার-দেনার খপ্পর থেকে মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনাও বাড়ে। তবে এক্ষেত্রে একটি জিনিস মাথায় রাখতে হবে, তা হল দেবীর যে ছবি বা মূর্তিটি কিনছেন তাতে যেন মা বসা অবস্থায় থাকেন।
৫. ষোলা সিঙ্গার:
নবরাত্রি হল মাতৃশক্তির অরাধনা করার সময়। তাই এই সময় বাড়িতে ষোলা সিঙ্গার করার জন্য প্রয়োজনীয় কসমেটিক্স কিনে এনে রাখলে দেবী এতটাই প্রসন্ন হন যে তাঁর আশীর্বাদে অনেক অনেক টাকায় পকেট ভরে উঠতে যেমন সময় লাগে না, তেমনি নানাবিধ রোগের হাত থেকেও মুক্তি মেলে।
৫. বাড়ির উত্তর-পূর্ব কোণে দেবীর মূর্তি প্রতিষ্টা করতে হবে:
যদি সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন দুর্গা পুজোর সময় বাড়িতে মা দুর্গার মূর্তি প্রতিষ্টা করবেন, তাহলে তা উত্তর-পূর্ব কোণে করতে ভুলবেন না যেন! কারণ বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে বাড়ির এই নির্দিষ্ট কোণে দেবী মূর্তিকে স্থাপন করা হলে সারা গৃহস্থে পজেটিভ শক্তির মাত্রা বেড়ে যেতে শুরু করে, আর এমনটা যখন হয়, তখন খারাপ সময় কেটে যেতে সময় লাগে না, সঙ্গে লেজুড় হয় গুড লাকও। ফলে প্রতিটা দিন অফুরন্ত আনন্দে ভরে ওঠে!
৬. আকন্দ জ্যোতি:
দুর্গা পুজোর সময় মায়ের ছবি বা মূর্তির সামনে ২৪ ঘন্টা একটি প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখতে হয়। কারণ এমনটা করা বেজায় শুভ বলে বিবেচিত করা হয়া থাকে হিন্দু শাস্ত্রে। প্রসঙ্গত, এই প্রদীপটিকেই আকন্দ জ্যোতি বলা হয়। এই বিশেষ দীপটি দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে রাখলে নাকি বেশি উপকার পাওয়া যায়। কারণ বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে এমনটা করলে বাস্তবিকই বড়লোক হয়ে ওঠার স্বপ্ন পূরণ হতে সময় লাগে না।