Just In
প্রতি বৃহষ্পতিবার এই কাজগুলি করলে বড়লোক হয়ে উঠতে আপনাকে কেউ আটকাতে পারবে না!
এই প্রবন্ধে যাদের বৃহষ্পতি বেজায় ভাল, তাদের সম্পর্কে আলোচনা করা হবে না। বরং যাদের কুষ্টিতে বৃহষ্পতির খুবই দুর্বল, তারা কী কী উপায়ে চরম সফলতা এবং অর্থনৈতিক উন্নতির স্বাদ পেতে পারেন, তা নিয়ে কথা হবে।
জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে যাদের জন্মকুষ্টিতে বৃহষ্পতির বল বেশি থাকে, তাদের জীবনে সফলতা লাভ করতে বেশি কষ্ট করতে হয় না। শুধু তাই নয়, চরম অর্থনৈতিক উন্নতির সাক্ষীও থাকেন এরা। তবে এই প্রবন্ধে যাদের বৃহষ্পতি বেজায় ভাল, তাদের সম্পর্কে আলোচনা করা হবে না। বরং যাদের কুষ্টিতে বৃহষ্পতির খুবই দুর্বল, তারা কী কী উপায়ে চরম সফলতা এবং অর্থনৈতিক উন্নতির স্বাদ পেতে পারেন, তার উপর আলোকপাত করার চেষ্টা করা হবে।
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে বৃহষ্পতিবার হল গুরু বৃহষ্পতির দিন। তাই তো এই দিন এই প্রবন্ধে আলোচিত নিয়মগুলি মেনে চললে নব গ্রহের অন্যতম বৃহষ্পতি বেজায় সন্তুষ্ট হন, ফলে গুড লাক রোজের সঙ্গী হয়ে ওঠে। ফলে একদিকে যেমন কর্মক্ষেত্রে চরম সফলতার স্বাদ পাওয়া যায়, তেমনি সামাজিক সম্মানও বৃদ্ধি পায়। শুধু তাই নয়, অর্থনৈতিক উন্নতিও ঘটে চোখে পরার মতো। তাই তো বলি বন্ধু যারা অল্প সময়েই অনেক অনেক টাকার মালির হয়ে ওঠার স্বপ্ন দেখেন, তারা এই প্রবন্ধে একবার চোখ রাখতে ভুলবেন না যেন!
প্রসঙ্গত, প্রতি বৃহষ্পতিবার যে যে নিয়মগুলি মেনে চললে দেবগুরু বৃহষ্পতি বেজায় প্রসন্ন হন, সেগুলি হল...
১. ভগবান বিষ্ণুর আরাধনা করতে হবে:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে প্রতি বৃহষ্পতিবার সকাল সকাল উঠে স্নান সেরে ভগবান বিষ্ণুর ছবি বা মূর্তির সামনে দুটো প্রদীপ জ্বেলে যদি এক মনে দেবের নাম নিতে পারেন, তাহলে বিষ্ণ দেব বেজায় প্রসন্ন হন। আর একবার ভঘবান বিষ্ণু প্রসন্ন হলে কুষ্টিতে বৃহষ্পতির অবস্থানও বদলাতে শুরু করে। ফলে অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি ঘটতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে বৃহষ্পতির আশীর্বাদে সামাজিক সম্মানও বৃদ্ধি পায়।
২. হলুদের টিকা:
ভগবান বিষ্ণুর পুজো করার পর অল্প পরিমাণে হলুদ নিয়ে তাতে পরিমাণ মতে জল মিশিয়ে একটা পেস্ট বানিয়ে নিন। তারপর তা থেকে অল্প পরিমাণ নিয়ে কপালে ছোট্ট একটা তিলক কেটে নিন। এমনটা করলে শরীর যেমন ঠান্ডা থাকবে, তেমনি লর্ড বৃহষ্পতিও প্রসন্ন হবেন। ফলে কর্মক্ষেত্রে চরম সফলতা এবং পকেট ভর্তি টাকার মালিক হয়ে উঠতে দেখবেন সময় লাগবে না। প্রসঙ্গত, বাড়িতে যদি জাফরান থাকে, তাহলে তাও জলে গুলে তিলক হিসেবে লাগাতে পারেন। এমনটা করলেও কিন্তু সমান উপকার পাওয়া যায়।
৩. দান করুন:
এমনও বিশ্বাস আছে যে প্রতি বৃহষ্পতিবার হলুদ রঙের জামা-কাপড় দান করলে বৃহষ্পতির গতিপথ বদলাতে শুরু করে। সেই সঙ্গে গুড লাক রোজের সঙ্গী হয়ে ওঠে। ফলে সফলতা তো রোজের সঙ্গী হয়ই, সেই সঙ্গে বড়লোক হয়ে ওঠার স্বপ্নও পূরণ হয়। শুধু তাই নয়, কোনও ধরনের অর্থনৈতিক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কাও কমে। ফলে জীবন আনন্দে ভরে উঠতে সময় লাগে না।
৪. উপোস করতে ভুলবেন না যেন!
শাস্ত্র মতে প্রতি বৃহষ্পতিবার কলা গাছ এবং বিষ্ণু দেবের পুজো করার পর যদি সারা দিন না খেয়ে থাকা যায় এবং সন্ধ্যা বেলায় নিরামিষ খাবার খেয়ে উপোস ভাঙা যায়, তাহলে মনের ছোট থেকে ছোটতর ইচ্ছা পূরণ হতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে পকেট ভর্তি টাকার মালিক হয়ে ওঠার স্বপ্নও দিনের আলো দেখে। প্রসঙ্গত, একান্তই যদি উপোস করতে না পারেন, তাহলে সারা দিন নিরামিষ খাবার খাওয়া চেষ্টা করবেন। তাহলেও কিন্তু দারুন সুফল পাবেন।
৫. হলুদ লাডডু:
অনেকে এমনটা বিশ্বাস করেন যে প্রতি বৃহষ্পতিবার ভগবান শিবের পুজো করে দেবাদিদেবকে যদি হলুদ লাডডু নিবেদন করা যায়, তাহলে গুড লাক রোজের সঙ্গী হয়ে ওঠে। আর একবার এমনটা হলে জীবনের ছবিটা বদলে যেতে যে সময় লাগে না, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
৬. গাঁদা ফুলের মালা:
যেমনটা আগেও আলোচনা করা হয়েছে যে দেবগুরু বৃহষ্পতিকে যদি কুষ্টির ঠিক ঘরে নিয়ে আসতে হয়, তাহলে লর্ড বিষ্ণুকে প্রসন্ন করতে হবে। আর এমনটা করবেন কীভাবে? কিছুই না, প্রতি বৃহষ্পতিবার গাঁদা ফুল বা যে কোনও হলুদ রঙের ফুল কিনে এনে দেবের সামনে রেখে এক মনে তাঁর নাম জপ করুন। এমনটা করলেই দেখবেমন কেল্লা ফতে! প্রসঙ্গত, লর্ড বিষ্ণুর আরাধনা করার সময় যদি "ওম নামো নারায়াণা", এই মন্ত্রটি পাঠ করতে পারেন, তাহলে আরও উপকার পাওয়া যায়।
৭. নুন খাওয়া চলবে না:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে বৃহষ্পতিবার নুন না খেলে ভগবান বিষ্ণু এবং লর্ড বৃহষ্পতি খুব খুশি হন। ফলে অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটতে সময় লাগে না।